ঢাকা ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন আশার সঞ্চার- রোহিঙ্গারাও চায় আশ্রয় জীবনের ‘শেষ ঈদ’ চিরতরে বন্ধু সংগঠন’র উদ্যোগে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ ঈদগাঁওতে গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত, আহত – ৩ রামুতে ১০ হাজার পিস ইয়াবা পাচারের অভিযোগে ২ যুবক আটক কুতুবদিয়ায় বড়ঘোপ ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহেশখালীতে শিশুকে বলৎকার: অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে জনতা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়া এক ভয়াবহ বিপর্যয়- জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস লাখো রোহিঙ্গার ইফতারে পদদলিত হয়ে একজনের মৃত্যু আপনারা যে বোঝা হতে চাননা সেটা উনিও (গুতেরেস) বুঝেছেন – রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ড. ইউনূস চাটগাঁ’র ‘ইউনূস’ – কক্সবাজারের সব কর্মসূচিতে প্রধান উপদেষ্টা’র কন্ঠে আঞ্চলিক ভাষা রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: গুতেরেস  কক্সবাজারে নির্মাণাধীন বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। কক্সবাজার মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত.. মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, নিহত ১, আহত ৪ রোহিঙ্গাদের ‘সাংস্কৃতিক স্মৃতি কেন্দ্রে’ জাতিসংঘ মহাসচিব

নতুন আশার সঞ্চার- রোহিঙ্গারাও চায় আশ্রয় জীবনের ‘শেষ ঈদ’

‘ইউএন টেইক আস টু আওয়ার হোম ব্যাক’, সমবেত লাখো মুখের মাঝে এমন আহবান সম্বলিত প্লেকার্ড দীর্ঘক্ষণ ছিলো রোহিঙ্গা এক যুবকের হাতে।

নিজ দেশে ফেরার আকুতি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টায় কমতি রাখেনি বাংলাদেশে ৮ বছর ধরে আশ্রিত রোহিঙ্গারা।

বলা হচ্ছে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) উখিয়ার ২০ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত ‘সলিডারিটি ইফতার’ কোনো বিশ্ব নেতৃত্বের উপস্থিতিতে সাম্প্রতিক সময়কালে অন্যতম বৃহৎ আয়োজন।

যেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস তাঁর বক্তব্যে সারাবিশ্বকে আবারো মনে করিয়ে দিলেন নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের কথা।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে কি ধরনের পরিস্থিতি মুখে এখানে এসেছে, তা আমাকে জানিয়েছে। তারা ঘরে ফিরতে চায়, মিয়ানমার তাদের মাতৃভূমি, স্বেচ্ছায় এবং নিরাপদে সেখানে ফিরে যাওয়া হচ্ছে এই সংকটের প্রাথমিক সমাধান”।

ইফতারের আগে জাতিসংঘ মহাসচিব বক্তব্য রাখলেও সাথে থাকা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোন বক্তব্য দেন নি।

পরে ইফতার আয়োজন শেষে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দেন তিনি।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় রাখা বক্তব্যে রোহিঙ্গাদেরকে তিনি বলেন, “আপনারা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবকে যে অনুরোধ জানিয়েছেন, আমরা তা গুরুত্বের সঙ্গে তার কাছে উপস্থাপন করছি। আপনাদের যত দ্রুত সম্ভব নিজ দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা যায়, আমরা নিরলসভাবে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি”।

এবার না হলেও আগামী বছর রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন বলে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টার কথায় আরাকানের মায়ায় উদগ্রীব রোহিঙ্গারা যেনো নতুনভাবে উজ্জীবিত হয়েছেন বাড়ির ফেরার স্বপ্নে।

ইফতারে অংশ নিয়ে মনোযোগ দিয়ে কথাগুলো শুনেছেন উখিয়ার ৪ নং ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ ইয়াসিন।

এক প্রতিক্রিয়ায় টিটিএনকে তিনি বলেন, ” আমি খুবই ভাগ্যবান এতো বড় আয়োজনে শরিক (অংশ নেওয়া) হতে পেরে। মনে হচ্ছে খুব শীঘ্রই সোনার আরকানে আমরা ফিরতে যাচ্ছি, এখন শুধু স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষা। ”

