ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ভালো ফল করেও অনার্স শেষ হলোনা রামুর সেই উষা বড়ুয়ার রামুর আলেচিত টমটম চালক সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজারে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে পুলিশ দেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত, শহুরে কর্মজীবীদের তিন-চতুর্থাংশই ভুক্তভোগী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রধান উপদেষ্টা আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর মহেশখালী-কুতুবদিয়া সংসদীয় আসনের জন্য এনসিপি থেকে মনোনয়ন ফরম নিলেন এডভোকেট নাজমুস সাকিব বেঁচে থাকাটাই আনন্দের: বিদ্যা সিনহা মিম যেদিন সম্পদ ও সন্তান কোনো কাজে আসবে না উখিয়ার খালে মিলল নারীর বস্তাবন্দি ম’র’দে’হ, প’লা’তক স্বামী ‘চুমু’ নিয়ে প্রেমিকা শিপুর সাথে অভিমানে সৌরভের আ’ত্ম’হত্যা! – দাবী বন্ধুদের ‘লক্ষী আসন’ খ্যাত কক্সবাজার-৪ এ এনসিপির প্রার্থী হচ্ছেন ক্রীড়া সংগঠক হোসাইন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছেন কয়েকজন জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট জনবিরোধী সিদ্ধান্ত – হামিদুর রহমান আযাদ প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদের প্রতিক্রিয়া

অপহরণ ও সন্ত্রাস দমনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রামে উখিয়া-টেকনাফের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

  • নোমান অরুপ
  • আপডেট সময় : ০২:২১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • 346

উখিয়া টেকনাফে দিন দুপুরে অপহরণ বাণিজ্য ও প্রশাসনের নিরব ভুমিকার প্রতিবাদ এবং অপহরণ দমনে অভিযানের দাবিতে চট্টগ্রামস্থ উখিয়া-টেকনাফের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ইং) দুপুর আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যাল কলেজের শিক্ষার্থী, ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান অপহরণ, সন্ত্রাস এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সশস্ত্র গোষ্ঠীর কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গ জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী স্থানীয় জনপদে অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়গুলো সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দখলে, যারা অপহরণ, মুক্তি আদায়, এবং জমি দখলের মতো অপরাধে জড়িত।

একটি সংবাদ থেকে পাওয়া সূত্রে আন্দোলনকারিদের দাবি ২০২৪ সালে এক বছরে ১৮৭ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এসব অপহরণের ফলে অনেক পরিবার আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে, আর মুক্তিপন দিতে না পারায় বহু প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।

এসময় এই পরিস্থিতিতে টেকনাফ ও উখিয়ার সাধারণ জনগণ বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করেন।

দাবী সমূহ হল :
১. পাহাড়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নির্মূলে নিয়মিত যৌথ অভিযান পরিচালনা।

২. অপহরণ চক্রের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত।

৩. রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাফেরা বন্ধে কড়া নজরদারি এবং ক্যাম্প এলাকায় পুলিশ চৌকি স্থাপন।

৪. পাহাড় ও স্থানীয় লোকালয়ে নিয়মিত পুলিশি টহল এবং ড্রোন অভিযানের মাধ্যমে নজরদারি।

৫. পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

৬. সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম নজরদারিতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।

৭. ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা।

মানববন্ধন শেষে ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল (চট্টগ্রাম রেঞ্জ) মহোদয় বরাবর টেকনাফ-উখিয়ার অপহরণ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দ্রুত প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে ৭ দফা দাবি বিশিষ্ট একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভালো ফল করেও অনার্স শেষ হলোনা রামুর সেই উষা বড়ুয়ার

This will close in 6 seconds

অপহরণ ও সন্ত্রাস দমনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রামে উখিয়া-টেকনাফের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০২:২১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

উখিয়া টেকনাফে দিন দুপুরে অপহরণ বাণিজ্য ও প্রশাসনের নিরব ভুমিকার প্রতিবাদ এবং অপহরণ দমনে অভিযানের দাবিতে চট্টগ্রামস্থ উখিয়া-টেকনাফের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ইং) দুপুর আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যাল কলেজের শিক্ষার্থী, ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান অপহরণ, সন্ত্রাস এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সশস্ত্র গোষ্ঠীর কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গ জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী স্থানীয় জনপদে অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়গুলো সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দখলে, যারা অপহরণ, মুক্তি আদায়, এবং জমি দখলের মতো অপরাধে জড়িত।

একটি সংবাদ থেকে পাওয়া সূত্রে আন্দোলনকারিদের দাবি ২০২৪ সালে এক বছরে ১৮৭ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এসব অপহরণের ফলে অনেক পরিবার আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে, আর মুক্তিপন দিতে না পারায় বহু প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।

এসময় এই পরিস্থিতিতে টেকনাফ ও উখিয়ার সাধারণ জনগণ বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করেন।

দাবী সমূহ হল :
১. পাহাড়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নির্মূলে নিয়মিত যৌথ অভিযান পরিচালনা।

২. অপহরণ চক্রের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত।

৩. রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাফেরা বন্ধে কড়া নজরদারি এবং ক্যাম্প এলাকায় পুলিশ চৌকি স্থাপন।

৪. পাহাড় ও স্থানীয় লোকালয়ে নিয়মিত পুলিশি টহল এবং ড্রোন অভিযানের মাধ্যমে নজরদারি।

৫. পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

৬. সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম নজরদারিতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।

৭. ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা।

মানববন্ধন শেষে ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল (চট্টগ্রাম রেঞ্জ) মহোদয় বরাবর টেকনাফ-উখিয়ার অপহরণ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দ্রুত প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে ৭ দফা দাবি বিশিষ্ট একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।