ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা চ্যালেঞ্জিং হলেও সুস্থ-সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা জিনিয়াসহ আটকরা এখনো থানায় জুলাই আন্দোলনের নেতা জিনিয়াসহ আটকদের মুক্তি দাবী ও শিক্ষকদের আন্দোলনে উদীচীর সংহতি দশদিন পর আবারো ঘুমধুম সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ, কি হচ্ছে ওপারে? টেকনাফে এসে অপহরণের শিকার সেন্টমার্টিনের যুবক: ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি স্বাধীনতাবিরোধী ও সরকারসৃষ্ট দল দুটি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়: হাফিজ উদ্দিন বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমানায় মাসব্যাপী জরিপ করবে নরওয়ে জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপর প্রাধান্য দিলে ‘খারাপ নজির’ সৃষ্টি হবে: সালাহউদ্দিন আহমেদ দেশের মানুষ এখন সেনাসদস্যদের দিকে তাকিয়ে আছে: সেনাপ্রধান যুবকের জরিমানাসহ ৭ বছরের কারাদণ্ড বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি অংশে জরিপে নামছে নরওয়ের গবেষণা জাহাজ আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন করতে ৪ মিলিয়ন ইউরো দেবে ইইউ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হলেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, এরপর আমরা বিদায় নেব : আসিফ নজরুল

যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে ‘হত্যাকাণ্ডের’ সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাইলেন এটিএম আজহার

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মাধ্যমে যাদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো হয়েছে, বিচারের নামে তাদের ‘হত্যা করা’ হয়েছে দাবি করে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা যেখানে যে পর্যায়ে জড়িত। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। তা নাহলে খারাপ সংস্কৃতি চালু থাকবে, এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’

বুধবার ২৮ মে) সকালে ১৪ বছর কারাভোগের পর বেরিয়ে এসে শাহবাগ চত্বরে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পেয়ে সকাল ৯টা ৫ মিনিটে মুক্তি পান জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম। বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে ভর্তিরত অবস্থায় কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

পরে তাকে হাসপাতাল থেকে একটি কালো রঙের গাড়িতে করে হাসপাতাল থেকে বের করে আনা হয়। এসময় জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে এটিএম আজহারুল ইসলামকে শাহবাগ চত্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা মঞ্চে দেওয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এটিএম আজহার বলেন, ‘আমি প্রায় ১৪ বছর কারাগারে থাকার পর আজ সকালে মুক্তি পেলাম। আমি এখন মুক্ত, আমি এখন স্বাধীন। এই স্বাধীন দেশে স্বাধীন নাগরিক এখন।’

মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাসের জন্য উচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা (আদালত) ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একটা অনন্য ভূমিকা পালন করছেন। এতদিন ন্যায়বিচার ছিল না। আদালতকে ব্যবহার করা হয়েছে। আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে জনগণ ন্যয়বিচার যেন পান, সেই ব্যবস্থাই তারা করবেন।’

তার মামলায় যেসব আইনজীবী লড়েছেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানান এটিএম আজহার। পরে তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে বিপ্লবের নায়কদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি। তাদের আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ছাত্র সমাজই রাজপথে রক্ত ঢেলে ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের সব অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, যার কারণে বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছে।’

তিনি বলেন, ‘যারা আমার নেতা ছিলেন, তাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে, জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে।’ এসময় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, মো. কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লাকে স্মরণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদিকে বিনাচিকিৎসায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা

This will close in 6 seconds

যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে ‘হত্যাকাণ্ডের’ সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাইলেন এটিএম আজহার

আপডেট সময় : ০২:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মাধ্যমে যাদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো হয়েছে, বিচারের নামে তাদের ‘হত্যা করা’ হয়েছে দাবি করে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা যেখানে যে পর্যায়ে জড়িত। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। তা নাহলে খারাপ সংস্কৃতি চালু থাকবে, এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’

বুধবার ২৮ মে) সকালে ১৪ বছর কারাভোগের পর বেরিয়ে এসে শাহবাগ চত্বরে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পেয়ে সকাল ৯টা ৫ মিনিটে মুক্তি পান জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম। বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে ভর্তিরত অবস্থায় কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

পরে তাকে হাসপাতাল থেকে একটি কালো রঙের গাড়িতে করে হাসপাতাল থেকে বের করে আনা হয়। এসময় জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে এটিএম আজহারুল ইসলামকে শাহবাগ চত্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা মঞ্চে দেওয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এটিএম আজহার বলেন, ‘আমি প্রায় ১৪ বছর কারাগারে থাকার পর আজ সকালে মুক্তি পেলাম। আমি এখন মুক্ত, আমি এখন স্বাধীন। এই স্বাধীন দেশে স্বাধীন নাগরিক এখন।’

মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাসের জন্য উচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা (আদালত) ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একটা অনন্য ভূমিকা পালন করছেন। এতদিন ন্যায়বিচার ছিল না। আদালতকে ব্যবহার করা হয়েছে। আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে জনগণ ন্যয়বিচার যেন পান, সেই ব্যবস্থাই তারা করবেন।’

তার মামলায় যেসব আইনজীবী লড়েছেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানান এটিএম আজহার। পরে তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে বিপ্লবের নায়কদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি। তাদের আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ছাত্র সমাজই রাজপথে রক্ত ঢেলে ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের সব অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, যার কারণে বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছে।’

তিনি বলেন, ‘যারা আমার নেতা ছিলেন, তাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে, জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে।’ এসময় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, মো. কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লাকে স্মরণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদিকে বিনাচিকিৎসায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন