বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ সম্মাননা “প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড” অর্জন করেছেন পেকুয়া মুক্ত স্কাউট গ্রুপের মোহাম্মদ ইমন। এই গ্রুপের প্রথম কোনো সদস্য এই সম্মান অর্জন করলো।
১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রোগ্রাম বিভাগের পরিচালক মাহফুজা পারভীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে মোহাম্মদ ইমনকে ২০২৪ সালের জন্য চূড়ান্তভাবে প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
স্কাউট ইমনের এই অর্জন কোনো তাৎক্ষণিক সাফল্য নয়—এটি দীর্ঘ দিনের কঠোর পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতা, সমাজসেবা, এবং নৈতিক মূল্যবোধ চর্চার ফল,এমনটাই বলছেন এ এই স্কাউট গ্রুপের সদস্যরা । এই অ্যাওয়ার্ড অর্জনে একজন স্কাউটকে উপজেলা, জেলা, অঞ্চল এবং জাতীয় পর্যায়ে লিখিত, মৌখিক, ব্যবহারিক ও সাঁতারসহ বহু ধাপের পরীক্ষায় সফলভাবে অতিক্রম করতে হয়।
এছাড়া বাধ্যতামূলকভাবে অর্জন করতে হয় কমপক্ষে ১৬টি পারদর্শিতা ব্যাজ, যার মধ্যে রয়েছে—প্রথমিক চিকিৎসা, ক্যাম্পিং, পরিবেশ সুরক্ষা, রান্না, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সমাজসেবা, নেতৃত্ব গুণাবলি।
পেকুয়া মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক ও গ্রুপ স্কাউট লিডার স্কাউটার মো. আরকান বলেন, “ইমনের এই অর্জন শুধু পেকুয়া মুক্ত স্কাউট গ্রুপের জন্য নয়, বরং সমগ্র কক্সবাজার জেলার জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। স্কাউটিং শুধুমাত্র শারীরিক কৌশলের চর্চা নয়, এটি একজন মানুষকে আত্মনির্ভরশীল ও মানবিক করে গড়ে তোলে। আমরা এখন কোয়ালিটি স্কাউটিং নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছি যাতে ভবিষ্যতে আমাদের গ্রুপ থেকে আরও প্রেসিডেন্ট’স অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী স্কাউট তৈরি হয়।”
গ্রুপের সভাপতি স্কাউটার জাকের আহমদ বলেন, “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরিত এই অ্যাওয়ার্ড একজন স্কাউটের জীবনে অনন্য গৌরবের প্রতীক। এটি তার আত্মবিশ্বাস ও নেতৃত্বের গুণ বিকাশে অনুপ্রেরণা যোগাবে।”
ইমন তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান,“এই স্বীকৃতি আমার জন্য যেমন গর্বের, তেমনি দায়িত্বের। আমি আমার অর্জন উৎসর্গ করছি আমার অভিভাবক ও স্কাউট লিডারদের প্রতি, যাঁরা আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করেছেন। ভবিষ্যতে আমি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চাই।”
রেজাউল করিম, পেকুয়া। 

























