ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আমজাদ হ’ত্যা মামলার আসামী জসিম গ্রেফতার : কারাগারে প্রেরণ ১৫ নভেম্বর জেলা যুবদলের সমাবেশ উপলক্ষ্যে শহর যুবদলের প্রস্তুতি সভা টেকনাফে কাফনের কাপড় পরে আব্দুল্লাহ’র অনুসারীদের মশাল মিছিল, সড়ক অবরোধ ১৫ নভেম্বরের যুব সমাবেশ সফল করতে পেকুয়া যুবদলের প্রস্তুতি সভা জেলা শহরের সাথে দুরত্ব কমবে ২৭ কিলোমিটার: ভারুয়াখালী সেতুর কাজ শেষ হবে কবে? মহেশখালীতে রাসায়নিক স্প্রে ছিটিয়ে পানের বরজ নষ্ট করার অভিযোগ ট্রাভেল ব্যাগের ভিতরে পাচার হচ্ছিলো ১২ কেজি গাঁজা: র‌্যাবের অভিযানে স্ত্রামী-স্ত্রী আটক সৈকতের বালুতটে স্মৃতির আঁচড়ে বন্ধুত্বের রঙিন দিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কারণ নেই: আইন উপদেষ্টা প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু, ৬৫ হাজার স্কুলে ক্লাস বন্ধ ইজিন বিকল হয়ে মাঝ সাগরে ভাসছিলো ৩ দিন:ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে উদ্ধার নৌবাহিনীর সাংবাদিক আতিককে অপহরণ ও হামলার ঘটনায় ‘আদালতে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা ৬ বছর পর পেকুয়াসহ ৫ উপজেলায় “শহীদ জিয়া মেধা বৃত্তি” পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সেন্টমার্টিনে অবৈধ ট্রলার ও থাই জালসহ ১৯ জেলে আটক ইউনুস হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে উত্তাল টেকনাফ : থানা ঘেরাও

উখিয়ার ক্যাম্পে নতুন রোহিঙ্গাদের ‘ঘর বিক্রি’ করেন সিএমও শরীফ!

জাতিসংঘের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে গত দেড় বছরে নতুন করে বাংলাদেশে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে।

এসব রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই আশ্রয় নিয়েছেন উখিয়া-টেকনাফের ৩৩ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগে থেকেই আশ্রিত আত্মীয় স্বজনদের ঘরে, আবার ক্যাম্পের খালি অথবা নতুন নির্মানাধীন ঘরেও মিলছে ঠাঁই।

সম্প্রতি ক্যাম্প প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী এলাকার ১৮ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ব্লকে নতুন ১১৮ টি ঘর (শেড) নির্মাণ করা হয়েছে।

টিটিএনের অনুসন্ধান বলছে, এসব ঘরের অধিকাংশই নিয়ম বহির্ভূতভাবে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে বরাদ্দ।

রোহিঙ্গা মাঝি আরফাত উল্লাহ ও আব্দুস সালামের যোগসাজশে এসব ঘরপ্রতি রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৩০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

ভুক্তভোগীদের দাবী, বিপুল পরিমাণ অর্থের এই দুর্নীতির মূলহোতা সিআইসি কার্যালয়ে আরআরআরসি অফিস থেকে নিয়োগকৃত কেয়ার এন্ড মেইনটেইনেন্স অফিসার (সিএমও) এনাম মোহাম্মদ শরীফ।

সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে ১৮ নং ক্যাম্পে আশ্রয় নেন এক রোহিঙ্গা নারীর শাশুড়ি।

ঐ নারী জানান, হেডমাঝি মৌলভি আরফাত উল্লাহকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার পর তিনি একটি ঘর পান তবে একমাস না যেতে সিএমও’র অযুহাতে আবারও টাকা দাবি করেন ওই হেডমাঝি। টাকা দিতে না পারায় তাঁকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয় (ভিডিও বক্তব্য সংরক্ষিত) ।

পরবর্তীতে উচ্ছেদ হওয়া নারী ক্যাম্প ইনচার্জের কাছে বিচার চাইলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।

বিচার চাইতে গেলে তাঁর কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়া হয় বলে জানান ঐ নারী।

