ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মহেশখালী ও রামু থানার ওসি প্রত্যাহার ১৭ বছর পর কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ৫শ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন ঈদের ছুটিতে হোটেলে অতিরিক্ত রুম ভাড়া নিলেই ব্যবস্থা – জেলা প্রশাসন চকরিয়ায় একেএস ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও একেএস ফার্মেসি উদ্বোধন জমি বিরোধ: চকরিয়ায় যুবক খুন নুসরাত ফারিয়ার জামিন মঞ্জুর উখিয়ায় ইয়াবাসহ স্কুল শিক্ষক গ্রেফতার – পরিবারের দাবী ‘ষ’ড়’যন্ত্র কক্সবাজার পলিটেকনিকে ছাত্রদল ও শিবিরের পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ: আহত ৮ কক্সবাজার সিটি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ প্রতিবেদন, নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ এনসিপি ‘সেকুলারিস্ট’ নয়, ‘ধর্মতান্ত্রিকও’ নয়: নাহিদ নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার বিব্রতকর একটা ঘটনা: উপদেষ্টা ফারুকী ৯ জুলাই থেকে ১৩ আগস্ট দেশে ছিলেন না নুসরাত ফারিয়া আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষয়ক্ষতি পুনরুদ্ধারে জেলা পর্যায়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জব্দ করা অর্থ-সম্পদ দিয়ে ফান্ড গঠন করবে সরকার: গভর্নর ঈদুল আজহায় মসলার কৃত্রিম সংকট তৈরি না করতে কঠোর নজরদারি- জেলা প্রশাসক

খুনের মামলায় ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের রিমান্ড মঞ্জুর

খুনের মামলায় ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (হাটহাজারী অঞ্চল) কাজী মো. তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ২৯ আগস্ট অক্সিজেন–কুয়াইশ সড়কের অনন্যা আবাসিক এলাকায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি খুন বায়েজিদ বোস্তামী থানা সীমানা–সংলগ্ন হাটহাজারীতে পড়েছে। সেই খুনের মামলায় সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের ২৯ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরের অনন্যা আবাসিক এলাকা–সংলগ্ন অক্সিজেন–কুয়াইশ সড়কে দুই যুবককে গুলি করা হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাসুদ কায়সার ও মো. আনিস। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, নগরের অনন্যা আবাসিক এলাকায় নাহার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দিয়ে দুজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলে আসা দুষ্কৃতকারীর ছোড়া গুলিতে আনিস ঘটনাস্থলে মারা যান। কায়সার দৌড়ে কিছু দূর যাওয়ার পর মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁকে ধাওয়া করে ধরে গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় কায়সারকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মাসুদ কায়সারকে যেখানে গুলি করে খুন করা হয়েছে, সেটি নগরের শেষ প্রান্ত পেরিয়ে হাটহাজারী উপজেলার কুয়াইশ এলাকায় পড়েছে। এ জন্য তাঁর ভাই মো. আরিফ বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন। মামলায় সাজ্জাদসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। এতে পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে খুনের কথা উল্লেখ করা হয়।

গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে তাঁকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন নগর পুলিশ কমিশনার। সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে ফেসবুক লাইভে এসে পেটানোর হুমকি দেওয়ার পর ৩০ জানুয়ারি ধরিয়ে দিতে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১৫টি মামলা রয়েছে। সাজ্জাদ কারাগারে থাকার সময় ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়ায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় করা মামলায়ও সাজ্জাদকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

সূত্র: প্রথম আলো

ট্যাগ :

মহেশখালী ও রামু থানার ওসি প্রত্যাহার

This will close in 6 seconds

খুনের মামলায় ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের রিমান্ড মঞ্জুর

আপডেট সময় : ০৫:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

খুনের মামলায় ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (হাটহাজারী অঞ্চল) কাজী মো. তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ২৯ আগস্ট অক্সিজেন–কুয়াইশ সড়কের অনন্যা আবাসিক এলাকায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি খুন বায়েজিদ বোস্তামী থানা সীমানা–সংলগ্ন হাটহাজারীতে পড়েছে। সেই খুনের মামলায় সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের ২৯ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরের অনন্যা আবাসিক এলাকা–সংলগ্ন অক্সিজেন–কুয়াইশ সড়কে দুই যুবককে গুলি করা হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাসুদ কায়সার ও মো. আনিস। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, নগরের অনন্যা আবাসিক এলাকায় নাহার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দিয়ে দুজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলে আসা দুষ্কৃতকারীর ছোড়া গুলিতে আনিস ঘটনাস্থলে মারা যান। কায়সার দৌড়ে কিছু দূর যাওয়ার পর মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁকে ধাওয়া করে ধরে গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় কায়সারকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মাসুদ কায়সারকে যেখানে গুলি করে খুন করা হয়েছে, সেটি নগরের শেষ প্রান্ত পেরিয়ে হাটহাজারী উপজেলার কুয়াইশ এলাকায় পড়েছে। এ জন্য তাঁর ভাই মো. আরিফ বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন। মামলায় সাজ্জাদসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। এতে পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে খুনের কথা উল্লেখ করা হয়।

গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে তাঁকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন নগর পুলিশ কমিশনার। সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে ফেসবুক লাইভে এসে পেটানোর হুমকি দেওয়ার পর ৩০ জানুয়ারি ধরিয়ে দিতে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১৫টি মামলা রয়েছে। সাজ্জাদ কারাগারে থাকার সময় ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়ায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় করা মামলায়ও সাজ্জাদকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

সূত্র: প্রথম আলো