ঢাকা ১১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার কলেজে বেগম জিয়াকে নিয়ে ‘মিমিক্রি’ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন মহেশখালীর সলিমুল্লাহ খানসহ ১০ জন কক্সবাজার শহরে নিম্নমানের সড়ক বাতি: সন্ধ্যা হলে জ্বলেনা মহেশখালীতে দিনে বালি পাচারের অভিযোগ: রাতে খননযন্ত্রসহ ট্রাক্টর পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা পালংখালী ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি অনুমোদন ১৬ বছর পর কারামুক্ত বিডিআরের ১৬৮ সদস্য এবার ৫ স্কুলের ১৫০ শিক্ষার্থী পাচ্ছে সুন্দর হস্তাক্ষর পুরস্কার কুতুবদিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা বিজিবি টেকনাফ থেকে সাড়ে ৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করলো যেভাবে! সেন্ট মার্টিনে কুকুর নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ বাঁচতে চায় জটিল রোগে আক্রান্ত আজিজ, সাহায্যের প্রয়োজন কক্সবাজার সরকারি কলেজে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পিঠা উৎসব এবং উদ্ভাবনী ও উদ্যোক্তা মেলা শুরু ‘স্বেচ্ছায় পাচার’ হতে গিয়ে ফিরলেন লাশ হয়ে টেকনাফে গড়ে উঠেছে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ পাপ্পু হুজি শহীদুলের আপন ভাতিজা নয়

‘বাংলাদেশি রোগী দেখব না’ ঘোষণার বিরোধিতা কলকাতার চিকিৎসকদের

বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপরে হামলা ও ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ তুলে “বাংলাদেশি রোগী দেখব না” বলে যে ঘোষণা দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার কয়েকটি হাসপাতাল এবং কয়েকজন চিকিৎসক। যদিও এই ঘোষণার বিরোধিতা করে আসছে কলকাতার কয়েকটি বড় হাসপাতাল ও ডাক্তারদের একটা বড় অংশ। কলকাতার চিকিৎসকদের ও হাসপাতালগুলোর সংগঠনও বলছে, রোগীদের কোনো জাত, ধর্ম না দেখেই চিকিৎসা করা তাদের কর্তব্য।

এদিকে সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সংগঠন জানিয়েছে বাংলাদেশের রোগী আসা প্রায় ৭০% কমে গেছে। ফলে যেসব হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের ওপর অনেকতাই নির্ভরশীল ছিল, তাদের কাছে এটা বড় ধাক্কা।

কলকাতার একটি হাসপাতাল ও দুইজন চিকিৎসকের বাংলাদেশি রোগী না দেখার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন চিকিৎসকও।

এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মানস গুমটা বিবিসিকে বলেছেন, “একজন চিকিৎসক হিসাবে কোনো বিশেষ দেশের বা বিশেষ ধর্মের রোগী দেখব না এটা বলা যায় না। ডাক্তার হতে গেলে যে শপথ নিতে হয়, এ ধরনের কথা তার পরিপন্থী।”

তিনি আরও বলেন, “একজন অপরাধীও আমাদের কাছে রোগী হিসাবে এলে তার চিকিৎসা করাটাই আমাদের অন্যতম শপথ।”

তার কথায়, “এটা একজন ডাক্তার হিসাবে এবং সংগঠন হিসাবে নৈতিকভাবে আমরা এটা বলতে পারি না ঠিকই, কিন্তু যে অল্প কয়েকজন ডাক্তার এরকম ঘোষণা করেছেন, তারা গভীর মানসিক যন্ত্রণা থেকেই এরকম বলেছেন বলে আমার ধারণা। বাংলাদেশে যা ঘটছে, তাতে বিচলিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে- সেই যন্ত্রণা থেকেই হয়ত কয়েকজন ডাক্তার বা হাসপাতাল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

অ্যাসোসিয়েশন অব হসপিটালস অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ও কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী অফিসার রূপক বড়ুয়া বিবিসি বাংলাকে বলেন, “একজন রোগী তো রোগীই- তার তো কোনো জাত-ধর্ম থাকতে পারে না। আমাদের দায়িত্ব তিনি এলে তাকে চিকিৎসা দিতে হবে। বাংলাদেশি রোগী দেখব না, এটা বলা যায় না।”

কক্সবাজার কলেজে বেগম জিয়াকে নিয়ে ‘মিমিক্রি’

This will close in 6 seconds

‘বাংলাদেশি রোগী দেখব না’ ঘোষণার বিরোধিতা কলকাতার চিকিৎসকদের

আপডেট সময় : ০২:৪২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপরে হামলা ও ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ তুলে “বাংলাদেশি রোগী দেখব না” বলে যে ঘোষণা দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার কয়েকটি হাসপাতাল এবং কয়েকজন চিকিৎসক। যদিও এই ঘোষণার বিরোধিতা করে আসছে কলকাতার কয়েকটি বড় হাসপাতাল ও ডাক্তারদের একটা বড় অংশ। কলকাতার চিকিৎসকদের ও হাসপাতালগুলোর সংগঠনও বলছে, রোগীদের কোনো জাত, ধর্ম না দেখেই চিকিৎসা করা তাদের কর্তব্য।

এদিকে সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সংগঠন জানিয়েছে বাংলাদেশের রোগী আসা প্রায় ৭০% কমে গেছে। ফলে যেসব হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের ওপর অনেকতাই নির্ভরশীল ছিল, তাদের কাছে এটা বড় ধাক্কা।

কলকাতার একটি হাসপাতাল ও দুইজন চিকিৎসকের বাংলাদেশি রোগী না দেখার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন চিকিৎসকও।

এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মানস গুমটা বিবিসিকে বলেছেন, “একজন চিকিৎসক হিসাবে কোনো বিশেষ দেশের বা বিশেষ ধর্মের রোগী দেখব না এটা বলা যায় না। ডাক্তার হতে গেলে যে শপথ নিতে হয়, এ ধরনের কথা তার পরিপন্থী।”

তিনি আরও বলেন, “একজন অপরাধীও আমাদের কাছে রোগী হিসাবে এলে তার চিকিৎসা করাটাই আমাদের অন্যতম শপথ।”

তার কথায়, “এটা একজন ডাক্তার হিসাবে এবং সংগঠন হিসাবে নৈতিকভাবে আমরা এটা বলতে পারি না ঠিকই, কিন্তু যে অল্প কয়েকজন ডাক্তার এরকম ঘোষণা করেছেন, তারা গভীর মানসিক যন্ত্রণা থেকেই এরকম বলেছেন বলে আমার ধারণা। বাংলাদেশে যা ঘটছে, তাতে বিচলিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে- সেই যন্ত্রণা থেকেই হয়ত কয়েকজন ডাক্তার বা হাসপাতাল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

অ্যাসোসিয়েশন অব হসপিটালস অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ও কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী অফিসার রূপক বড়ুয়া বিবিসি বাংলাকে বলেন, “একজন রোগী তো রোগীই- তার তো কোনো জাত-ধর্ম থাকতে পারে না। আমাদের দায়িত্ব তিনি এলে তাকে চিকিৎসা দিতে হবে। বাংলাদেশি রোগী দেখব না, এটা বলা যায় না।”