ওই ঘরে পরবর্তীতে নতুন আসা আরেক নারীকে উঠিয়ে দেন আরফাত উল্লাহ।

বি ব্লকের বাসিন্দা অন্তত ৬ জন রোহিঙ্গা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আরফাত ও আব্দুস সালামের সাথে মিলে সিএমও শরীফের এই বাণিজ্য ক্যাম্পে ‘ওপেন সিক্রেট। ‘

এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে শরীফকে ফোন দেওয়া হলে তিনি দাপ্তরিক ব্যস্ততা দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

১৮ নং ক্যাম্পের সিআইসি মিনহাজুল ইসলাম টিটিএনকে জানিয়েছেন , সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন।

শরনার্থী ত্রাণও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা মাঝিরা অপরাধ করলে তাঁদের মাঝি থেকে বাদ দেওয়ার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে কোনো কর্মকর্তা যদি অপকর্মে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

আমজাদ হ’ত্যা মামলার আসামী জসিম গ্রেফতার : কারাগারে প্রেরণ

This will close in 6 seconds

উখিয়ার ক্যাম্পে নতুন রোহিঙ্গাদের ‘ঘর বিক্রি’ করেন সিএমও শরীফ!

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে গত দেড় বছরে নতুন করে বাংলাদেশে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে।

এসব রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই আশ্রয় নিয়েছেন উখিয়া-টেকনাফের ৩৩ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগে থেকেই আশ্রিত আত্মীয় স্বজনদের ঘরে, আবার ক্যাম্পের খালি অথবা নতুন নির্মানাধীন ঘরেও মিলছে ঠাঁই।

সম্প্রতি ক্যাম্প প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী এলাকার ১৮ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ব্লকে নতুন ১১৮ টি ঘর (শেড) নির্মাণ করা হয়েছে।

টিটিএনের অনুসন্ধান বলছে, এসব ঘরের অধিকাংশই নিয়ম বহির্ভূতভাবে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে বরাদ্দ।

রোহিঙ্গা মাঝি আরফাত উল্লাহ ও আব্দুস সালামের যোগসাজশে এসব ঘরপ্রতি রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৩০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

ভুক্তভোগীদের দাবী, বিপুল পরিমাণ অর্থের এই দুর্নীতির মূলহোতা সিআইসি কার্যালয়ে আরআরআরসি অফিস থেকে নিয়োগকৃত কেয়ার এন্ড মেইনটেইনেন্স অফিসার (সিএমও) এনাম মোহাম্মদ শরীফ।

সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে ১৮ নং ক্যাম্পে আশ্রয় নেন এক রোহিঙ্গা নারীর শাশুড়ি।

ঐ নারী জানান, হেডমাঝি মৌলভি আরফাত উল্লাহকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার পর তিনি একটি ঘর পান তবে একমাস না যেতে সিএমও’র অযুহাতে আবারও টাকা দাবি করেন ওই হেডমাঝি। টাকা দিতে না পারায় তাঁকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয় (ভিডিও বক্তব্য সংরক্ষিত) ।

পরবর্তীতে উচ্ছেদ হওয়া নারী ক্যাম্প ইনচার্জের কাছে বিচার চাইলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।

বিচার চাইতে গেলে তাঁর কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়া হয় বলে জানান ঐ নারী।

ওই ঘরে পরবর্তীতে নতুন আসা আরেক নারীকে উঠিয়ে দেন আরফাত উল্লাহ।

বি ব্লকের বাসিন্দা অন্তত ৬ জন রোহিঙ্গা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আরফাত ও আব্দুস সালামের সাথে মিলে সিএমও শরীফের এই বাণিজ্য ক্যাম্পে ‘ওপেন সিক্রেট। ‘

এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে শরীফকে ফোন দেওয়া হলে তিনি দাপ্তরিক ব্যস্ততা দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

১৮ নং ক্যাম্পের সিআইসি মিনহাজুল ইসলাম টিটিএনকে জানিয়েছেন , সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন।

শরনার্থী ত্রাণও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা মাঝিরা অপরাধ করলে তাঁদের মাঝি থেকে বাদ দেওয়ার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে কোনো কর্মকর্তা যদি অপকর্মে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।