ঢাকা ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চকরিয়ায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু স্ত্রীকে গলা কেটে হ’ত্যা: ঘা’ত’ক স্বামী আটক ১০ বছরে কক্সবাজার সৈকতে ৬০ জনের প্রাণহানি বাড়ছে বাস্তুচ্যুত, কমছে তহবিল- জাতিসংঘ মা শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে ভারতে জয় ভারতে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের শঙ্কা টেকনাফে কিশোরের হাতে নারী ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বামী হাতে স্ত্রী খুন তারেক রহমান চাইলে যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদে‌শের সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সম্পদ জব্দ করলো যুক্তরাজ্য প্যারোলে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক দম্পতি শাকিল–ফারজানা ‘‌পুকুরের পানি সব ঘোলা করে ফেলেছি’ ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক রাজনীতিতে সুবাতাস বয়ে আনবে: রিজভী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ দফা নির্দেশনা কলম্বিয়ার বিপক্ষে দশজনের আর্জেন্টিনার মান বাঁচানো ড্র ভিনিসিয়ুসের গোলে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের জয়

ফজরের নামাজের পর যে আমলের ফজিলত বেশি

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজর গুরুত্ব অনেক বেশি। কষ্ঠ করে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করতে হয়। তাই গুরুত্বের পাশাপাশি এর ফজিলতও অনেক। ফজরের নামাজের সওয়াব ও ফজিলত নিয়ে যেমন অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে, তেমনই ফজরের নামাজ আদায়ের পরও ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল রয়েছে।

একজন মুমিন বান্দা ফজরের নামাজ আদায়ের পর বিভিন্ন উপায়ে আমল করতে পারেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) ফজরের পর সূর্য উদয়ের আগ পর্যন্ত নামাজের পাটিতেই বসে থাকতেন। ফজরের পরে সেসব দোয়া ও জিকির সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনা এসেছে, সেগুলো হল-

আয়াতুল কুরসি পাঠ করা

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো অন্তরায় থাকবে না।’ (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ২৩৯৫)

আয়াতুল কুরসি:

اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

উচ্চারণ :  আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কায়্যূম, লা তা’খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিস্ সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল্ আরদি, মান জাল্লাজি ইয়াশফাউ ইনদাহু ইল্লা বি ইজিনহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খলফাহুম, ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইয়িম্ মিন ইলিমহি ইল্লা বিমা শা-আ। ওয়াসিআ কুরসিয়্যুহুস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদা, ওয়ালা ইয়াঊদুহু হিফজুহুমা, ওয়াহুওয়াল আলিয়্যুল আজিম। (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৫)

এ আয়াতটি পড়তে খুব বেশি হলে এক মিনিট সময় লাগতে পারে। অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে পাঁচ মিনিট। দৈনিক ২৪ ঘণ্টা সময় থেকে মাত্র পাঁচ মিনিট সময় ব্যয় করলে এ মহাপুরস্কার লাভ করা সম্ভব।

আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের দোয়া

হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা তিনবার নিম্নের দোয়া পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সন্তুষ্ট করবেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৮৯)

দোয়াটি হলো- رَضِيتُ باللهِ رَبَّاً، وَبِالْإِسْلَامِ دِيناً، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيَّاً

উচ্চারণ : রাজিতু বিল্লাহি রব্বাওঁ ওয়াবিল ইসলামী দ্বিনাওঁ ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা।
অর্থ: আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বিন হিসেবে ও মুহাম্মাদ (সা.)-কে নবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট।

সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার পাঠ করা

আল্লাহর রাসুল (সা.) হাদিসে উল্লেখ করেছেন যে, ‘যদি কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা নিম্নের ইস্তিগফারটি পড়ে এবং ওই দিনে বা রাতে ইন্তেকাল করে, তবে সে জান্নাতি হবে। (বুখারি, হাদিস : ৬৩০৬)

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي، إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আন্তা রাব্বি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা, খালাকতানি, ওয়া আনা আব্দুকা, ওয়া আনা আলা আহিদকা ওয়া ওয়া’দিকা মাস্তাতা’তু, আউজু বিকা মিন শাররি মা সানা’তু, আবুউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা, ওয়া আবুউ বিজাম্বি ফাগফিরলী ফাইন্নাহু লা ইয়াগিফরুজ জুনুবা ইল্লা আন্তা।

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রতিপালক। আপনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আর আমি আপনার গোলাম। আমি আপনার ওয়াদা-প্রতিশ্রুতির ওপর যথাসাধ্য আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। আমি আমার ওপর আপনার অনুগ্রহ স্বীকার করছি। আবার আমার গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দিন। কেননা আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহসমূহ ক্ষমা করতে পারবে না।

জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া

হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ফজর ও মাগরিবের পর সাতবার নিম্নের দোয়াটি পাঠ করে এবং ওই দিনে বা রাতে তার মৃত্যু হয় তাহলে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৭৯)

اللهم أجرني من النار
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্ নার।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করুন।

