ঢাকা ০৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রামুর আলেচিত টমটম চালক সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজারে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে পুলিশ দেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত, শহুরে কর্মজীবীদের তিন-চতুর্থাংশই ভুক্তভোগী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রধান উপদেষ্টা আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর মহেশখালী-কুতুবদিয়া সংসদীয় আসনের জন্য এনসিপি থেকে মনোনয়ন ফরম নিলেন এডভোকেট নাজমুস সাকিব বেঁচে থাকাটাই আনন্দের: বিদ্যা সিনহা মিম যেদিন সম্পদ ও সন্তান কোনো কাজে আসবে না উখিয়ার খালে মিলল নারীর বস্তাবন্দি ম’র’দে’হ, প’লা’তক স্বামী ‘চুমু’ নিয়ে প্রেমিকা শিপুর সাথে অভিমানে সৌরভের আ’ত্ম’হত্যা! – দাবী বন্ধুদের ‘লক্ষী আসন’ খ্যাত কক্সবাজার-৪ এ এনসিপির প্রার্থী হচ্ছেন ক্রীড়া সংগঠক হোসাইন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছেন কয়েকজন জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট জনবিরোধী সিদ্ধান্ত – হামিদুর রহমান আযাদ প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদের প্রতিক্রিয়া মাদকাসক্ত ব্যক্তির পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিলো র‍্যাব: চিকিৎসা চলবে ‘নোঙরে’

আজ ‘ধন্যবাদ’ জানানোর দিন

 

এমন একটি শব্দ ভাবুন, যেটিকে প্রায় সব অনুভূতির একক প্রকাশ বলা যেতে পারে। না, ‘ভালোবাসি’ কিংবা ‘দুঃখিত’ নয়। বরং প্রেম, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা, সমর্থন, প্রশংসা এমনকি গ্রহণ, প্রত্যাখ্যান বা দ্বিমতের মতো পরস্পরবিরোধী বক্তব্যেও অবলীলায় ব্যবহার করতে পারেন সেই শব্দ। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, ধন্যবাদ।

এই যে শব্দটি খুঁজে পেয়েছেন বলে আপনাকে যে ধন্যবাদ জানানো হলো, এটা প্রশংসাসূচক ধন্যবাদ। এবার উল্লিখিত অন্যান্য অনুভূতির সঙ্গেও মিলিয়ে দেখুন। দেখবেন কী দারুণ মিলে যায়। তবে সন্দেহ নেই, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ‘ধন্যবাদ’ শব্দটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য। একটিমাত্র শব্দ, সহজ ও সরল। কিন্তু কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের সর্বাধিক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ লেখক ও দার্শনিক গিলবার্ট কিথ চেস্টারটন ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন’কে মানুষের চিন্তার সর্বোচ্চ রূপ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি মনে করি যে ধন্যবাদ তথা কৃতজ্ঞতা হলো চিন্তার সর্বোচ্চ রূপ এবং কৃতজ্ঞতা এমন এক আনন্দ, যা বিস্ময়ে দ্বিগুণ হয়’। অর্থাৎ কৃতজ্ঞতা থেকে সৃষ্ট আনন্দ কেবল মামুলি আনন্দ মাত্র নয়। এ যেন সত্য, সুন্দর ও মহানুভবতার বিস্ময়কর ও সশ্রদ্ধ অভিজ্ঞতা।

ছোট্ট একটি ধন্যবাদ, একটুখানি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাবোধের প্রভাব বিপুল ও সুদূরপ্রসারী। আমাদের শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্য, মনোজাগতিক সুখ, কর্মদক্ষতা ও সাফল্যে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। গবেষণা বলছে, কৃতজ্ঞ মানুষ অন্য যেকোনো মানুষের চেয়ে অধিক সুখী। যেকোনো সম্পর্ক সুন্দরভাবে ধরে রাখার ক্ষেত্রে তাঁরা অনেক বেশি এগিয়ে। কৃতজ্ঞতাবোধ মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমায়। ঘুমের মান বৃদ্ধি করে। দেহে হ্যাপি হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। একটি ‘ধন্যবাদ’ যেকোনো নেতিবাচক মুহূর্তকে এক লহমায় ইতিবাচক করে তুলতে পারে। ‘ধন্যবাদ’ যেন সেই মাস্টার চাবি, যে চাবিতে খুলে যায় সুন্দরের সহস্র দরজা।

