ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জীবন বাঁচালো মৌমাছির কামড়! খুটাখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠিত সৈয়দ আহবায়ক আক্তার সদস্য সচিব খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ: প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইউএনও ক্যথোয়াইপ্রু মারমা বৃষ্টি থাকছে জুন জুড়ে আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস আজ রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: জাতিসংঘে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শনিবার ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে কক্সবাজার শহর রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: জাতিসংঘে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মহেশখালী উপজেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত কক্সবাজারে সম্পন্ন হয়েছে ‘জেন্ডার এটিকেট’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অস্ত্রসহ গ্রেফতার মুবিনুল যুবদলের কেউ নয় দাবী মহেশখালীতে যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক এক ২৪ ঘন্টায় ৬০ জন ‘শয়তান শিকার’ কক্সবাজার পুলিশের! কক্সবাজারে জাতীয় ফলমেলা ২০২৫ এর উদ্বোধন আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’

রামুতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বালুবাসা গ্রামে নগদ টাকা ছিনতাই করতে গিয়ে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে সাহাব উদ্দিন নামে এক যুবক প্রাণ হারিয়েছে। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে- গরু বিক্রির টাকা নিয়ে রামু থেকে ঘরে ফিরছিলেন কচ্ছপিয়ার বালুবাসা গ্রামের তিন বন্ধু। শনিবার রাত ১১টায় তাঁরা বালুবাসা রাস্তার মাথায় পৌঁছালে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাদের মোটরসাইকেল থামিয়ে নগদ ৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালান। এতে বাঁধা দিলে গুলিবর্ষণ করা হয়। এসময় গুলির শব্দ এবং রামু থেকে আসা রিমন ও আনসার উল্লাহর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসেন। পরে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে সাহাব উদ্দিন প্রচন্ডভাবে আহত হন। বাকি সদস্যরা অস্ত্র ও ৫ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। পরে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত সাহাব উদ্দিন ও ছিনতাইয়ের শিকার রিমনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাহাব উদ্দিন মারা যায়।

গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রুবেল দেব নাথ বলেন- ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় সাহাব উদ্দিন ও রিমনকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাহাব উদ্দিন মারা যায়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন- ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। সাহাব উদ্দিন দলবল নিয়ে এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসেছেন। এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দিয়েছে। তার পরনের জ্যাকেট থেকে তিন রাউন্ড গুলি ও একটি আইসের প্যাকেট পেয়েছে স্থানীয়রা।

এদিকে নিহত সাহাব উদ্দিনের নিকটাত্মীয় সালাহ উদ্দিন বাবু বলেন- শনিবার রাতে একটি ফোন আসে সাহাব উদ্দিনকে বালুবাসা গ্রামে মেরে পেলে রাখা হয়েছে। কি কারণে এ ঘটনা তারা জানেন না। সাহাব উদ্দিনকে প্রচন্ডভাবে প্রহার করা হয়েছে। মাথা ও শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন তারা। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পাওয়ায় সে মারা যায় বলে তাদের দাবি।

রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন- নিহত সাহাব উদ্দিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। অপরাধীরা শীঘ্রই আইনের আওতায় আসবে।

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

রামুতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

আপডেট সময় : ১০:২২:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বালুবাসা গ্রামে নগদ টাকা ছিনতাই করতে গিয়ে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে সাহাব উদ্দিন নামে এক যুবক প্রাণ হারিয়েছে। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে- গরু বিক্রির টাকা নিয়ে রামু থেকে ঘরে ফিরছিলেন কচ্ছপিয়ার বালুবাসা গ্রামের তিন বন্ধু। শনিবার রাত ১১টায় তাঁরা বালুবাসা রাস্তার মাথায় পৌঁছালে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাদের মোটরসাইকেল থামিয়ে নগদ ৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালান। এতে বাঁধা দিলে গুলিবর্ষণ করা হয়। এসময় গুলির শব্দ এবং রামু থেকে আসা রিমন ও আনসার উল্লাহর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসেন। পরে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে সাহাব উদ্দিন প্রচন্ডভাবে আহত হন। বাকি সদস্যরা অস্ত্র ও ৫ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। পরে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত সাহাব উদ্দিন ও ছিনতাইয়ের শিকার রিমনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাহাব উদ্দিন মারা যায়।

গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রুবেল দেব নাথ বলেন- ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় সাহাব উদ্দিন ও রিমনকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাহাব উদ্দিন মারা যায়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন- ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। সাহাব উদ্দিন দলবল নিয়ে এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসেছেন। এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দিয়েছে। তার পরনের জ্যাকেট থেকে তিন রাউন্ড গুলি ও একটি আইসের প্যাকেট পেয়েছে স্থানীয়রা।

এদিকে নিহত সাহাব উদ্দিনের নিকটাত্মীয় সালাহ উদ্দিন বাবু বলেন- শনিবার রাতে একটি ফোন আসে সাহাব উদ্দিনকে বালুবাসা গ্রামে মেরে পেলে রাখা হয়েছে। কি কারণে এ ঘটনা তারা জানেন না। সাহাব উদ্দিনকে প্রচন্ডভাবে প্রহার করা হয়েছে। মাথা ও শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন তারা। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পাওয়ায় সে মারা যায় বলে তাদের দাবি।

রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন- নিহত সাহাব উদ্দিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। অপরাধীরা শীঘ্রই আইনের আওতায় আসবে।