ঢাকা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মহেশখালীতে পুলিশের অভিযানে আটক-১ সাংবাদিক হাফিজের বাবার জানাজা সোমবার সকাল ১০ টায় সাংবাদিক হাফিজের বাবার ইন্তেকাল: টিটিএনের শোক “গোলদীঘিতে ধরা পড়া কাতলা মাছটি ১১ কেজি নয়, প্রকৃত ওজন ৬ কেজি” আসছে “মন্থা”, কক্সবাজারে বৃষ্টি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে: আঘাত হানবে মঙ্গল বা বুধবার প্রথম দিনই ধরা পড়ল আড়াই কেজির ইলিশ, ৯২০০ টাকায় বিক্রি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, কোথায়, কখন আঘাত হানতে পারে সবুজ ঘাসে ঢাকা চট্টগ্রামের উইকেট, কেমন হবে রান পাবনায় ট্রাকচাপায় বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩ কি হতে পারে: নির্বাচন, না নতুন অন্তর্বর্তী সরকার? ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়লো বাসটার্মিনাল এলাকার বাসিন্দারা টেকনাফ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক: দলীয় লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন উখিয়ায় পুলিশের পৃথক অভিযানে মিলল ১০ হাজার ইয়াবা ওপার থেকে ছোড়া গুলি পায়ে বিঁধলো নারীর
অস্ত্র ও ১৪ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার চার

‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশী অস্ত্রের কেনাবেচা করছে নবী হোসেন গ্রুপ’

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিদেশী অস্ত্র কেনাবেচার সময় এবার অস্ত্র ও নগদ টাকাসহ চারজনকে গ্রেফতারের দাবী করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা প্রত্যেকেই ক্যাম্পের কথিত ‘কুখ্যাত ডাকাত’ নবী হোসেন গ্রুপের সদস্য।

ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন- এপিবিএন-৮ এর অধিনায়ক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ জানান, সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে রোববার সন্ধায় ক্যাম্প ১১ থেকে নগদ ১৪ লক্ষ টাকা ও বিদেশী অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্রটি UZI SMG মডেলের। যেটি মিয়ানমার সেনাবাহিনী ব্যবহার করে থাকে।

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আশ্রয় শিবিরের ১১ নম্বর ক্যাম্পের সি/৬ ব্লক এর মাঝি কেফায়েত এর বাড়িতে কেনাবেচার সময় ওই অভিযান চালানো হয়। তবে মূল অস্ত্র ব্যবসায়ী ইলিয়াস পালিয়ে যায়।

এসময় গ্রেফতার হয়েছেন ক্যাম্প ১১, ব্লক ই এর মোঃ আনাস (৩০), ক্যাম্প ৯, ব্লক সি-১৪ এর মনসুর আহমেদ (৩২), ক্যাম্প ৯, ব্লক সি-১৬ ইয়াসের আরাফাত (৩৫), ক্যাম্প ১১, ব্লক সি-৬ কেফায়েত উল্লাহ (৩৫)।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা রোহিঙ্গা ডাকাত নবী হোসেন দলের সদস্য বলে স্বীকার করার কথা জানিয়েছেন এই এপিবিএন কর্মকর্তা।

তিনি জানান, অস্ত্রটি ক্যাম্প ৮ (ইস্ট) এ নবী হোসেনের আস্তানায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো বলে তারা জানতে পেরেছেন।

এদিকে কথিত ‘কুখ্যাত ডাকাত’ নবী হোসেন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে এপিবিএন ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।

গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডাকাত নবী হোসেন ARA (Arakan Rohyinga Army) এর কমান্ডার হিসেবে কাজ করছে। বর্তমানে সে তার দলের সদস্যদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় পাঠিয়ে দেয়। পাশাপাশি সে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে অস্ত্র ও ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত।

২০২৩ সালে নবী হোসেন মায়ানমারের চাকমা কাটা, তমব্রু থেকে বাংলাদেশে আসে এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে সে Rohyinga Committee for Peace and Repatriation (RCPR) এর প্রধান দলনেতা দিল মোহাম্মদের অধীনে Arakan Rohyinga Army (ARA) গ্রুপের প্রধান হিসেবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। অতীতে বহুবার অস্ত্রের মহড়া ও ইয়াবা চোরাচালানের সাথে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও বাংলাদেশী প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সংস্থার ছত্রছায়ায় থাকার কারনে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানানো হয় ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।