আজ ১১ জানুয়ারি, ধন্যবাদ দিবস (থ্যাংকইউ ডে)। আদ্রিয়েন সু কুপারস্মিথ নামের যুক্তরাষ্ট্রের একজন ‘উদ্‌যাপন গুরু’র উদ্যোগে দিনটির চল হয়। ১৯৯৪ সালে তাঁর ব্লগে ‘ধন্যবাদ দিবস’ পালনের ধারণা তুলে ধরেছিলেন তিনি।

ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

রামুর আলেচিত টমটম চালক সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

This will close in 6 seconds

আজ ‘ধন্যবাদ’ জানানোর দিন

আপডেট সময় : ০৭:১৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

 

এমন একটি শব্দ ভাবুন, যেটিকে প্রায় সব অনুভূতির একক প্রকাশ বলা যেতে পারে। না, ‘ভালোবাসি’ কিংবা ‘দুঃখিত’ নয়। বরং প্রেম, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা, সমর্থন, প্রশংসা এমনকি গ্রহণ, প্রত্যাখ্যান বা দ্বিমতের মতো পরস্পরবিরোধী বক্তব্যেও অবলীলায় ব্যবহার করতে পারেন সেই শব্দ। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, ধন্যবাদ।

এই যে শব্দটি খুঁজে পেয়েছেন বলে আপনাকে যে ধন্যবাদ জানানো হলো, এটা প্রশংসাসূচক ধন্যবাদ। এবার উল্লিখিত অন্যান্য অনুভূতির সঙ্গেও মিলিয়ে দেখুন। দেখবেন কী দারুণ মিলে যায়। তবে সন্দেহ নেই, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ‘ধন্যবাদ’ শব্দটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য। একটিমাত্র শব্দ, সহজ ও সরল। কিন্তু কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের সর্বাধিক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ লেখক ও দার্শনিক গিলবার্ট কিথ চেস্টারটন ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন’কে মানুষের চিন্তার সর্বোচ্চ রূপ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি মনে করি যে ধন্যবাদ তথা কৃতজ্ঞতা হলো চিন্তার সর্বোচ্চ রূপ এবং কৃতজ্ঞতা এমন এক আনন্দ, যা বিস্ময়ে দ্বিগুণ হয়’। অর্থাৎ কৃতজ্ঞতা থেকে সৃষ্ট আনন্দ কেবল মামুলি আনন্দ মাত্র নয়। এ যেন সত্য, সুন্দর ও মহানুভবতার বিস্ময়কর ও সশ্রদ্ধ অভিজ্ঞতা।

ছোট্ট একটি ধন্যবাদ, একটুখানি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাবোধের প্রভাব বিপুল ও সুদূরপ্রসারী। আমাদের শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্য, মনোজাগতিক সুখ, কর্মদক্ষতা ও সাফল্যে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। গবেষণা বলছে, কৃতজ্ঞ মানুষ অন্য যেকোনো মানুষের চেয়ে অধিক সুখী। যেকোনো সম্পর্ক সুন্দরভাবে ধরে রাখার ক্ষেত্রে তাঁরা অনেক বেশি এগিয়ে। কৃতজ্ঞতাবোধ মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমায়। ঘুমের মান বৃদ্ধি করে। দেহে হ্যাপি হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। একটি ‘ধন্যবাদ’ যেকোনো নেতিবাচক মুহূর্তকে এক লহমায় ইতিবাচক করে তুলতে পারে। ‘ধন্যবাদ’ যেন সেই মাস্টার চাবি, যে চাবিতে খুলে যায় সুন্দরের সহস্র দরজা।

আজ ১১ জানুয়ারি, ধন্যবাদ দিবস (থ্যাংকইউ ডে)। আদ্রিয়েন সু কুপারস্মিথ নামের যুক্তরাষ্ট্রের একজন ‘উদ্‌যাপন গুরু’র উদ্যোগে দিনটির চল হয়। ১৯৯৪ সালে তাঁর ব্লগে ‘ধন্যবাদ দিবস’ পালনের ধারণা তুলে ধরেছিলেন তিনি।

ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে