ঢাকা ০১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জীবন বাঁচালো মৌমাছির কামড়! খুটাখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠিত সৈয়দ আহবায়ক আক্তার সদস্য সচিব খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ: প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইউএনও ক্যথোয়াইপ্রু মারমা বৃষ্টি থাকছে জুন জুড়ে আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস আজ রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: জাতিসংঘে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শনিবার ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে কক্সবাজার শহর রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: জাতিসংঘে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মহেশখালী উপজেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত কক্সবাজারে সম্পন্ন হয়েছে ‘জেন্ডার এটিকেট’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অস্ত্রসহ গ্রেফতার মুবিনুল যুবদলের কেউ নয় দাবী মহেশখালীতে যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক এক ২৪ ঘন্টায় ৬০ জন ‘শয়তান শিকার’ কক্সবাজার পুলিশের! কক্সবাজারে জাতীয় ফলমেলা ২০২৫ এর উদ্বোধন আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’

ভারি বর্ষনে রোহিঙ্গা শিবিরে ৫৩ ভূমিধস ও নিহত এক আহত ১১

চলমান প্রবল বৃষ্টিপাতে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে হতাহতসহ ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশন ইউএনএইচসিআর।

সোমবার বিকেলে সংস্থাটির পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মাত্র দুই দিনের ভারী বর্ষণে ৩৩টি শিবিরে ৫৩টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে বন্যা ও ঝড়ো হাওয়ায় এক হাজার চারশোর বেশি আশ্রয়স্থল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। দেওয়াল ধসে একজন প্রাণ হারিয়েছেন ও বজ্রপাতে আহত হয়েছেন এগারো জন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউএনএইচসিআর অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিনিধি জুলিয়েট মুরেকেইসনি বলেন, “খাড়া ঢালু জায়গা, বন্যা এবং অস্থায়ী আশ্রয় মিলিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, আর ঝড়ো হাওয়ায় বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে তৈরি ঘরগুলোকে আরও দুর্বল করে তুলছে।”

তিনি আরও বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে এবং কমিউনাল সেন্টারগুলোতে স্থানান্তরে শরণার্থী স্বেচ্ছাসেবকরা সহায়তা করছেন। কিন্তু শেল্টারের জন্য আমাদের আরও জায়গা দরকার।”

সংস্থাটি জানায়, বর্ষার আগেই ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয়ের সংকট ছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মিয়ানমার থেকে নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে সংকট আরও বেড়েছে। কেউ কেউ আত্মীয়দের সঙ্গে থাকছেন যাদের ঘরও সুরক্ষিত নয়।

মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত বর্ষা চলবে বলে সতর্ক করে ইউএনএইচসিআর জানায়, ঘুমানোর ম্যাট, পানিশোধন ট্যাবলেট, দড়ি ও জেরিক্যানের মতো জরুরি উপকরণ মজুত রাখা হচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তায় প্রস্তুত রয়েছেন।

তবে অর্থ সংকটে এই প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস বলেন, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণ এমন এলাকায় বাস করছেন যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি সবসময় থাকে।

২০২৫ সালের জন্য রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় ৯৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার তহবিল চেয়েছে মানবিক সংস্থাগুলো। তবে বছরের অর্ধেক পার হলেও এখনও ২০ শতাংশেরও কম অর্থায়ন মিলেছে বলে জানান লুইস।

তিনি বলেন, আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করব কিন্তু এই কঠিন সময়ে রোহিঙ্গাদের অবহেলা করতে পারি না, এই সংকটাপন্ন জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে আমরা দাতাদের জরুরি সহায়তার আহ্বান জানাই।

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

ভারি বর্ষনে রোহিঙ্গা শিবিরে ৫৩ ভূমিধস ও নিহত এক আহত ১১

আপডেট সময় : ০৮:২৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

চলমান প্রবল বৃষ্টিপাতে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে হতাহতসহ ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশন ইউএনএইচসিআর।

সোমবার বিকেলে সংস্থাটির পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মাত্র দুই দিনের ভারী বর্ষণে ৩৩টি শিবিরে ৫৩টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে বন্যা ও ঝড়ো হাওয়ায় এক হাজার চারশোর বেশি আশ্রয়স্থল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। দেওয়াল ধসে একজন প্রাণ হারিয়েছেন ও বজ্রপাতে আহত হয়েছেন এগারো জন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউএনএইচসিআর অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিনিধি জুলিয়েট মুরেকেইসনি বলেন, “খাড়া ঢালু জায়গা, বন্যা এবং অস্থায়ী আশ্রয় মিলিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, আর ঝড়ো হাওয়ায় বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে তৈরি ঘরগুলোকে আরও দুর্বল করে তুলছে।”

তিনি আরও বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে এবং কমিউনাল সেন্টারগুলোতে স্থানান্তরে শরণার্থী স্বেচ্ছাসেবকরা সহায়তা করছেন। কিন্তু শেল্টারের জন্য আমাদের আরও জায়গা দরকার।”

সংস্থাটি জানায়, বর্ষার আগেই ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয়ের সংকট ছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মিয়ানমার থেকে নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে সংকট আরও বেড়েছে। কেউ কেউ আত্মীয়দের সঙ্গে থাকছেন যাদের ঘরও সুরক্ষিত নয়।

মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত বর্ষা চলবে বলে সতর্ক করে ইউএনএইচসিআর জানায়, ঘুমানোর ম্যাট, পানিশোধন ট্যাবলেট, দড়ি ও জেরিক্যানের মতো জরুরি উপকরণ মজুত রাখা হচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তায় প্রস্তুত রয়েছেন।

তবে অর্থ সংকটে এই প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস বলেন, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণ এমন এলাকায় বাস করছেন যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি সবসময় থাকে।

২০২৫ সালের জন্য রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় ৯৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার তহবিল চেয়েছে মানবিক সংস্থাগুলো। তবে বছরের অর্ধেক পার হলেও এখনও ২০ শতাংশেরও কম অর্থায়ন মিলেছে বলে জানান লুইস।

তিনি বলেন, আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করব কিন্তু এই কঠিন সময়ে রোহিঙ্গাদের অবহেলা করতে পারি না, এই সংকটাপন্ন জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে আমরা দাতাদের জরুরি সহায়তার আহ্বান জানাই।