কক্সবাজারে ফের শুরু হয়েছে ঘনঘন লোডশেডিং। ভাদ্রের ভ্যাপসা গরমে জেলাজুড়ে বিদ্যুৎ থাকছে না পালা করে। রাস্তার এপাশে গেলে ওপাশে আসে, ওপাশে লোডশেডিং হলে এপাশে আসে। আবার একেক বার লোডশেডিং হলে সেটি স্থায়ী হচ্ছে টানা দুই ঘণ্টার কাছাকাছি।
মধ্যদুপুর হোক, বা মধ্যরাত—সব সময়েই নিয়ম করে এলাকাভেদে হচ্ছে লোডশেডিং। কোনো কোনো এলাকায় গভীর রাতেও লোডশেডিং হচ্ছে, এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন রোগী, শিশু ও সাধারণ মানুষ। ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক ঘুম সহ চিকিৎসা কার্যক্রম।
বার্মিজ মার্কেট এলাকার শাহিনা বেগম বলেন, “রাত দুইটায় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে নবজাতকের দুধ গরম করা পর্যন্ত মুশকিল হয়ে যায়।”
দোকান মালিক নূরুল আমিনের অভিযোগ, “ফ্রিজ বন্ধ হয়ে মালপত্র নষ্ট হচ্ছে, ব্যবসায় বড় ক্ষতি হচ্ছে।”
কলেজ শিক্ষার্থী সাইফুলের কথা, “পড়াশোনা ঠিকমতো করা যাচ্ছে না, রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে ল্যাপটপ চালানো অসম্ভব।”
ফার্মেসী স্টাফ শুভ দে জানান, “চিকিৎসা সরঞ্জাম রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। বারবার বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে ফ্রিজে রাখা ওষুধের গুণগত মানও নষ্ট হচ্ছে”
লোডশেডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গনি জানান, কয়েকদিন বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হওয়ায় লোডশেডিং হয়েছে তবে তা কমে এসেছে, কিছুদিনের মধ্যে পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে। তিনি জানান, কক্সবাজারে আরো তিনটি সাব ষ্টেশন হচ্ছে এবং রামুতে নতুন একটি গ্রীড স্টেশন হচ্ছে, এসব হলে পরে বিদ্যুত পরিস্থিতির আমুল পরিবর্তন আসবে।