ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হজ এজেন্সির হজযাত্রী বহনের কোটা না বাড়ানোর অনুরোধ বাংলাদেশের বাংলাদেশের জন্য ৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের আওয়ামী লীগ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা জীবন বাঁচালো মৌমাছির কামড়! খুটাখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠিত সৈয়দ আহবায়ক আক্তার সদস্য সচিব খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ: প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইউএনও ক্যথোয়াইপ্রু মারমা বৃষ্টি থাকছে জুন জুড়ে আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস আজ রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: জাতিসংঘে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শনিবার ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে কক্সবাজার শহর রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: জাতিসংঘে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মহেশখালী উপজেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত কক্সবাজারে সম্পন্ন হয়েছে ‘জেন্ডার এটিকেট’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অস্ত্রসহ গ্রেফতার মুবিনুল যুবদলের কেউ নয় দাবী মহেশখালীতে যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক এক

কক্সবাজার পলিটেকনিকে ছাত্রদল ও শিবিরের পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ: আহত ৮

কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে দুই দলই পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ এনেছে।

সোমবার (১৯মে) এই ঘটনা ঘটে। এতে দুই দলের চার জন করে আট জন আহতের দাবী করেছে। সাধারণ ছাত্ররা জানান, মূলত ছাত্রদলের কর্মসূচি ঘিরে এক পর্যায়ে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হয়।

কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সভাপতি ফাহিমুর রহমান জানান, ছাত্রদলের কর্মসূচিতেই ‘গুপ্ত সংগঠন শিবির’ ন্যাক্কারজনক হামলা করেছে।

ফাহিমুর রহমান টিটিএনকে মুঠোফোনে বলেন, “গত এক সপ্তাহ ধরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সদস্য সংগ্রহের ফরম বিতরণ, সাম্য হত্যার প্রতিবাদে কালো ব্যাজ ধারণ এবং মানববন্ধন করে আসছিলো। এরমধ্যে সাধারণ শিক্ষাথীরা নন-টেক প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করলে সেখানে ছাত্রদল সংহতি জানায়।”

“মূলত সাধারণ ছাত্রদের ওই আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই শিবির পরিকল্পিতভাবে আমাদের ছেলেদের উপর হামলা করেছে”- বলেন ফাহিমুর রহমান।

আহতদের মধ্যে নোমান, ফরহাদ, জুনায়েদ, কাশেম নামের চারজন ছাত্রকে নিজেদের কর্মী দাবী করে আহত হয়েছেন বলেও জানান ফাহিমুর রহমান।

এছাড়াও তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে পোস্ট করেছেন। তিনি সেখানে লেখেন- “এই হা’মলা প্রমাণ করে, শিবির এখনো তাদের গুপ্তচরবৃত্তি ও সহিংস রাজনীতির মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”

এদিকে ইসলামী ছাত্র শিবিরের কক্সবাজার জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম নূরী পালটা অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রদল বহিরাগত এনে জুলাই আন্দোলনের নেতাদের উপর হামলা করেছে।

সোমবার রাতে আব্দুর রহিম নূরী টিটিএনকে মুঠোফোনে জানান, ক্যাম্পাসে ছাত্রদল আন্দোলন করছিলো। এসময় হঠাৎ তারা গেইটে তালা লাগিয়ে দেয় এবং শিক্ষার্থীরা বের হতে চাইলে তাদের বাঁধা দেয়। এই নিয়ে দুই পক্ষের হাতাহাতি হয় যেখানে শিবিবের চার জন কর্মী আহত হয়।

নূরী বলেন, “আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনার পর বিষয়টি নিয়ে সাবেক প্রিন্সিপাল বর্তমান প্রিন্সিপাল, পুলিশ, শিক্ষক সহ বিষয়টি সেখানে সমাধান করে দেয়। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিবিরকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে স্ট্যাটাস দেয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।”

“ছাত্রদল বহিরাগত নিয়ে ক্যাম্পাসে জুলাই আন্দোলনে যারা নির্যাতিত হয়েছে মামলার আসামী হয়েছিলো সেইসব শিবিরের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে” – বলেন ছাত্র শিবির সভাপতি নূরী।

আহত শিবির নেতাকর্মীদের নাম জানানোর কথা থাকলেও ছবি পাঠালেও তাদের নাম দেননি ছাত্র শিবিরের সভাপতি।

এব্যাপারে কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রদীপ্ত খীসা বলেন, “টেক আর নন টেক নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে কিছু ভুল বুঝাবুঝি আর বিভ্রান্তি আছে৷ উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যেটা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে৷ কিন্তু এটা নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিলো।”

