ঢাকা ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পুলিশের অসহযোগীতার অভিযোগ ভুক্তভোগীর ডাকাত শাহীনের ‘ক্যাশিয়ার’ ইকবালসহ র‍‍্যাবের হাতে দু’জন গ্রেফতার এসএসসিতে সাফল্য ধরে রেখেছে কুতুবদিয়া মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ পায়ুপথে ইয়াবা পাচার: বিএনপি নেতা আটক পাঁচ পুলিশ সদস্য ক্লোজড “আমার ছেলেটা বুকে ফিরে আসুক” উখিয়ার ইউপি সদস্য কামাল হত্যা: বিএনপি নেতাসহ ৮ জনের নামে হত্যা মামলা উখিয়ায় দোকানদার কর্তৃক নারীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি, থানায় মামলা ডাকাত শাহীনের সহযোগী গর্জনিয়ার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাহাঙ্গীর র‍‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার নিখোঁজের ৩ দিন পর নাইক্ষ্যংছড়ির বিবিশন বড়ুয়ার লাশ মিললো খালে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনি প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকানের ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: পুলিশ রাজসাক্ষী হিসেবে সহায়তার শর্তে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা করেছে ট্রাইব্যুনাল পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে জানান কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমা

পাকিস্তানে বৃষ্টি ও বন্যায় একই পরিবারের ১৩ জনসহ ৪৬ জনের মৃত্যু

পাকিস্তানে প্রায় এক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গতকাল সোমবার সরকারিভাবে প্রাণহানি ও আহতের এ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে।

সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) ও প্রাদেশিক জরুরি বিভাগ বলেছে, ৪৬ জনের মধ্যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ২২ জন, পূর্বাঞ্চলের পাঞ্জাবে ১৩ জন, দক্ষিণাঞ্চলের সিন্ধুতে সাতজন ও দক্ষিণ-পশ্চিমের বেলুচিস্তানে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগের উপপরিচালক ইরফান ভার্ক বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে দেশটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

ইরফান ভার্ক আরও বলেন, ২০২২ সালে যেভাবে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছিল, একই রকম আবহাওয়া আবারও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ওই সময় পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন ১ হাজার ৭৩৭ জন।

ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যাকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে প্রাণ হারানোদের মধ্যে একই পরিবারের ১৩ জন সদস্যও আছেন। ওই পরিবারের ১৭ জন সদস্য ভ্রমণে গিয়েছিলেন। গত শুক্রবার তাঁরা খাইবার পাখতুনখাওয়ার সোয়াত নদীতে স্রোতে ভেসে যান। তাঁদের মধ্যে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

প্রাদেশিক জরুরি পরিষেবা বিভাগের মুখপাত্র বিলাল ফয়জির বলেন, পরিবারটির ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ একজনকে খুঁজতে ডুবুরিরা গতকাল সোমবারও অভিযান চালিয়েছেন।

এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জরুরি পরিষেবা বিভাগের প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। অনেকে অভিযোগ করেছেন, এ বিভাগ ধীরগতিতে কাজ করেছে।

এর আগে রোববার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য বিপদের আভাস দিয়েছিল। মানুষকে নদী ও ঝরনা পার না হওয়ার পরামর্শ দেয় তারা।

সূত্র : প্রথম আলো

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

পাকিস্তানে বৃষ্টি ও বন্যায় একই পরিবারের ১৩ জনসহ ৪৬ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০১:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

পাকিস্তানে প্রায় এক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গতকাল সোমবার সরকারিভাবে প্রাণহানি ও আহতের এ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে।

সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) ও প্রাদেশিক জরুরি বিভাগ বলেছে, ৪৬ জনের মধ্যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ২২ জন, পূর্বাঞ্চলের পাঞ্জাবে ১৩ জন, দক্ষিণাঞ্চলের সিন্ধুতে সাতজন ও দক্ষিণ-পশ্চিমের বেলুচিস্তানে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগের উপপরিচালক ইরফান ভার্ক বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে দেশটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

ইরফান ভার্ক আরও বলেন, ২০২২ সালে যেভাবে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছিল, একই রকম আবহাওয়া আবারও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ওই সময় পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন ১ হাজার ৭৩৭ জন।

ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যাকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে প্রাণ হারানোদের মধ্যে একই পরিবারের ১৩ জন সদস্যও আছেন। ওই পরিবারের ১৭ জন সদস্য ভ্রমণে গিয়েছিলেন। গত শুক্রবার তাঁরা খাইবার পাখতুনখাওয়ার সোয়াত নদীতে স্রোতে ভেসে যান। তাঁদের মধ্যে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

প্রাদেশিক জরুরি পরিষেবা বিভাগের মুখপাত্র বিলাল ফয়জির বলেন, পরিবারটির ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ একজনকে খুঁজতে ডুবুরিরা গতকাল সোমবারও অভিযান চালিয়েছেন।

এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জরুরি পরিষেবা বিভাগের প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। অনেকে অভিযোগ করেছেন, এ বিভাগ ধীরগতিতে কাজ করেছে।

এর আগে রোববার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য বিপদের আভাস দিয়েছিল। মানুষকে নদী ও ঝরনা পার না হওয়ার পরামর্শ দেয় তারা।

সূত্র : প্রথম আলো