টানা ১০ দিন পর রোদের দেখা মিলেছে কক্সবাজারের আকাশে। গত ২৬ মে থেকে নিম্নচাপ ও চলমান মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বিষন্ন ছিল শহরের আকাশ। ঝরেছে বৃষ্টি।
তবে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে সুখবর দিল আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়া অফিস বলছে, জ্যৈষ্ঠের শেষভাগে এই সময়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকেই। এবারও ঈদের দিন বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান। তবে কক্সবাজারে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম।
আগামী শনিবার দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
ঈদে কক্সবাজারের আবহাওয়া কেমন থাকবে জানতে চাইলে টিটিএনকে তিনি বলেন, “এখন বর্ষা মৌসুম, আর এসময় কিছুটা অনিশ্চিত আবহাওয়া বিরাজ করে। তাই সঠিকভাবে বলা যায় না বৃষ্টি হবে কি হবে না।
দেশের পূর্বাঞ্চলে, তথা চট্টগ্রাম ও সিলেটে ভারী বর্ষণের আভাস থাকলেও কক্সবাজারে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দুয়েক পশলা হতে পারে” বলেন মি. হান্নান।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়ার নিয়মিত বার্তায় বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এই সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আর ঈদের দিন শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে এবং তাপমাত্রা কমতে পারে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে কুতুবদিয়ায়। এছাড়া,নিম্নচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত ১০ দিনে কক্সবাজারে মোট বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬৬১ মিলিমিটার।