মহেশখালীতে রাজনৈতিক কথা কাটাকাটির জেরে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীর হামলায় গত ১৪ এপ্রিল খুন হয় স্থানীয় বিএনপির কর্মী রশিদ আহমেদ (৫৫)। রশিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তদের বাড়ি ঘেরাও করে কামরুল হাসান নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দেয়, এসময় উত্তেজিত জনতা কামরুলকে আটক করতে গিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে।
রশিদ আহমেদ হত্যার ঘটনায় পরদিন (১৫ এপ্রিল) নিহতের স্ত্রী খুরশিদা বেগম বাদী হয়ে অভিযুক্তদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় হত্যা মামলার আসামিরা বাদী ও নিহত রশিদের পরিবারকে আসামি করে পাল্টা মামলা করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহত রশিদের পরিবার।
শনিবার (৩১ মে) কালারমারছড়া উত্তর নলবিলায় কক্সবাজার উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত রশিদের স্ত্রী খুরশিদা বেগম ও ছেলে শাওন অভিযোগ করে বলেন, গত ১৪ এপ্রিল কালারমারছড়ার উত্তর নলবিলা গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র রশিদ আহমদকে রাজনৈতিক তুচ্ছ কথা কাটাকাটির জের ধরে একই এলাকার নজু মিয়ার পুত্র অমিত হাসান ও কামরুল পিটিয়ে রশিদকে হত্যা করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা হত্যাকারী কামরুল হাসানকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হলেও পুলিশ এ পর্যন্ত একজন আসামিকেও গ্রেফতার করতে পারেনি। আসামিদের একজন হেলাল উদ্দিন উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়ে আসে। হেলাল উদ্দিন গত ১৩ মে মহেশখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিহতের স্ত্রী, ভাই ও পরিবারের লোকজনসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ এনে পাল্টা মামলা দায়ের করে। আদালত এই মামলাটি মহেশখালী থানায় তদন্তের জন্য পাঠালে পুলিশ এসে উল্টো নিহতের পরিবারের লোকজনকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এই ঘটনায় নিহত রশিদের পরিবার প্রশাসনের প্রশ্রয়ে উল্টো আসামিদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়ানোর অভিযোগ করেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, নিহতের ছেলে মো. শাওন, বড়ভাই নজরুল ইসলাম, ভাতিজা শাহেদুল ইসলাম। তারা নিহত রশিদ আহমেদের হত্যাকারীদের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রত্যাহার এবং রশিদ হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে ন্যায় বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান।