ঢাকা ০৯:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২ লক্ষ ৪৯ হাজার নকল টাকা সহ কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের হাসান মেম্বার আ’ট’ক সীমান্তের ‘ইয়াবা মাফিয়া’ মনির – বরখাস্ত হয়েও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে বহাল! রামুতে স্বর্গপূরী উৎসবে সম্প্রীতির মিলনমেলা… মহেশখালীতে ইজিবাইকসহ চালক অপহরণ: উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী নাগরিকদের পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণ না করার পরামর্শ মার্কিন দূতাবাসের “সমৃদ্ধ কক্সবাজার”-এর নতুন দায়িত্বে শাহীন চেয়ারম্যান, মামুন প্রধান নির্বাহী আগামী নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা মহাসড়কের খরুলিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেলো যুবকের তারুণ্যের অভিযাত্রিক’র “তারুণ্যের মিলনমেলা” সম্পন্ন রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন এখন সম্ভব নয়- খলিলুর হিমছড়িতে পুলিশের চেকপোস্টে ২৮টি মোটরসাইকেল আটক মাত্র ৩৫ মিনিটে পারাপার করতে পারবে ৩শ মানুষ খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘ক্যাশিয়ার’ গ্রেপ্তার সড়কে প্রাণ গেলো দুই যুবকের কক্সবাজারে ৫ সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় শাস্তি দাবি করে সাংবাদিক সংসদের নিন্দা

আজ ‘ধন্যবাদ’ জানানোর দিন

 

এমন একটি শব্দ ভাবুন, যেটিকে প্রায় সব অনুভূতির একক প্রকাশ বলা যেতে পারে। না, ‘ভালোবাসি’ কিংবা ‘দুঃখিত’ নয়। বরং প্রেম, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা, সমর্থন, প্রশংসা এমনকি গ্রহণ, প্রত্যাখ্যান বা দ্বিমতের মতো পরস্পরবিরোধী বক্তব্যেও অবলীলায় ব্যবহার করতে পারেন সেই শব্দ। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, ধন্যবাদ।

এই যে শব্দটি খুঁজে পেয়েছেন বলে আপনাকে যে ধন্যবাদ জানানো হলো, এটা প্রশংসাসূচক ধন্যবাদ। এবার উল্লিখিত অন্যান্য অনুভূতির সঙ্গেও মিলিয়ে দেখুন। দেখবেন কী দারুণ মিলে যায়। তবে সন্দেহ নেই, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ‘ধন্যবাদ’ শব্দটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য। একটিমাত্র শব্দ, সহজ ও সরল। কিন্তু কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের সর্বাধিক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ লেখক ও দার্শনিক গিলবার্ট কিথ চেস্টারটন ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন’কে মানুষের চিন্তার সর্বোচ্চ রূপ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি মনে করি যে ধন্যবাদ তথা কৃতজ্ঞতা হলো চিন্তার সর্বোচ্চ রূপ এবং কৃতজ্ঞতা এমন এক আনন্দ, যা বিস্ময়ে দ্বিগুণ হয়’। অর্থাৎ কৃতজ্ঞতা থেকে সৃষ্ট আনন্দ কেবল মামুলি আনন্দ মাত্র নয়। এ যেন সত্য, সুন্দর ও মহানুভবতার বিস্ময়কর ও সশ্রদ্ধ অভিজ্ঞতা।

ছোট্ট একটি ধন্যবাদ, একটুখানি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাবোধের প্রভাব বিপুল ও সুদূরপ্রসারী। আমাদের শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্য, মনোজাগতিক সুখ, কর্মদক্ষতা ও সাফল্যে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। গবেষণা বলছে, কৃতজ্ঞ মানুষ অন্য যেকোনো মানুষের চেয়ে অধিক সুখী। যেকোনো সম্পর্ক সুন্দরভাবে ধরে রাখার ক্ষেত্রে তাঁরা অনেক বেশি এগিয়ে। কৃতজ্ঞতাবোধ মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমায়। ঘুমের মান বৃদ্ধি করে। দেহে হ্যাপি হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। একটি ‘ধন্যবাদ’ যেকোনো নেতিবাচক মুহূর্তকে এক লহমায় ইতিবাচক করে তুলতে পারে। ‘ধন্যবাদ’ যেন সেই মাস্টার চাবি, যে চাবিতে খুলে যায় সুন্দরের সহস্র দরজা।