সুরা ইয়াসিন ও সুরা ইখলাস পড়া

হাদিসে সুরা ইয়াসিন পড়ার অনেক ফজিলত বর্ণিত আছে। একবার সুরা ইয়াসিন পড়লে দশবার পুরো কুরআন পড়া পরিমাণ নেকী পাওয়া যাবে। প্রতিদিন সকালে সুরা ইয়াসিন পড়া মুমিনের কাজ। যারা আরবি ভালোভাবে পড়তে পারেন না, তারা অন্তত সুরা ইখলাস পড়তে পারেন। তিনবার সুরা ইখলাস পড়লে একবার পুরো কুরআন পড়া পরিমাণ নেকী পাওয়া যায়।

 

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

ফজরের নামাজের পর যে আমলের ফজিলত বেশি

আপডেট সময় : ০৪:৫৮:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজর গুরুত্ব অনেক বেশি। কষ্ঠ করে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করতে হয়। তাই গুরুত্বের পাশাপাশি এর ফজিলতও অনেক। ফজরের নামাজের সওয়াব ও ফজিলত নিয়ে যেমন অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে, তেমনই ফজরের নামাজ আদায়ের পরও ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল রয়েছে।

একজন মুমিন বান্দা ফজরের নামাজ আদায়ের পর বিভিন্ন উপায়ে আমল করতে পারেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) ফজরের পর সূর্য উদয়ের আগ পর্যন্ত নামাজের পাটিতেই বসে থাকতেন। ফজরের পরে সেসব দোয়া ও জিকির সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনা এসেছে, সেগুলো হল-

আয়াতুল কুরসি পাঠ করা

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো অন্তরায় থাকবে না।’ (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ২৩৯৫)

আয়াতুল কুরসি:

اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

উচ্চারণ :  আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কায়্যূম, লা তা’খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিস্ সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল্ আরদি, মান জাল্লাজি ইয়াশফাউ ইনদাহু ইল্লা বি ইজিনহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খলফাহুম, ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইয়িম্ মিন ইলিমহি ইল্লা বিমা শা-আ। ওয়াসিআ কুরসিয়্যুহুস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদা, ওয়ালা ইয়াঊদুহু হিফজুহুমা, ওয়াহুওয়াল আলিয়্যুল আজিম। (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৫)

এ আয়াতটি পড়তে খুব বেশি হলে এক মিনিট সময় লাগতে পারে। অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে পাঁচ মিনিট। দৈনিক ২৪ ঘণ্টা সময় থেকে মাত্র পাঁচ মিনিট সময় ব্যয় করলে এ মহাপুরস্কার লাভ করা সম্ভব।

আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের দোয়া

হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা তিনবার নিম্নের দোয়া পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সন্তুষ্ট করবেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৮৯)

দোয়াটি হলো- رَضِيتُ باللهِ رَبَّاً، وَبِالْإِسْلَامِ دِيناً، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيَّاً

উচ্চারণ : রাজিতু বিল্লাহি রব্বাওঁ ওয়াবিল ইসলামী দ্বিনাওঁ ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা।
অর্থ: আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বিন হিসেবে ও মুহাম্মাদ (সা.)-কে নবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট।

সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার পাঠ করা

আল্লাহর রাসুল (সা.) হাদিসে উল্লেখ করেছেন যে, ‘যদি কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা নিম্নের ইস্তিগফারটি পড়ে এবং ওই দিনে বা রাতে ইন্তেকাল করে, তবে সে জান্নাতি হবে। (বুখারি, হাদিস : ৬৩০৬)

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي، إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আন্তা রাব্বি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা, খালাকতানি, ওয়া আনা আব্দুকা, ওয়া আনা আলা আহিদকা ওয়া ওয়া’দিকা মাস্তাতা’তু, আউজু বিকা মিন শাররি মা সানা’তু, আবুউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা, ওয়া আবুউ বিজাম্বি ফাগফিরলী ফাইন্নাহু লা ইয়াগিফরুজ জুনুবা ইল্লা আন্তা।

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রতিপালক। আপনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আর আমি আপনার গোলাম। আমি আপনার ওয়াদা-প্রতিশ্রুতির ওপর যথাসাধ্য আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। আমি আমার ওপর আপনার অনুগ্রহ স্বীকার করছি। আবার আমার গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দিন। কেননা আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহসমূহ ক্ষমা করতে পারবে না।

জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া

হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ফজর ও মাগরিবের পর সাতবার নিম্নের দোয়াটি পাঠ করে এবং ওই দিনে বা রাতে তার মৃত্যু হয় তাহলে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৭৯)

اللهم أجرني من النار
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্ নার।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করুন।

সুরা ইয়াসিন ও সুরা ইখলাস পড়া

হাদিসে সুরা ইয়াসিন পড়ার অনেক ফজিলত বর্ণিত আছে। একবার সুরা ইয়াসিন পড়লে দশবার পুরো কুরআন পড়া পরিমাণ নেকী পাওয়া যাবে। প্রতিদিন সকালে সুরা ইয়াসিন পড়া মুমিনের কাজ। যারা আরবি ভালোভাবে পড়তে পারেন না, তারা অন্তত সুরা ইখলাস পড়তে পারেন। তিনবার সুরা ইখলাস পড়লে একবার পুরো কুরআন পড়া পরিমাণ নেকী পাওয়া যায়।