ঢাকা ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কুতুব‌দিয়া স্বাস্থ্য কম‌প্লে‌ক্সে সেবা নি‌শ্চি‌তের দা‌বি‌ নি‌য়ে মত‌বি‌নিময় “ভালো থেকো প্রিয়তমা” নিহত রিমঝিমকে নিয়ে হবু স্বামীর স্ট্যাটাস শেখ হাসিনা সাত দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির না হলে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু নিষেধাজ্ঞা শেষ : বৈরী আবহাওয়ায় হতাশ জেলেরা ছেলেকে আলেম বানানোর স্বপ্ন ছিলো বাবার ফ্যাসিষ্টমুক্ত গণমাধ্যম জাতীর জন্য আশীর্বাদ- সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার আয়োজিত সংবাদপত্রের কালো দিবসে বক্তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলোনা রিমঝিমের বাবা-ছেলেসহ নিহত তিন, আহত ১০ সেনাবাহিনীর অভিযান: গোলদীঘি এলাকা থেকে ২০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার, আটক ৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু-করোনা প্রতিরোধে মাউশির বিশেষ নির্দেশনা উখিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহিন রেজুখালের ভাঙ্গন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি পেকুয়ার শিক্ষক আরিফ হত্যা মামলার আসামি মুকা গ্রেফতার বহিস্কৃত সেনাসদস্যসহ আটক তিন যারা খেলে খেলুক, আমরা শুধু রেফারি হয়ে কাজ করব: সিইসি
নগরায়নে হারিয়েছে ঢেকি

আজ পৌষ সংক্রান্তি

আজ পৌষ সংক্রান্তি। ঘরে ঘরে পিঠে—পুলির উৎসব। পৌষ সংক্রান্তি বাঙালি সংস্কৃতির একটি বিশেষ উৎসব বা বিশেষ ঐতিহ্যবাহী দিন। বাংলা মাস অনুযায়ী পৌষ মাসের শেষ দিনটিতে এই উৎসব পালন করা হয়। যে কোনও উৎসবের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে মানুষের মিলনের আনন্দ বার্তা। আত্মীয়—পরিজনের আগমনে উৎসব পূর্ণতা লাভ করে। পৌষের সংক্রান্তির কথা উঠলেই ভেসে ওঠে পিঠে, পুলি, পায়েসের কথা। সেদ্ধ পুলি, পাটিসাপটা, বিভিন্ন ধরণের মালপোয়া, ভাপাপিঠা, দুধপুলি… সহ বাহারি পিঠে—পুলির সম্ভার।

ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে সংক্রান্তির সকালে স্নান শেষে মেরামেড়ির ঘরে আগুন দিয়ে হাত পা গরম করার ছবি। মেরামেরির অস্থায়ী এই ঘরটি তৈরি করা হয় পৌষ সংক্রান্তির রাতে। তারপর সেই খড়কুটো দিয়ে তৈরি মেরামেরির ঘরটির মাঝে ছোট—বড়রা মিলেমিশে গান—বাজনা আমোদপ্রমোদ করতে থাকে। থাকে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। এছাড়াও সংক্রান্তির ঘরে ঘরে তিল—কদমায়, পিঠা—পায়েসে ঠাকুর সেবা সহ আরও নানা আয়োজন হয়ে থাকে পৌষ সংক্রান্তিতে।

বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী আজ পৌষ সংক্রান্তি। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের ১৪ জানুয়ারির আশেপাশে পৌষ বা মকর সংক্রান্তি পড়ে। কিন্তু এক হাজার বছর আগে মকর সংক্রান্তি হত ৩১ ডিসেম্বর নাগাদ, আবার এক হাজার বছর পরে সেটি ফেব্রুয়ারিতে সরে যাবে। এই তিথিতে বাংলা বছরের ‘অশুভ’ পৌষ মাসের অবসান হয়। এই বিশেষ দিনটি নানা রকম নিয়মকানুন, অনুষ্ঠান ও আনন্দের মধ্যে দিয়ে পালিত হয় প্রাচীনকাল থেকেই। সামাজিকতার যে বিষয়গুলো কোনও এক সময় পরিবার—পরিজনদের মধ্যে অনাবিল আনন্দের পরশ এনে দিত, সেই আনন্দঘন সময়ের ছবি ধীরে ধীরে কমে আসছে। পৌষ সংক্রান্তির উৎসাহ আগের মতো ততটা নেই যতটা আছে নিয়মরক্ষার তাগিদ। নমো নমো করেই হচ্ছে সবকিছু। তবে এখনও শহরে অনেকে আজও সমান আন্তরিকতার সঙ্গে এবং নানা আয়োজনে পালন করে পৌষ সংক্রান্তির উৎসব। সংক্রান্তির আগে গাইলে ও ঢেকিতে চাল গুঁড়ো করার ছবিও হয়তো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে নগরায়নের ঠেলায়।

মকর সংক্রান্তির দিনই সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাস হয়ে শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আবার অন্য মতে, সূর্য এ দিন নিজের ছেলে মকর রাশির অধিপতি শনির বাড়ি এক মাসের জন্য ঘুরতে গিয়েছিলেন। তাই এই দিনটিকে বাবা—ছেলের সম্পর্কের একটি বিশেষ দিন হিসাবেও ধরা হয়।সংক্রান্তি অর্থ সঞ্চার বা গমন করা। সূর্যে্যর এক রাশি হতে অন্য রাশিতে সঞ্চার বা গমন করাকেও সংক্রান্তি বলা যায়। সংক্রান্তি শব্দটি বিশ্লেষণ করলেও একই অর্থ পাওয়া যায়। সংক্রান্তি, সং অর্থ সঙ সাজা এবং ক্রান্তি অর্থ সংক্রমণ। অর্থাৎ, ভিন্ন রূপে সেজে অন্যত্র সংক্রমিত হওয়া বা নতুন সাজে, নতুন রূপে অন্যত্র সঞ্চার হওয়া বা গমন করাকে বোঝায়। সূর্য এ দিনই ধনু থেকে মকর রাশিতে প্রবেশ করে। সূর্য এ দিনই ধনু থেকে মকর রাশিতে প্রবেশ করে। এর থেকেই মকর সংক্রান্তির উৎপত্তি।

