ঢাকা ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কি হতে পারে: নির্বাচন, না নতুন অন্তর্বর্তী সরকার? ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়লো বাসটার্মিনাল এলাকার বাসিন্দারা টেকনাফ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক: দলীয় লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন উখিয়ায় পুলিশের পৃথক অভিযানে মিলল ১০ হাজার ইয়াবা ওপার থেকে ছোড়া গুলি পায়ে বিঁধলো নারীর খুনিয়া পালংয়ে চলন্তগাড়িতে ফিল্মি কায়দায় ডা’কা’তি, মোবাইলও টাকা ছিনতাই চকরিয়ায় ফের ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃ’ত্যু সেন্ট মার্টিন দখলকারীদের বিরুদ্ধে জোরালো বার্তা দিয়েছি: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উখিয়ায় ৮ খুদে হাফেজার কোরআন সবিনা খতম উপলক্ষে নানান আয়োজন বাবার সাথে মাছ ধরতে গিয়ে রেজুখালে স্কুল শিক্ষার্থী নিখোঁজ মহেশখালীর যুবদল নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ আরফাতের অকাল মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদের শোক রামু বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান সম্পন্ন বসতি বে রিসোর্টের সাথে লুৎফর রহমান কাজলের সম্পৃক্ততা নেই – কর্তৃপক্ষ নির্বাচনি জোট নিয়ে কোনো দলের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: আখতার রেস্তোরাঁ শিল্প বাঁচাতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কক্সবাজারের রেস্তোরাঁ মালিকদের…

প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, ডিসেম্বরে এল ২৬৪ কোটি ডলার

বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই আয় এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সাম্প্রতিক সময়ে দেশে প্রবাসী আয়ের জোরালো প্রবাহ শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এক মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এল। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

দেশে এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাইয়ে। সেই মাসে ২৫৯ কোটি ডলার আয় এসেছিল।

গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রতি মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। তবে এবার নতুন রেকর্ড করে ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ফলে গত মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

প্রবাসী আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি এমন সময়ে এল, যখন দেশের বাজারে ডলার সরবরাহে ঘাটতি অব্যাহত আছে। বৈদেশিক মুদ্রার এই ঘাটতি মোকাবিলায় প্রবাসী আয় বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন।

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ জোরালো হতে শুরু করে। সেই ধারাবাহিকতায় নভেম্বরে প্রবাসী আয় আসে ২২০ কোটি ডলার। গত বছরের নভেম্বরে দেশে ১৯৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। সেই হিসাবে নভেম্বরে প্রবাসী আয় বাড়ে প্রায় ১৪ শতাংশ। এ ছাড়া গত অক্টোবরে দেশে ২৩৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। আর গত সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ডলার ও আগস্টে ২২২ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে আসে।

প্রবাসী আয় হলো দেশে ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। কারণ, এই আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না অথবা কোনো দায়ও পরিশোধ করতে হয় না। রপ্তানি আয়ের বিপরীতে দেশে ডলার এলেও তার জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আবার বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয়। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতেও ডলারের প্রয়োজন হয়। ফলে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশে ডলারের মজুতও দ্রুত বাড়ে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কি হতে পারে: নির্বাচন, না নতুন অন্তর্বর্তী সরকার?

This will close in 6 seconds

প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, ডিসেম্বরে এল ২৬৪ কোটি ডলার

আপডেট সময় : ০১:৪১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই আয় এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সাম্প্রতিক সময়ে দেশে প্রবাসী আয়ের জোরালো প্রবাহ শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এক মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এল। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

দেশে এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাইয়ে। সেই মাসে ২৫৯ কোটি ডলার আয় এসেছিল।

গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রতি মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। তবে এবার নতুন রেকর্ড করে ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ফলে গত মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

প্রবাসী আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি এমন সময়ে এল, যখন দেশের বাজারে ডলার সরবরাহে ঘাটতি অব্যাহত আছে। বৈদেশিক মুদ্রার এই ঘাটতি মোকাবিলায় প্রবাসী আয় বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন।

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ জোরালো হতে শুরু করে। সেই ধারাবাহিকতায় নভেম্বরে প্রবাসী আয় আসে ২২০ কোটি ডলার। গত বছরের নভেম্বরে দেশে ১৯৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। সেই হিসাবে নভেম্বরে প্রবাসী আয় বাড়ে প্রায় ১৪ শতাংশ। এ ছাড়া গত অক্টোবরে দেশে ২৩৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। আর গত সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ডলার ও আগস্টে ২২২ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে আসে।

প্রবাসী আয় হলো দেশে ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। কারণ, এই আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না অথবা কোনো দায়ও পরিশোধ করতে হয় না। রপ্তানি আয়ের বিপরীতে দেশে ডলার এলেও তার জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আবার বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয়। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতেও ডলারের প্রয়োজন হয়। ফলে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশে ডলারের মজুতও দ্রুত বাড়ে।