কোন কোন সংগঠনের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে এমন কিছু বলতে চাননি মি. খিসা। তিনি বলেন, “পরে পুলিশ আর প্রশাসন ডেকে সমাঝোতা করে দেয়া হয়েছে। ছেলেদের তো রক্ত গরম, সামলে রাখা যায়না।”

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

কক্সবাজার পলিটেকনিকে ছাত্রদল ও শিবিরের পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ: আহত ৮

আপডেট সময় : ০১:৩০:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে দুই দলই পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ এনেছে।

সোমবার (১৯মে) এই ঘটনা ঘটে। এতে দুই দলের চার জন করে আট জন আহতের দাবী করেছে। সাধারণ ছাত্ররা জানান, মূলত ছাত্রদলের কর্মসূচি ঘিরে এক পর্যায়ে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হয়।

কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সভাপতি ফাহিমুর রহমান জানান, ছাত্রদলের কর্মসূচিতেই ‘গুপ্ত সংগঠন শিবির’ ন্যাক্কারজনক হামলা করেছে।

ফাহিমুর রহমান টিটিএনকে মুঠোফোনে বলেন, “গত এক সপ্তাহ ধরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সদস্য সংগ্রহের ফরম বিতরণ, সাম্য হত্যার প্রতিবাদে কালো ব্যাজ ধারণ এবং মানববন্ধন করে আসছিলো। এরমধ্যে সাধারণ শিক্ষাথীরা নন-টেক প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করলে সেখানে ছাত্রদল সংহতি জানায়।”

“মূলত সাধারণ ছাত্রদের ওই আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই শিবির পরিকল্পিতভাবে আমাদের ছেলেদের উপর হামলা করেছে”- বলেন ফাহিমুর রহমান।

আহতদের মধ্যে নোমান, ফরহাদ, জুনায়েদ, কাশেম নামের চারজন ছাত্রকে নিজেদের কর্মী দাবী করে আহত হয়েছেন বলেও জানান ফাহিমুর রহমান।

এছাড়াও তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে পোস্ট করেছেন। তিনি সেখানে লেখেন- “এই হা’মলা প্রমাণ করে, শিবির এখনো তাদের গুপ্তচরবৃত্তি ও সহিংস রাজনীতির মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”

এদিকে ইসলামী ছাত্র শিবিরের কক্সবাজার জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম নূরী পালটা অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রদল বহিরাগত এনে জুলাই আন্দোলনের নেতাদের উপর হামলা করেছে।

সোমবার রাতে আব্দুর রহিম নূরী টিটিএনকে মুঠোফোনে জানান, ক্যাম্পাসে ছাত্রদল আন্দোলন করছিলো। এসময় হঠাৎ তারা গেইটে তালা লাগিয়ে দেয় এবং শিক্ষার্থীরা বের হতে চাইলে তাদের বাঁধা দেয়। এই নিয়ে দুই পক্ষের হাতাহাতি হয় যেখানে শিবিবের চার জন কর্মী আহত হয়।

নূরী বলেন, “আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনার পর বিষয়টি নিয়ে সাবেক প্রিন্সিপাল বর্তমান প্রিন্সিপাল, পুলিশ, শিক্ষক সহ বিষয়টি সেখানে সমাধান করে দেয়। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিবিরকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে স্ট্যাটাস দেয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।”

“ছাত্রদল বহিরাগত নিয়ে ক্যাম্পাসে জুলাই আন্দোলনে যারা নির্যাতিত হয়েছে মামলার আসামী হয়েছিলো সেইসব শিবিরের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে” – বলেন ছাত্র শিবির সভাপতি নূরী।

আহত শিবির নেতাকর্মীদের নাম জানানোর কথা থাকলেও ছবি পাঠালেও তাদের নাম দেননি ছাত্র শিবিরের সভাপতি।

এব্যাপারে কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রদীপ্ত খীসা বলেন, “টেক আর নন টেক নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে কিছু ভুল বুঝাবুঝি আর বিভ্রান্তি আছে৷ উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যেটা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে৷ কিন্তু এটা নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিলো।”

কোন কোন সংগঠনের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে এমন কিছু বলতে চাননি মি. খিসা। তিনি বলেন, “পরে পুলিশ আর প্রশাসন ডেকে সমাঝোতা করে দেয়া হয়েছে। ছেলেদের তো রক্ত গরম, সামলে রাখা যায়না।”