ট্যাগ :

কুতুব‌দিয়া স্বাস্থ্য কম‌প্লে‌ক্সে সেবা নি‌শ্চি‌তের দা‌বি‌ নি‌য়ে মত‌বি‌নিময়

This will close in 6 seconds

নগরায়নে হারিয়েছে ঢেকি

আজ পৌষ সংক্রান্তি

আপডেট সময় : ১১:১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

আজ পৌষ সংক্রান্তি। ঘরে ঘরে পিঠে—পুলির উৎসব। পৌষ সংক্রান্তি বাঙালি সংস্কৃতির একটি বিশেষ উৎসব বা বিশেষ ঐতিহ্যবাহী দিন। বাংলা মাস অনুযায়ী পৌষ মাসের শেষ দিনটিতে এই উৎসব পালন করা হয়। যে কোনও উৎসবের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে মানুষের মিলনের আনন্দ বার্তা। আত্মীয়—পরিজনের আগমনে উৎসব পূর্ণতা লাভ করে। পৌষের সংক্রান্তির কথা উঠলেই ভেসে ওঠে পিঠে, পুলি, পায়েসের কথা। সেদ্ধ পুলি, পাটিসাপটা, বিভিন্ন ধরণের মালপোয়া, ভাপাপিঠা, দুধপুলি… সহ বাহারি পিঠে—পুলির সম্ভার।

ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে সংক্রান্তির সকালে স্নান শেষে মেরামেড়ির ঘরে আগুন দিয়ে হাত পা গরম করার ছবি। মেরামেরির অস্থায়ী এই ঘরটি তৈরি করা হয় পৌষ সংক্রান্তির রাতে। তারপর সেই খড়কুটো দিয়ে তৈরি মেরামেরির ঘরটির মাঝে ছোট—বড়রা মিলেমিশে গান—বাজনা আমোদপ্রমোদ করতে থাকে। থাকে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। এছাড়াও সংক্রান্তির ঘরে ঘরে তিল—কদমায়, পিঠা—পায়েসে ঠাকুর সেবা সহ আরও নানা আয়োজন হয়ে থাকে পৌষ সংক্রান্তিতে।

বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী আজ পৌষ সংক্রান্তি। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের ১৪ জানুয়ারির আশেপাশে পৌষ বা মকর সংক্রান্তি পড়ে। কিন্তু এক হাজার বছর আগে মকর সংক্রান্তি হত ৩১ ডিসেম্বর নাগাদ, আবার এক হাজার বছর পরে সেটি ফেব্রুয়ারিতে সরে যাবে। এই তিথিতে বাংলা বছরের ‘অশুভ’ পৌষ মাসের অবসান হয়। এই বিশেষ দিনটি নানা রকম নিয়মকানুন, অনুষ্ঠান ও আনন্দের মধ্যে দিয়ে পালিত হয় প্রাচীনকাল থেকেই। সামাজিকতার যে বিষয়গুলো কোনও এক সময় পরিবার—পরিজনদের মধ্যে অনাবিল আনন্দের পরশ এনে দিত, সেই আনন্দঘন সময়ের ছবি ধীরে ধীরে কমে আসছে। পৌষ সংক্রান্তির উৎসাহ আগের মতো ততটা নেই যতটা আছে নিয়মরক্ষার তাগিদ। নমো নমো করেই হচ্ছে সবকিছু। তবে এখনও শহরে অনেকে আজও সমান আন্তরিকতার সঙ্গে এবং নানা আয়োজনে পালন করে পৌষ সংক্রান্তির উৎসব। সংক্রান্তির আগে গাইলে ও ঢেকিতে চাল গুঁড়ো করার ছবিও হয়তো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে নগরায়নের ঠেলায়।

মকর সংক্রান্তির দিনই সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাস হয়ে শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আবার অন্য মতে, সূর্য এ দিন নিজের ছেলে মকর রাশির অধিপতি শনির বাড়ি এক মাসের জন্য ঘুরতে গিয়েছিলেন। তাই এই দিনটিকে বাবা—ছেলের সম্পর্কের একটি বিশেষ দিন হিসাবেও ধরা হয়।সংক্রান্তি অর্থ সঞ্চার বা গমন করা। সূর্যে্যর এক রাশি হতে অন্য রাশিতে সঞ্চার বা গমন করাকেও সংক্রান্তি বলা যায়। সংক্রান্তি শব্দটি বিশ্লেষণ করলেও একই অর্থ পাওয়া যায়। সংক্রান্তি, সং অর্থ সঙ সাজা এবং ক্রান্তি অর্থ সংক্রমণ। অর্থাৎ, ভিন্ন রূপে সেজে অন্যত্র সংক্রমিত হওয়া বা নতুন সাজে, নতুন রূপে অন্যত্র সঞ্চার হওয়া বা গমন করাকে বোঝায়। সূর্য এ দিনই ধনু থেকে মকর রাশিতে প্রবেশ করে। সূর্য এ দিনই ধনু থেকে মকর রাশিতে প্রবেশ করে। এর থেকেই মকর সংক্রান্তির উৎপত্তি।