ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জনতার ঢল সংসদ ভবনের পথে খালেদা জিয়ার মরদেহ কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক

কানাডার হোটেলে বাংলাদেশি নারীর রহস্যজনক মৃত্যু, ১৫ দিনেও মেলেনি তথ্য

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • 834

কানাডার সাসস্কাচিয়েন অঙ্গরাজ্যের সাসস্কাটন শহরের ‘হেরিটেজ ইন হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন’ সেন্টারের এক বাংলাদেশি নারী কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার ১৫ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও কোনও তথ্য জানাতে পারেনি দেশটির পুলিশ।

গত ১৫ অক্টোবর কানাডার সাসস্কাটন শহরের ওই হোটেলের নিচ থেকে নন্দিতা ভট্টাচার্য মুনমুন নামে বাংলাদেশি নারীর লাশ উদ্ধার করে সাসস্কাটন পুলিশ সার্ভিস। তিনি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের পূর্বাশা আবাসিক এলাকার সাবেক কমিশনার বলাই ভট্টাচার্যের তৃতীয় সন্তান অনুপ ভট্টাচার্যের স্ত্রী।

মুনমুন প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের শ্রীমঙ্গল শাখায় একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০২২ সালে জুন মাসের দিকে সপরিবারে উন্নত জীবনযাপনের লক্ষ্যে কানাডার সাসস্কাচিয়েন অঙ্গরাজ্যের সাসস্কাটন শহরে অভিবাসন নিয়ে বসবাস শুরু করেন। তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ই কর্মজীবী ছিলেন।

অনুপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তার স্ত্রী নন্দিতা ভট্টাচার্য মুনমুন সাসকাটন শহরের হেরিটেজ ইন হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন অনুপ ভট্টাচার্য তার স্ত্রীকে সকালে গাড়ি করে নিয়ে পৌঁছে দেন। বিকাল ৪টার দিকে তিনি হোটেল থেকে বাসায় নিয়ে আসার জন্য সেখানে যান।

ওইদিন প্রায় সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে তাকে মোবাইলে বারবার কল দেওয়ার পর হোটেল থেকে পুলিশ অফিসার তার স্ত্রীর মোবাইল নিয়ে এসে তাকে দিয়ে বলেন যে, তার স্ত্রী আর নেই। কিন্তু কখন, কীভাবে ছাদের উপরে গিয়ে পড়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন তা পুলিশ জানাতে পারেনি। কোনও সাক্ষী নেই, সিসিটিভি ফুটেজ নেই ও তার পার্সে থাকা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডগুলোও নেই, জানান অনুপ।

ঘটনার দিন স্টোর রুম পর্যন্ত তাকে ( মুনমুন) যেতে সিসিটিভি ফুটে গিয়ে দেখা গেছে। এরপর আর দেখা যায়নি। এমনকি ছাদে গিয়ে নিচে পড়া পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি বলে খবর পাওয়া গেছে। ছয়তলা বিশিষ্ট হোটেলটির ছাদে গিয়ে উপর থেকে পড়ে গিয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

জানা গেছে যে, কানাডা বা পাশ্চাত্য দেশের আইন অনুযায়ী হোটেলের ছাদে ওঠার কোনও আইন নেই। পুরো হোটেল সিসিটিভির আওতাধীন ও সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ফুটেজ মনিটরিং করা পলিসি রয়েছে। ছাদে ওঠার চাবিও ছিল মেনটেনেন্স ডিপার্টমেন্টের কাছে। এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, মুনমুন কীভাবে, কার কাছ থেকে চাবি নিয়ে গিয়ে ছাদের উপর থেকে পরে মৃত্যুবরণ করলেন। ফলে ঘটনার পেছনে গভীর, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ও রহস্য লুকিয়ে আছে বলে মনে করছে তার পরিবার।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

কানাডার হোটেলে বাংলাদেশি নারীর রহস্যজনক মৃত্যু, ১৫ দিনেও মেলেনি তথ্য

আপডেট সময় : ১১:১৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

কানাডার সাসস্কাচিয়েন অঙ্গরাজ্যের সাসস্কাটন শহরের ‘হেরিটেজ ইন হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন’ সেন্টারের এক বাংলাদেশি নারী কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার ১৫ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও কোনও তথ্য জানাতে পারেনি দেশটির পুলিশ।

গত ১৫ অক্টোবর কানাডার সাসস্কাটন শহরের ওই হোটেলের নিচ থেকে নন্দিতা ভট্টাচার্য মুনমুন নামে বাংলাদেশি নারীর লাশ উদ্ধার করে সাসস্কাটন পুলিশ সার্ভিস। তিনি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের পূর্বাশা আবাসিক এলাকার সাবেক কমিশনার বলাই ভট্টাচার্যের তৃতীয় সন্তান অনুপ ভট্টাচার্যের স্ত্রী।

মুনমুন প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের শ্রীমঙ্গল শাখায় একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০২২ সালে জুন মাসের দিকে সপরিবারে উন্নত জীবনযাপনের লক্ষ্যে কানাডার সাসস্কাচিয়েন অঙ্গরাজ্যের সাসস্কাটন শহরে অভিবাসন নিয়ে বসবাস শুরু করেন। তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ই কর্মজীবী ছিলেন।

অনুপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তার স্ত্রী নন্দিতা ভট্টাচার্য মুনমুন সাসকাটন শহরের হেরিটেজ ইন হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন অনুপ ভট্টাচার্য তার স্ত্রীকে সকালে গাড়ি করে নিয়ে পৌঁছে দেন। বিকাল ৪টার দিকে তিনি হোটেল থেকে বাসায় নিয়ে আসার জন্য সেখানে যান।

ওইদিন প্রায় সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে তাকে মোবাইলে বারবার কল দেওয়ার পর হোটেল থেকে পুলিশ অফিসার তার স্ত্রীর মোবাইল নিয়ে এসে তাকে দিয়ে বলেন যে, তার স্ত্রী আর নেই। কিন্তু কখন, কীভাবে ছাদের উপরে গিয়ে পড়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন তা পুলিশ জানাতে পারেনি। কোনও সাক্ষী নেই, সিসিটিভি ফুটেজ নেই ও তার পার্সে থাকা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডগুলোও নেই, জানান অনুপ।

ঘটনার দিন স্টোর রুম পর্যন্ত তাকে ( মুনমুন) যেতে সিসিটিভি ফুটে গিয়ে দেখা গেছে। এরপর আর দেখা যায়নি। এমনকি ছাদে গিয়ে নিচে পড়া পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি বলে খবর পাওয়া গেছে। ছয়তলা বিশিষ্ট হোটেলটির ছাদে গিয়ে উপর থেকে পড়ে গিয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

জানা গেছে যে, কানাডা বা পাশ্চাত্য দেশের আইন অনুযায়ী হোটেলের ছাদে ওঠার কোনও আইন নেই। পুরো হোটেল সিসিটিভির আওতাধীন ও সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ফুটেজ মনিটরিং করা পলিসি রয়েছে। ছাদে ওঠার চাবিও ছিল মেনটেনেন্স ডিপার্টমেন্টের কাছে। এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, মুনমুন কীভাবে, কার কাছ থেকে চাবি নিয়ে গিয়ে ছাদের উপর থেকে পরে মৃত্যুবরণ করলেন। ফলে ঘটনার পেছনে গভীর, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ও রহস্য লুকিয়ে আছে বলে মনে করছে তার পরিবার।