তবে সেসব ব্যক্তি ও সংস্থার নাম বলেনি তারা।

“বর্তমানে নবী হোসেন ক্যাম্প ৮(ইস্ট) এ অবৈধভাবে বাসস্থান হিসেবে দালান বাড়ি গড়ে তুলেছে। ক্যাম্পের অভ্যন্তরে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সে ৬০ ফিট দীর্ঘ ও ২০ ফিট প্রস্থের পাকা বাসস্থান নির্মান করেছে।”

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

অস্ত্র ও ১৪ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার চার

‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশী অস্ত্রের কেনাবেচা করছে নবী হোসেন গ্রুপ’

আপডেট সময় : ০৩:২৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিদেশী অস্ত্র কেনাবেচার সময় এবার অস্ত্র ও নগদ টাকাসহ চারজনকে গ্রেফতারের দাবী করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা প্রত্যেকেই ক্যাম্পের কথিত ‘কুখ্যাত ডাকাত’ নবী হোসেন গ্রুপের সদস্য।

ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন- এপিবিএন-৮ এর অধিনায়ক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ জানান, সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে রোববার সন্ধায় ক্যাম্প ১১ থেকে নগদ ১৪ লক্ষ টাকা ও বিদেশী অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্রটি UZI SMG মডেলের। যেটি মিয়ানমার সেনাবাহিনী ব্যবহার করে থাকে।

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আশ্রয় শিবিরের ১১ নম্বর ক্যাম্পের সি/৬ ব্লক এর মাঝি কেফায়েত এর বাড়িতে কেনাবেচার সময় ওই অভিযান চালানো হয়। তবে মূল অস্ত্র ব্যবসায়ী ইলিয়াস পালিয়ে যায়।

এসময় গ্রেফতার হয়েছেন ক্যাম্প ১১, ব্লক ই এর মোঃ আনাস (৩০), ক্যাম্প ৯, ব্লক সি-১৪ এর মনসুর আহমেদ (৩২), ক্যাম্প ৯, ব্লক সি-১৬ ইয়াসের আরাফাত (৩৫), ক্যাম্প ১১, ব্লক সি-৬ কেফায়েত উল্লাহ (৩৫)।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা রোহিঙ্গা ডাকাত নবী হোসেন দলের সদস্য বলে স্বীকার করার কথা জানিয়েছেন এই এপিবিএন কর্মকর্তা।

তিনি জানান, অস্ত্রটি ক্যাম্প ৮ (ইস্ট) এ নবী হোসেনের আস্তানায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো বলে তারা জানতে পেরেছেন।

এদিকে কথিত ‘কুখ্যাত ডাকাত’ নবী হোসেন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে এপিবিএন ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।

গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডাকাত নবী হোসেন ARA (Arakan Rohyinga Army) এর কমান্ডার হিসেবে কাজ করছে। বর্তমানে সে তার দলের সদস্যদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় পাঠিয়ে দেয়। পাশাপাশি সে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে অস্ত্র ও ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত।

২০২৩ সালে নবী হোসেন মায়ানমারের চাকমা কাটা, তমব্রু থেকে বাংলাদেশে আসে এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে সে Rohyinga Committee for Peace and Repatriation (RCPR) এর প্রধান দলনেতা দিল মোহাম্মদের অধীনে Arakan Rohyinga Army (ARA) গ্রুপের প্রধান হিসেবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। অতীতে বহুবার অস্ত্রের মহড়া ও ইয়াবা চোরাচালানের সাথে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও বাংলাদেশী প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সংস্থার ছত্রছায়ায় থাকার কারনে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানানো হয় ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।

তবে সেসব ব্যক্তি ও সংস্থার নাম বলেনি তারা।

“বর্তমানে নবী হোসেন ক্যাম্প ৮(ইস্ট) এ অবৈধভাবে বাসস্থান হিসেবে দালান বাড়ি গড়ে তুলেছে। ক্যাম্পের অভ্যন্তরে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সে ৬০ ফিট দীর্ঘ ও ২০ ফিট প্রস্থের পাকা বাসস্থান নির্মান করেছে।”