রোহিঙ্গা মাঝি (কমিউনিটি নেতা) আজিজের কন্ঠে ছিলো প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের বন্দনা।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষা বুঝতে পেরে খুশি হওয়া আজিজ বলেন, “বাংলাদেশের অবদান রোহিঙ্গাদের কাছে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে, এবারের ঈদটা আমরা খুব আনন্দের সাথে বাংলাদেশী ভাই-বোনদের নিয়ে এখানে শেষ ঈদ হিসেবে উদযাপন করতে চাই।”

রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহাম্মদ জুবায়ের বলেন, ” আমরা জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেসের প্রতি ও প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞ। উনাদের উদারতা আমাদের কে অনুপ্রাণিত করেছে।”

খুব শীঘ্রই রাখাইনে ‘সেইফ জোন’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তৎপর হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন আশার সঞ্চার- রোহিঙ্গারাও চায় আশ্রয় জীবনের ‘শেষ ঈদ’

This will close in 6 seconds

নতুন আশার সঞ্চার- রোহিঙ্গারাও চায় আশ্রয় জীবনের ‘শেষ ঈদ’

আপডেট সময় : ০২:৫২:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

‘ইউএন টেইক আস টু আওয়ার হোম ব্যাক’, সমবেত লাখো মুখের মাঝে এমন আহবান সম্বলিত প্লেকার্ড দীর্ঘক্ষণ ছিলো রোহিঙ্গা এক যুবকের হাতে।

নিজ দেশে ফেরার আকুতি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টায় কমতি রাখেনি বাংলাদেশে ৮ বছর ধরে আশ্রিত রোহিঙ্গারা।

বলা হচ্ছে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) উখিয়ার ২০ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত ‘সলিডারিটি ইফতার’ কোনো বিশ্ব নেতৃত্বের উপস্থিতিতে সাম্প্রতিক সময়কালে অন্যতম বৃহৎ আয়োজন।

যেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস তাঁর বক্তব্যে সারাবিশ্বকে আবারো মনে করিয়ে দিলেন নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের কথা।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে কি ধরনের পরিস্থিতি মুখে এখানে এসেছে, তা আমাকে জানিয়েছে। তারা ঘরে ফিরতে চায়, মিয়ানমার তাদের মাতৃভূমি, স্বেচ্ছায় এবং নিরাপদে সেখানে ফিরে যাওয়া হচ্ছে এই সংকটের প্রাথমিক সমাধান”।

ইফতারের আগে জাতিসংঘ মহাসচিব বক্তব্য রাখলেও সাথে থাকা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোন বক্তব্য দেন নি।

পরে ইফতার আয়োজন শেষে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দেন তিনি।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় রাখা বক্তব্যে রোহিঙ্গাদেরকে তিনি বলেন, “আপনারা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবকে যে অনুরোধ জানিয়েছেন, আমরা তা গুরুত্বের সঙ্গে তার কাছে উপস্থাপন করছি। আপনাদের যত দ্রুত সম্ভব নিজ দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা যায়, আমরা নিরলসভাবে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি”।

এবার না হলেও আগামী বছর রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন বলে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টার কথায় আরাকানের মায়ায় উদগ্রীব রোহিঙ্গারা যেনো নতুনভাবে উজ্জীবিত হয়েছেন বাড়ির ফেরার স্বপ্নে।

ইফতারে অংশ নিয়ে মনোযোগ দিয়ে কথাগুলো শুনেছেন উখিয়ার ৪ নং ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ ইয়াসিন।

এক প্রতিক্রিয়ায় টিটিএনকে তিনি বলেন, ” আমি খুবই ভাগ্যবান এতো বড় আয়োজনে শরিক (অংশ নেওয়া) হতে পেরে। মনে হচ্ছে খুব শীঘ্রই সোনার আরকানে আমরা ফিরতে যাচ্ছি, এখন শুধু স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষা। ”

রোহিঙ্গা মাঝি (কমিউনিটি নেতা) আজিজের কন্ঠে ছিলো প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের বন্দনা।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষা বুঝতে পেরে খুশি হওয়া আজিজ বলেন, “বাংলাদেশের অবদান রোহিঙ্গাদের কাছে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে, এবারের ঈদটা আমরা খুব আনন্দের সাথে বাংলাদেশী ভাই-বোনদের নিয়ে এখানে শেষ ঈদ হিসেবে উদযাপন করতে চাই।”

রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহাম্মদ জুবায়ের বলেন, ” আমরা জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেসের প্রতি ও প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞ। উনাদের উদারতা আমাদের কে অনুপ্রাণিত করেছে।”

খুব শীঘ্রই রাখাইনে ‘সেইফ জোন’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তৎপর হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।