উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তার আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হওয়ায় চার সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় লঘুচাপ সৃষ্টির কথা জানানোর পর ২৪ ঘন্টার মাথায় বুধবার এই সতর্ক বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বার্তায় বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তার আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সতর্কবার্তায় লঘুচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতেও বলা হয়েছে ওই বার্তায়।
এর আগে সোমবার (২৬ মে) ভারী বৃষ্টিপাতের আরেক সতর্ক বার্তায় বলা হয়, সক্রিয় সঞ্চারণশীল মেঘমালার কারণে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও বুধবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বস হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে বার্তায়।
এদিকে কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান মুঠোফোনে জানান, সক্রিয় সঞ্চারণশীল মেঘমালার প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে কক্সবাজারে হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজারে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টিপাত আরও ২/৩ দিন অব্যাহত থাকার কথাও জানান।
তিনি আরও জানান, বৃষ্টিপাতের কারণে কক্সবাজারের কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড়ের ঢালুতে অবস্থানরত মানুষদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
সৃষ্ট লঘুচাপের বিষয়ে তিনি বলেন, লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ এবং গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এই লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার তেমন একটা সম্ভাবনা নেই বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।