ঢাকা ০১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মহাসড়কের খরুলিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেলো যুবকের তারুণ্যের অভিযাত্রিক’র “তারুণ্যের মিলনমেলা” সম্পন্ন রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন এখন সম্ভব নয়- খলিলুর হিমছড়িতে পুলিশের চেকপোস্টে ২৮টি মোটরসাইকেল আটক মাত্র ৩৫ মিনিটে পারাপার করতে পারবে ৩শ মানুষ খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘ক্যাশিয়ার’ গ্রেপ্তার সড়কে প্রাণ গেলো দুই যুবকের কক্সবাজারে ৫ সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় শাস্তি দাবি করে সাংবাদিক সংসদের নিন্দা জলকেলি উৎসবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা: কক্সবাজার মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের নিন্দা ও প্রতিবাদ কক্সবাজারে ‘মাহা সাংগ্রেং পোওয়ে’ শুরু কক্সবাজারের শাহেদা রিপা প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হয়ে যাচ্ছেন কাতার মহেশখালীতে টিআর প্রকল্পের সড়ক উন্নয়ন কাজে চরম অনিয়ম কক্সবাজারে আধুনিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শেষ হবে ‘২৭ এর ডিসেম্বরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইওএমে’র ওয়্যার হাউজ থেকে বনের কাঠ জব্দ বাফুফে অনূর্ধ্ব ১৫ জাতীয় ফুটবল লীগে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের শুভ সূচনা

৬ দিনে ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে

তীব্র গরমের মাঝেও ঈদের লম্বা ছুটিতে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার ছিল পর্যটকে টইটম্বুর। টানা ৬ দিনে আগমন ঘটে ৭ লাখ ভ্রমণপিপাসুর। যার কারণে চাঙা ছিল পর্যটনখাতের সব ধরনের ব্যবসা। চেম্বার অফ কমার্সের মতে, এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে, যা প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি।

ঈদের পরদিন থেকে সৈকত শহরে প্রতিদিন লাখো পর্যটক আসতে থাকে। ঈদের পরদিন থেকে প্রতিদিনই লাখের বেশি পর্যটকে মুখরিত ছিল সাগরতীর। পর্যটকরা সাগরের নোনাজলে মেতে ওঠার পাশাপাশি উপভোগ করেন নানা রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার, যেমন জেড স্কি, বিচ বাইক এবং ঘোড়ার পিঠে ভ্রমণ। এতে সৈকতপাড়ের শামুক-ঝিনুক, শুঁটকি, আচার, গহনা ও বার্মিজ পণ্যের দোকানিদের মধ্যে ব্যস্ততার শেষ ছিল না।

সৈকতের ফটোগ্রাফার মোহাম্মদ গফুর বলেন, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে প্রচুর পর্যটক। ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা আয় করেছি পর্যটকের ছবি তুলে। সৈকতে প্রায় ৬’শ ফটোগ্রাফার রয়েছে, সবারই একই অবস্থা।

জেড স্কী চালক মুন্না বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পর্যটকদের জেড স্কীতে চড়িয়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় হয়। ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটক আসায় ভাল ব্যবসা হচ্ছে।

বার্মিজ পণ্যের দোকানদার রহিম উদ্দিন বলেন, রমজান একমাস পর্যটক শূন্য ছিল। তাই ব্যবসা হয়নি। কিন্তু ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসায় প্রতিদিনই ৬০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যবসা হয়েছে।

কক্সবাজারে রয়েছে ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস। টানা ছুটিতে হোটেলগুলো ছিল পর্যটকে ঠাসা। প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবসা হয়েছে বলে দাবি হোটেল কর্তৃপক্ষের।

হোটেল কক্স টুডের ব্যবস্থাপক আবু তালেব শাহ বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী এবারের ছুটিতে ব্যবসা হয়েছে। কারণ নিরাপদে কক্সবাজার ঘুরতে পেরেছেন পর্যটকরা। পর্যটকের যে আগমন কক্সবাজারে হচ্ছে, তা আগামী ১৪ এপ্রিল অব্যাহত থাকবে প্রত্যাশা করছি। ব্যবসা খুবই ভালো হচ্ছে।

কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, ঈদের ছুটিতে গত ছয়দিনে প্রায় ৭ লাখ পর্যটকের আগমন হয়েছে কক্সবাজারে। তাই পর্যটনের সবখাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

সৈকতের পাড় ঘেঁষে রয়েছে সহস্রাধিক বার্মিজ পণ্যের দোকান। আর আছেন সহস্রাধিক ফটোগ্রাফার, জেড স্কি, বিচ বাইক চালক ও কিটকট ব্যবসায়ী।

 

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

মহাসড়কের খরুলিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেলো যুবকের

This will close in 6 seconds

৬ দিনে ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে

আপডেট সময় : ০৭:০২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

তীব্র গরমের মাঝেও ঈদের লম্বা ছুটিতে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার ছিল পর্যটকে টইটম্বুর। টানা ৬ দিনে আগমন ঘটে ৭ লাখ ভ্রমণপিপাসুর। যার কারণে চাঙা ছিল পর্যটনখাতের সব ধরনের ব্যবসা। চেম্বার অফ কমার্সের মতে, এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে, যা প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি।

ঈদের পরদিন থেকে সৈকত শহরে প্রতিদিন লাখো পর্যটক আসতে থাকে। ঈদের পরদিন থেকে প্রতিদিনই লাখের বেশি পর্যটকে মুখরিত ছিল সাগরতীর। পর্যটকরা সাগরের নোনাজলে মেতে ওঠার পাশাপাশি উপভোগ করেন নানা রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার, যেমন জেড স্কি, বিচ বাইক এবং ঘোড়ার পিঠে ভ্রমণ। এতে সৈকতপাড়ের শামুক-ঝিনুক, শুঁটকি, আচার, গহনা ও বার্মিজ পণ্যের দোকানিদের মধ্যে ব্যস্ততার শেষ ছিল না।

সৈকতের ফটোগ্রাফার মোহাম্মদ গফুর বলেন, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে প্রচুর পর্যটক। ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা আয় করেছি পর্যটকের ছবি তুলে। সৈকতে প্রায় ৬’শ ফটোগ্রাফার রয়েছে, সবারই একই অবস্থা।

জেড স্কী চালক মুন্না বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পর্যটকদের জেড স্কীতে চড়িয়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় হয়। ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটক আসায় ভাল ব্যবসা হচ্ছে।

বার্মিজ পণ্যের দোকানদার রহিম উদ্দিন বলেন, রমজান একমাস পর্যটক শূন্য ছিল। তাই ব্যবসা হয়নি। কিন্তু ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসায় প্রতিদিনই ৬০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যবসা হয়েছে।

কক্সবাজারে রয়েছে ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস। টানা ছুটিতে হোটেলগুলো ছিল পর্যটকে ঠাসা। প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবসা হয়েছে বলে দাবি হোটেল কর্তৃপক্ষের।

হোটেল কক্স টুডের ব্যবস্থাপক আবু তালেব শাহ বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী এবারের ছুটিতে ব্যবসা হয়েছে। কারণ নিরাপদে কক্সবাজার ঘুরতে পেরেছেন পর্যটকরা। পর্যটকের যে আগমন কক্সবাজারে হচ্ছে, তা আগামী ১৪ এপ্রিল অব্যাহত থাকবে প্রত্যাশা করছি। ব্যবসা খুবই ভালো হচ্ছে।

কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, ঈদের ছুটিতে গত ছয়দিনে প্রায় ৭ লাখ পর্যটকের আগমন হয়েছে কক্সবাজারে। তাই পর্যটনের সবখাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

সৈকতের পাড় ঘেঁষে রয়েছে সহস্রাধিক বার্মিজ পণ্যের দোকান। আর আছেন সহস্রাধিক ফটোগ্রাফার, জেড স্কি, বিচ বাইক চালক ও কিটকট ব্যবসায়ী।