ঢাকা ১০:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আমজাদ হ’ত্যা মামলার আসামী জসিম গ্রেফতার : কারাগারে প্রেরণ ১৫ নভেম্বর জেলা যুবদলের সমাবেশ উপলক্ষ্যে শহর যুবদলের প্রস্তুতি সভা টেকনাফে কাফনের কাপড় পরে আব্দুল্লাহ’র অনুসারীদের মশাল মিছিল, সড়ক অবরোধ ১৫ নভেম্বরের যুব সমাবেশ সফল করতে পেকুয়া যুবদলের প্রস্তুতি সভা জেলা শহরের সাথে দুরত্ব কমবে ২৭ কিলোমিটার: ভারুয়াখালী সেতুর কাজ শেষ হবে কবে? মহেশখালীতে রাসায়নিক স্প্রে ছিটিয়ে পানের বরজ নষ্ট করার অভিযোগ ট্রাভেল ব্যাগের ভিতরে পাচার হচ্ছিলো ১২ কেজি গাঁজা: র‌্যাবের অভিযানে স্ত্রামী-স্ত্রী আটক সৈকতের বালুতটে স্মৃতির আঁচড়ে বন্ধুত্বের রঙিন দিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কারণ নেই: আইন উপদেষ্টা প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু, ৬৫ হাজার স্কুলে ক্লাস বন্ধ ইজিন বিকল হয়ে মাঝ সাগরে ভাসছিলো ৩ দিন:ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে উদ্ধার নৌবাহিনীর সাংবাদিক আতিককে অপহরণ ও হামলার ঘটনায় ‘আদালতে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা ৬ বছর পর পেকুয়াসহ ৫ উপজেলায় “শহীদ জিয়া মেধা বৃত্তি” পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সেন্টমার্টিনে অবৈধ ট্রলার ও থাই জালসহ ১৯ জেলে আটক ইউনুস হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে উত্তাল টেকনাফ : থানা ঘেরাও

মাতারবাড়ি বন্দরের মালামাল পাচার: মহেশখালী থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রাক আটক

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি বন্দর এলাকা থেকে কোটি টাকার সরকারি মালামাল পাচারের সময় একটি ট্রাক আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। বুধবার ভোররাতে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ট্রাকটি আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, আটক ট্রাকটি মাতারবাড়ি এলএনজি টার্মিনাল এলাকা থেকে মূল্যবান এলএনজি পাইপ, স্ক্র্যাপ ও সিটসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। চালক ও শ্রমিকরা মালামালের বৈধ চালান বা প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে ট্রাকটি মালামালসহ পটিয়া হাইওয়ে থানায় আটক রাখা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাতারবাড়ি, ধলঘাটা ও কালারমার ছড়া আফজালিয়া পাড়ার কিছু অসাধু ব্যক্তি মিলে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। তারা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প এলাকা থেকে নিয়মিতভাবে মূল্যবান মালামাল চুরি ও পাচার করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, এই চক্রটি প্রকল্পের ভেতরের কিছু অসাধু কর্মচারীর সহযোগিতায় বন্দর এলাকার মালামাল বাইরে সরিয়ে নেয়।

জানা গেছে- মীর আক্তার কোম্পানির পাথর ভেন্ডার মারুফের ট্রাক থেকে এসব মাল উদ্ধার করা হয়। কোম্পানির হিসাবরক্ষক মিরাজ প্রথমে দাবি করেন, তারা টেন্ডারের মাধ্যমে স্ক্র্যাপ ও পাইপ কিনেছেন, তবে কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ভেন্ডার মারুফ ফোন রিসিভ করেননি।

অন্যদিকে, মীর আক্তার কোম্পানির প্রজেক্ট ম্যানেজার আবু সাদাত সায়েম বলেন, “আমরা শুধু পাথর বিক্রি করেছি, এলএনজি পাইপ বা স্ক্র্যাপ বিক্রির কোনো অনুমতি দেইনি।”

মহেশখালী থানার ওসি মনজুরুল হক জানান, বিষয়টি জেনেছি- ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং চোরাই মাল কীভাবে বন্দর এলাকা থেকে বের হলো, তা অনুসন্ধান করা হবে।

মাতারবাড়ি বন্দরের ক্যাপ্টেন আতাউল বলেন- এসব সামগ্রী ‘সাবিট’ নামের আরেক সংস্থা তত্ত্বাবধান করে। অভিযোগ পেলে বিষয়টি যাচাই করা হবে।

এদিকে, স্থানীয় সচেতন মহল সরকারি মূল্যবান সম্পদ চুরি ও পাচারে জড়িত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

আমজাদ হ’ত্যা মামলার আসামী জসিম গ্রেফতার : কারাগারে প্রেরণ

This will close in 6 seconds

মাতারবাড়ি বন্দরের মালামাল পাচার: মহেশখালী থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রাক আটক

আপডেট সময় : ০২:৩৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি বন্দর এলাকা থেকে কোটি টাকার সরকারি মালামাল পাচারের সময় একটি ট্রাক আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। বুধবার ভোররাতে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ট্রাকটি আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, আটক ট্রাকটি মাতারবাড়ি এলএনজি টার্মিনাল এলাকা থেকে মূল্যবান এলএনজি পাইপ, স্ক্র্যাপ ও সিটসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। চালক ও শ্রমিকরা মালামালের বৈধ চালান বা প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে ট্রাকটি মালামালসহ পটিয়া হাইওয়ে থানায় আটক রাখা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাতারবাড়ি, ধলঘাটা ও কালারমার ছড়া আফজালিয়া পাড়ার কিছু অসাধু ব্যক্তি মিলে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। তারা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প এলাকা থেকে নিয়মিতভাবে মূল্যবান মালামাল চুরি ও পাচার করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, এই চক্রটি প্রকল্পের ভেতরের কিছু অসাধু কর্মচারীর সহযোগিতায় বন্দর এলাকার মালামাল বাইরে সরিয়ে নেয়।

জানা গেছে- মীর আক্তার কোম্পানির পাথর ভেন্ডার মারুফের ট্রাক থেকে এসব মাল উদ্ধার করা হয়। কোম্পানির হিসাবরক্ষক মিরাজ প্রথমে দাবি করেন, তারা টেন্ডারের মাধ্যমে স্ক্র্যাপ ও পাইপ কিনেছেন, তবে কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ভেন্ডার মারুফ ফোন রিসিভ করেননি।

অন্যদিকে, মীর আক্তার কোম্পানির প্রজেক্ট ম্যানেজার আবু সাদাত সায়েম বলেন, “আমরা শুধু পাথর বিক্রি করেছি, এলএনজি পাইপ বা স্ক্র্যাপ বিক্রির কোনো অনুমতি দেইনি।”

মহেশখালী থানার ওসি মনজুরুল হক জানান, বিষয়টি জেনেছি- ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং চোরাই মাল কীভাবে বন্দর এলাকা থেকে বের হলো, তা অনুসন্ধান করা হবে।

মাতারবাড়ি বন্দরের ক্যাপ্টেন আতাউল বলেন- এসব সামগ্রী ‘সাবিট’ নামের আরেক সংস্থা তত্ত্বাবধান করে। অভিযোগ পেলে বিষয়টি যাচাই করা হবে।

এদিকে, স্থানীয় সচেতন মহল সরকারি মূল্যবান সম্পদ চুরি ও পাচারে জড়িত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।