আজ ১১ জানুয়ারি, ধন্যবাদ দিবস (থ্যাংকইউ ডে)। আদ্রিয়েন সু কুপারস্মিথ নামের যুক্তরাষ্ট্রের একজন ‘উদ্‌যাপন গুরু’র উদ্যোগে দিনটির চল হয়। ১৯৯৪ সালে তাঁর ব্লগে ‘ধন্যবাদ দিবস’ পালনের ধারণা তুলে ধরেছিলেন তিনি।

ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

২ লক্ষ ৪৯ হাজার নকল টাকা সহ কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের হাসান মেম্বার আ’ট’ক

This will close in 6 seconds

আজ ‘ধন্যবাদ’ জানানোর দিন

আপডেট সময় : ০৭:১৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

 

এমন একটি শব্দ ভাবুন, যেটিকে প্রায় সব অনুভূতির একক প্রকাশ বলা যেতে পারে। না, ‘ভালোবাসি’ কিংবা ‘দুঃখিত’ নয়। বরং প্রেম, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা, সমর্থন, প্রশংসা এমনকি গ্রহণ, প্রত্যাখ্যান বা দ্বিমতের মতো পরস্পরবিরোধী বক্তব্যেও অবলীলায় ব্যবহার করতে পারেন সেই শব্দ। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, ধন্যবাদ।

এই যে শব্দটি খুঁজে পেয়েছেন বলে আপনাকে যে ধন্যবাদ জানানো হলো, এটা প্রশংসাসূচক ধন্যবাদ। এবার উল্লিখিত অন্যান্য অনুভূতির সঙ্গেও মিলিয়ে দেখুন। দেখবেন কী দারুণ মিলে যায়। তবে সন্দেহ নেই, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ‘ধন্যবাদ’ শব্দটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য। একটিমাত্র শব্দ, সহজ ও সরল। কিন্তু কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের সর্বাধিক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ লেখক ও দার্শনিক গিলবার্ট কিথ চেস্টারটন ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন’কে মানুষের চিন্তার সর্বোচ্চ রূপ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি মনে করি যে ধন্যবাদ তথা কৃতজ্ঞতা হলো চিন্তার সর্বোচ্চ রূপ এবং কৃতজ্ঞতা এমন এক আনন্দ, যা বিস্ময়ে দ্বিগুণ হয়’। অর্থাৎ কৃতজ্ঞতা থেকে সৃষ্ট আনন্দ কেবল মামুলি আনন্দ মাত্র নয়। এ যেন সত্য, সুন্দর ও মহানুভবতার বিস্ময়কর ও সশ্রদ্ধ অভিজ্ঞতা।

ছোট্ট একটি ধন্যবাদ, একটুখানি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাবোধের প্রভাব বিপুল ও সুদূরপ্রসারী। আমাদের শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্য, মনোজাগতিক সুখ, কর্মদক্ষতা ও সাফল্যে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। গবেষণা বলছে, কৃতজ্ঞ মানুষ অন্য যেকোনো মানুষের চেয়ে অধিক সুখী। যেকোনো সম্পর্ক সুন্দরভাবে ধরে রাখার ক্ষেত্রে তাঁরা অনেক বেশি এগিয়ে। কৃতজ্ঞতাবোধ মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমায়। ঘুমের মান বৃদ্ধি করে। দেহে হ্যাপি হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। একটি ‘ধন্যবাদ’ যেকোনো নেতিবাচক মুহূর্তকে এক লহমায় ইতিবাচক করে তুলতে পারে। ‘ধন্যবাদ’ যেন সেই মাস্টার চাবি, যে চাবিতে খুলে যায় সুন্দরের সহস্র দরজা।

আজ ১১ জানুয়ারি, ধন্যবাদ দিবস (থ্যাংকইউ ডে)। আদ্রিয়েন সু কুপারস্মিথ নামের যুক্তরাষ্ট্রের একজন ‘উদ্‌যাপন গুরু’র উদ্যোগে দিনটির চল হয়। ১৯৯৪ সালে তাঁর ব্লগে ‘ধন্যবাদ দিবস’ পালনের ধারণা তুলে ধরেছিলেন তিনি।

ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে