ঢাকা ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইজিন বিকল হয়ে মাঝ সাগরে ভাসছিলো ৩ দিন:ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে উদ্ধার নৌবাহিনীর সাংবাদিক আতিককে অপহরণ ও হামলার ঘটনায় ‘আদালতে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা ৬ বছর পর পেকুয়াসহ ৫ উপজেলায় “শহীদ জিয়া মেধা বৃত্তি” পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সেন্টমার্টিনে অবৈধ ট্রলার ও থাই জালসহ ১৯ জেলে আটক ইউনুস হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে উত্তাল টেকনাফ : থানা ঘেরাও চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে পাকিস্তানী নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ সাড়ে ৫ কিলোমিটারের কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিলো ১০ সাঁতারু চকরিয়ায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেফতার: ২ টি মাইক্রোবাস উদ্ধার বিশ্বকাপে খেলার ঘোষণা তাহলে দিয়েই দিলেন মেসি! তুলার গোডাউনে ভয়াবহ আ’গুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কক্সবাজার জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের বার্ষিক বনভোজন ও নবীনবরণ অনুষ্ঠিত ‎ নাইক্ষ্যংছড়ির জারুলিয়াছড়িতে ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা যুবক আটক বিডি ক্লিন উখিয়ার পরিচ্ছন্নতা অভিযান: ২ টন বর্জ্য অপসারণ রামুতে ব্রি ধান ১০৩ জাতের ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস প্রাথমিকে সঙ্গীত শিক্ষক পুনর্বহালের দাবিতে কক্সবাজারে বিক্ষোভ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

গত ৩ আগস্ট দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় “জেলে বসেই চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে মরিয়া ডাকাত শাহীন” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে আমার নাম জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আমি কক্সবাজার পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারী হিসেবে এক দশক ধরে কর্মরত আছি। আমি কখনো নিয়মবহির্ভূত, দুর্নীতি বা অনিয়মের সাথে জড়িত ছিলাম না।
তাছাড়া আমি পারিবারিকভাবে জমিদার বংশের সন্তান। আমার সকল জমিজমা আমার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া। রামু গর্জনিয়া কবিরাজ বাড়ির সন্তান হিসেবে কক্সবাজার কৃষি অফিস রোডস্থ শর্মা কমপ্লেক্স এর অংশীদার আমি। আমার দাদা মহেন্দ্র কুমার মহাজন তৎকালীন সময়ের জমিদার ছিলেন। আমার বাবাও ওনার বাবার সকল সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে।

উক্ত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, চিহ্নিত কুখ্যাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ‘ডাকাত’ শাহীনকে সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অস্ত্রসহ আটক করে। সে এখন কারাগারে আছে। কিন্তু উক্ত সংবাদে খুব জঘন্য ভাবে আমাকে তার সহযোগী প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে। যেখানে সত্যের অস্তিত্ব নেই। সেখানে বলা হয়, বর্তমানে তার গরু চোরাচালান কার্যক্রম মাঠপর্যায়ে ২২ জন ব্যক্তি পরিচালনার চেষ্টা করছেন। যেখানে আমাকে মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সংবাদে আরও বলা হয়, তাকে জামিনে মুক্ত করতে আমি সক্রিয় ভূমিকা রাখছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। ডাকাত শাহীনের অপরাধ কার্যক্রমে কেউ যদি আমার নূন্যতম সম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে পারে, আমি যা শাস্তি হয় মেনে নেব। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমার কিছু নিকটাত্মীয় ও স্থানীয় প্রতিপক্ষ সংবাদকর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। ২০১২ সাল থেকে আমার পৈত্রিক জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকটি পক্ষের সাথে আমার ঝামেলা চলছে। যা এখনো আদালতে বিচারাধীন যার মামলা নাম্বার ৩৯৩/১৮।
আমি একজন সমাজের সচেতন নাগরিক ও সরকারী কর্মচারী, আমার দায়িত্ববোধ ও দেশ প্রেম আছে। আমিও চাই দেশের সীমান্তবর্তী চোরাচালান বন্ধ হোক। আমি কখনো সীমান্তের আশেপাশে যাইনি, কিন্তু সংবাদে আমাকে সীমান্তের নিয়ন্ত্রক বানিয়ে তিলকে তাল করার এবং শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা মাত্র।

