ঢাকা ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের গোপন ‘গুদামে’ মাদক রাখে কারা? নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন ইমাম হোসেন: দ্রুত গতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিলো প্রাণ মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই : প্রেস উইং নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এবার শূকর ও কুকুরের প্রাণহানি প্রেসক্লাবের ইফতার সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধির একটি মাধ্যম-ইউএনও চকরিয়া আবুল কাসেম বাবুর ২য় মৃত্যু বার্ষিকীতে জেলা খেলাঘরের স্মরণ সভা বিয়ের দু’মাসেই সড়ক দূর্ঘটনায় দম্পতি: স্বামী নিহত স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি উত্তর ধূরুং ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন উখিয়ায় তরুণ সংবাদকর্মীদের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন “মোহাম্মদ জাবেরের সন্ধান চাই” আমরা দুনিয়ার মাঠে খেলার খেলোয়াড়, ছোট মাঠের না: প্রধান উপদেষ্টা যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ মাদককারবারি আটক এভিয়েশন সিকিউরিটি বিভাগকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে হত্যার ৮ ঘন্টার ব্যবধানে তিন সহোদরসহ গ্রেফতার চার পেকুয়ায় সাপের কামড়ে মৃত্যু: ওঝার কাছে যাওয়ায় দেরি হয় হাসপাতালে নিতে

আপনারা যে বোঝা হতে চাননা সেটা উনিও (গুতেরেস) বুঝেছেন – রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ড. ইউনূস

রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতারে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেছেন “আল্লাহর কাছে দোয়া গরি সাম্মর বার যেন অনরা নিজর বাড়িত যাইয়ারে ঈদ গরিত পারন”।

রোহিঙ্গা ভাষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলা এই কথার অর্থ হলো, আল্লাহর কাছে দোয়া করি আগামী বছর আপনারা যেনো নিজের ঘরে গিয়ে ঈদ করতে পারেন”

শুক্রবার নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজার সফরের শেষ পর্ব ছিলো উখিয়ার আশ্রয় শিবিরের ২০নং ক্যাম্পে লাখো রোহিঙ্গার অংশগ্রহণে ইফতার।

দুপুর ১টার কিছু সময় আগে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তেনিও গুতেরেসকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চেপে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আসেন ইউনূস। এরপর গুতেরেস রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলে যান এবং ইউনূস কক্সবাজার বিমানবন্দরর সম্প্রসারণ কাজ ও খুরুস্কুলের জলবায়ু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময়ে সভা করেন।

সবশেষে তিনি যান আশ্রয় শিবিরে। সেখানে এন্তেনিও গুতেরেসসহ অংশ নেন লাখো রোহিঙ্গার ইফতারে।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের উদ্দ্যেশ্যে বক্তব্য দেন। পুরো বক্তব্য তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় দেন।

তিনি বলেন, আপনারা যে কারো বোঝা হতে চাননা-এটা বলেছেন। আমরা সেটা তাকে (গুতেরেস) বলবো। আপনারা যে অনুরোধ করেছেন সেটাও সে বুঝেছে। আমরাও অনুরোধ করবো যতো তাড়াতাড়ি পারা যায় মিয়ানমারে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা যেনো হয়। আপনারা যে বোঝা নয় দুনিয়ার মানুষের সেবা করতে চান সেটাও তুলে ধরা হবে।

মোহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনারা যে সুযোগ সুবিধা চান নিজের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সেটা তিনি (গুতেরেস) বুঝেছেন। দুনিয়ার মানুষকে তা বুঝাতে হবে। সে দায়িত্ব উনি (গুতেরেস) নিয়েছেন। দুনিয়ার হাজার রকমের দায়িত্ব তার। কোথায় যুদ্ধ হয়েছে কোথায় কি হচ্ছে সব তার দেখতে হয়। এতোকিছুর পর আপনাদের দায়িত্ব কতো গুরুত্ব দিয়ে তিনি বিবেচনা করছেন তা বুঝানোর জন্য এতোদূর থেকে আপনাদের সাথে বসে ইফতার করবে, আপনাদের কষ্টটা উপলব্ধি করার জন্য।

“সবার পক্ষ থেকে আমরা তার (গুতেরেস) কাছে শুকরিয়া জানাই” বলেন ইউনূস।
এরপর ইফতার শেষ করেই তারা ক্যাম্প থেকে সড়ক পথে ফেরেন কক্সবাজার বিমানবন্দরে। রাত ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে এন্তেনিও গুতেরেসসহ ঢাকায় ফিরে যান মোহাম্মদ ইউনূস।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের গোপন ‘গুদামে’ মাদক রাখে কারা?

This will close in 6 seconds

আপনারা যে বোঝা হতে চাননা সেটা উনিও (গুতেরেস) বুঝেছেন – রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ড. ইউনূস

আপডেট সময় : ০৮:২১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতারে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেছেন “আল্লাহর কাছে দোয়া গরি সাম্মর বার যেন অনরা নিজর বাড়িত যাইয়ারে ঈদ গরিত পারন”।

রোহিঙ্গা ভাষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলা এই কথার অর্থ হলো, আল্লাহর কাছে দোয়া করি আগামী বছর আপনারা যেনো নিজের ঘরে গিয়ে ঈদ করতে পারেন”

শুক্রবার নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজার সফরের শেষ পর্ব ছিলো উখিয়ার আশ্রয় শিবিরের ২০নং ক্যাম্পে লাখো রোহিঙ্গার অংশগ্রহণে ইফতার।

দুপুর ১টার কিছু সময় আগে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তেনিও গুতেরেসকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চেপে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আসেন ইউনূস। এরপর গুতেরেস রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলে যান এবং ইউনূস কক্সবাজার বিমানবন্দরর সম্প্রসারণ কাজ ও খুরুস্কুলের জলবায়ু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময়ে সভা করেন।

সবশেষে তিনি যান আশ্রয় শিবিরে। সেখানে এন্তেনিও গুতেরেসসহ অংশ নেন লাখো রোহিঙ্গার ইফতারে।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের উদ্দ্যেশ্যে বক্তব্য দেন। পুরো বক্তব্য তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় দেন।

তিনি বলেন, আপনারা যে কারো বোঝা হতে চাননা-এটা বলেছেন। আমরা সেটা তাকে (গুতেরেস) বলবো। আপনারা যে অনুরোধ করেছেন সেটাও সে বুঝেছে। আমরাও অনুরোধ করবো যতো তাড়াতাড়ি পারা যায় মিয়ানমারে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা যেনো হয়। আপনারা যে বোঝা নয় দুনিয়ার মানুষের সেবা করতে চান সেটাও তুলে ধরা হবে।

মোহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনারা যে সুযোগ সুবিধা চান নিজের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সেটা তিনি (গুতেরেস) বুঝেছেন। দুনিয়ার মানুষকে তা বুঝাতে হবে। সে দায়িত্ব উনি (গুতেরেস) নিয়েছেন। দুনিয়ার হাজার রকমের দায়িত্ব তার। কোথায় যুদ্ধ হয়েছে কোথায় কি হচ্ছে সব তার দেখতে হয়। এতোকিছুর পর আপনাদের দায়িত্ব কতো গুরুত্ব দিয়ে তিনি বিবেচনা করছেন তা বুঝানোর জন্য এতোদূর থেকে আপনাদের সাথে বসে ইফতার করবে, আপনাদের কষ্টটা উপলব্ধি করার জন্য।

“সবার পক্ষ থেকে আমরা তার (গুতেরেস) কাছে শুকরিয়া জানাই” বলেন ইউনূস।
এরপর ইফতার শেষ করেই তারা ক্যাম্প থেকে সড়ক পথে ফেরেন কক্সবাজার বিমানবন্দরে। রাত ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে এন্তেনিও গুতেরেসসহ ঢাকায় ফিরে যান মোহাম্মদ ইউনূস।