ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার এসে পর্যটকদের আর চিন্তা নেই এসে গেছে ‘ভ্রমণিকা’ অ্যাপ শুক্রবার কক্সবাজার আসছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব জামালপুরের ‘যৌনপল্লী’ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প – মাদকের এডি দিদারুলের যত অপকর্ম! সাংবাদিককে ফাঁসাতে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লাইভ নাটক! “আমার বোনের কান্না, আর না-আর না” পেকুয়ার বানৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাঁটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বানৌজা পেকুয়া পেকুয়ার নৌঘাঁটি সহ সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা-স্থাপনার নাম পরিবর্তন ধর্ম উপদেষ্টা কক্সবাজার আসছেন সোমবার: জেলা মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন চকরিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান: ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা মব ভায়োল্যান্স সৃষ্টিকারী সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: মাহফুজ আলম ব্যারিস্টার সাফফাত ফারদিন চৌধুরী – মরিচ্যাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন সভাপতি রিজার্ভ এখন ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার ধর্ষণের মামলা ৯০ দিনে শেষ করতে আইন হচ্ছে : উপদেষ্টা বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হলেন কাজল বদরখালীতে মহেশখালী পারাপারের গাড়ি যখন ইচ্ছে আটকে দিচ্ছে কতিপয় লোকজন

উপকূল এবং সাগরে প্লাস্টিক দূষণরোধে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযান

কক্সবাজারের নাজিরারটেকে প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্য ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপকূল এবং সাগরে প্লাস্টিক দূষণরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করা হয়। শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি মৎস্যজীবীদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্লাস্টিকজাত বা প্যাকেটজাত পন্য কিভাবে সাগর ও পরিবেশের সাথে মিশে যাচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এর পরিণাম কি হতে পারে সে বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে কর্মসূচিটির আয়োজন করে GenLab। এতে অংশগ্রহণ করে প্রায় ৫০ টি মৎস্যজীবী পরিবার, ২৫ জন স্কুল শিক্ষার্থী সহ স্থানীয় মৎস্যজীবী, মৎস্যজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও মৎস্যজীবী পরিবারের নারী সদস্যগণ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে মাধ্যমে প্রায় ৮০ কেজি প্লাস্টিকজাত বর্জ্য সংগ্রহ করেন।

প্রধান অতিথি সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জনাব সুজিত রায় তার বক্তব্যে বলেন, সাগরে প্লাস্টিকদূষণ বৃদ্ধির কারণে মাছের উৎপাদন আশংকাজনকহারে কমে যাবে। তাছাড়া মাইক্রোপ্লাস্টিক মাছের দেহে প্রবেশ করে পরবর্তীতে মানুষের শরীরে প্রবেশের মাধ্যমে ক্যান্সারসহ মরণঘাতী রোগ সৃষ্টি করবে। তাই প্লাস্টিক ব্যবহার এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সকলকে সচেতন হতে হবে।

মৎস্যজীবী লিডার জনাব আবুল কাশেম বলেন, আমরা মৎস্যজীবীরা যেসব প্লাস্টিকজাত খাবার বা পানীয় নিয়ে সাগরে যাই সেগুলোর প্যাকেট সাগরে না ফেলে কূলে নিয়ে এসে বর্জ্য ফেলার স্থানে ফেলব। এছাড়া বাড়িতে ব্যবহৃত বর্জ্যও যেখানে সেখানে না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলব।
কর্মসূচির শেষে মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্য, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য সকলে জলবায়ুর পরিবর্তন ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করার লক্ষ্যে জলবায়ু শপথ পাঠ করেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজার এসে পর্যটকদের আর চিন্তা নেই এসে গেছে ‘ভ্রমণিকা’ অ্যাপ

This will close in 6 seconds

উপকূল এবং সাগরে প্লাস্টিক দূষণরোধে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযান

আপডেট সময় : ০৩:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজারের নাজিরারটেকে প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্য ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপকূল এবং সাগরে প্লাস্টিক দূষণরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করা হয়। শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি মৎস্যজীবীদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্লাস্টিকজাত বা প্যাকেটজাত পন্য কিভাবে সাগর ও পরিবেশের সাথে মিশে যাচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এর পরিণাম কি হতে পারে সে বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে কর্মসূচিটির আয়োজন করে GenLab। এতে অংশগ্রহণ করে প্রায় ৫০ টি মৎস্যজীবী পরিবার, ২৫ জন স্কুল শিক্ষার্থী সহ স্থানীয় মৎস্যজীবী, মৎস্যজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও মৎস্যজীবী পরিবারের নারী সদস্যগণ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে মাধ্যমে প্রায় ৮০ কেজি প্লাস্টিকজাত বর্জ্য সংগ্রহ করেন।

প্রধান অতিথি সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জনাব সুজিত রায় তার বক্তব্যে বলেন, সাগরে প্লাস্টিকদূষণ বৃদ্ধির কারণে মাছের উৎপাদন আশংকাজনকহারে কমে যাবে। তাছাড়া মাইক্রোপ্লাস্টিক মাছের দেহে প্রবেশ করে পরবর্তীতে মানুষের শরীরে প্রবেশের মাধ্যমে ক্যান্সারসহ মরণঘাতী রোগ সৃষ্টি করবে। তাই প্লাস্টিক ব্যবহার এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সকলকে সচেতন হতে হবে।

মৎস্যজীবী লিডার জনাব আবুল কাশেম বলেন, আমরা মৎস্যজীবীরা যেসব প্লাস্টিকজাত খাবার বা পানীয় নিয়ে সাগরে যাই সেগুলোর প্যাকেট সাগরে না ফেলে কূলে নিয়ে এসে বর্জ্য ফেলার স্থানে ফেলব। এছাড়া বাড়িতে ব্যবহৃত বর্জ্যও যেখানে সেখানে না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলব।
কর্মসূচির শেষে মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্য, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য সকলে জলবায়ুর পরিবর্তন ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করার লক্ষ্যে জলবায়ু শপথ পাঠ করেন।