এমন অবান্তর হাস্যকর তথ্য দিয়ে মানুষের কাছে বিব্রতকর ভাবে সংবাদ পরিবেশন কাম্য নয়। সম্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা জাতির বিবেক। আমি অনুরোধ করব সত্য ও সঠিক তথ্য উপাত্ত নিয়ে সবসময় সংবাদ পরিবেশেন করবেন। অন্যথায় আমি দেশের প্রচলিত আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
এছাড়াও দেশের সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আমার জোর দাবী হচ্ছে, তথ্য প্রযুক্তি এখন অনেক দূর এগিয়েছে। আমি কোন চোরাকারবারির সাথে সম্পৃক্ত থাকি, তাদের সাথে যোগাযোগ রাখি তাহলে সেটা আইটি ব্যবহার করে উদঘাটন করা অসম্ভব কিছু নই। তাই মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিক তথ্য প্রমাণ বের করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
নিরুপম শর্মা
সহকারী কর আদায়কারী
কক্সবাজার পৌরসভা।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইজিন বিকল হয়ে মাঝ সাগরে ভাসছিলো ৩ দিন:ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে উদ্ধার নৌবাহিনীর

This will close in 6 seconds

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

গত ৩ আগস্ট দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় “জেলে বসেই চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে মরিয়া ডাকাত শাহীন” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে আমার নাম জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আমি কক্সবাজার পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারী হিসেবে এক দশক ধরে কর্মরত আছি। আমি কখনো নিয়মবহির্ভূত, দুর্নীতি বা অনিয়মের সাথে জড়িত ছিলাম না।
তাছাড়া আমি পারিবারিকভাবে জমিদার বংশের সন্তান। আমার সকল জমিজমা আমার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া। রামু গর্জনিয়া কবিরাজ বাড়ির সন্তান হিসেবে কক্সবাজার কৃষি অফিস রোডস্থ শর্মা কমপ্লেক্স এর অংশীদার আমি। আমার দাদা মহেন্দ্র কুমার মহাজন তৎকালীন সময়ের জমিদার ছিলেন। আমার বাবাও ওনার বাবার সকল সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে।

উক্ত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, চিহ্নিত কুখ্যাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ‘ডাকাত’ শাহীনকে সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অস্ত্রসহ আটক করে। সে এখন কারাগারে আছে। কিন্তু উক্ত সংবাদে খুব জঘন্য ভাবে আমাকে তার সহযোগী প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে। যেখানে সত্যের অস্তিত্ব নেই। সেখানে বলা হয়, বর্তমানে তার গরু চোরাচালান কার্যক্রম মাঠপর্যায়ে ২২ জন ব্যক্তি পরিচালনার চেষ্টা করছেন। যেখানে আমাকে মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সংবাদে আরও বলা হয়, তাকে জামিনে মুক্ত করতে আমি সক্রিয় ভূমিকা রাখছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। ডাকাত শাহীনের অপরাধ কার্যক্রমে কেউ যদি আমার নূন্যতম সম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে পারে, আমি যা শাস্তি হয় মেনে নেব। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমার কিছু নিকটাত্মীয় ও স্থানীয় প্রতিপক্ষ সংবাদকর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। ২০১২ সাল থেকে আমার পৈত্রিক জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকটি পক্ষের সাথে আমার ঝামেলা চলছে। যা এখনো আদালতে বিচারাধীন যার মামলা নাম্বার ৩৯৩/১৮।
আমি একজন সমাজের সচেতন নাগরিক ও সরকারী কর্মচারী, আমার দায়িত্ববোধ ও দেশ প্রেম আছে। আমিও চাই দেশের সীমান্তবর্তী চোরাচালান বন্ধ হোক। আমি কখনো সীমান্তের আশেপাশে যাইনি, কিন্তু সংবাদে আমাকে সীমান্তের নিয়ন্ত্রক বানিয়ে তিলকে তাল করার এবং শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা মাত্র।

এমন অবান্তর হাস্যকর তথ্য দিয়ে মানুষের কাছে বিব্রতকর ভাবে সংবাদ পরিবেশন কাম্য নয়। সম্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা জাতির বিবেক। আমি অনুরোধ করব সত্য ও সঠিক তথ্য উপাত্ত নিয়ে সবসময় সংবাদ পরিবেশেন করবেন। অন্যথায় আমি দেশের প্রচলিত আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
এছাড়াও দেশের সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আমার জোর দাবী হচ্ছে, তথ্য প্রযুক্তি এখন অনেক দূর এগিয়েছে। আমি কোন চোরাকারবারির সাথে সম্পৃক্ত থাকি, তাদের সাথে যোগাযোগ রাখি তাহলে সেটা আইটি ব্যবহার করে উদঘাটন করা অসম্ভব কিছু নই। তাই মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিক তথ্য প্রমাণ বের করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
নিরুপম শর্মা
সহকারী কর আদায়কারী
কক্সবাজার পৌরসভা।