ঢাকা ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হল সংসদে বিজয়ী হলেন বন কাগজে প্রচারণা চালানো টেকনাফের তামিম বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন চায়: সালাহউদ্দিন আহমেদ উখিয়া-টেকনাফের নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে: শাহজাহান চৌধুরী কক্সবাজার সরকারি কলেজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত স্কুল ব্যাগে ইয়াবা পাচার:চকরিয়ায় পুলিশের জালে দম্পতি চাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা কখন? কক্সবাজারে ছিনতাইয়ে জড়িত পুলিশের ‘সাবেক সদস্য’ আটক শহরের সমিতিপাড়ায় আগুনে পুড়েছে ২ দোকান :১১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি শেষ হলো চাকসুর ভোট গ্রহণ:চলছে গণনা ছাত্র প্রতিনিধি-সাংবাদিক মিলে টেকনাফে ‘চেয়ারম্যান ও প্রশাসক’ পদ দেয়ার কথা বলে কোটি টাকার বানিজ্য! জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি, এখান থেকে শুরু করুন: চবি উপাচার্য চাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু সীমান্তে ফের মাইন বিস্ফোরণ, মিয়ানমার নাগরিক নিহত- বাংলাদেশি আহত চকরিয়া হারবাং ইউনিয়ন ছাত্রদলের আংশিক কমিটি গঠিত তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে সাঁতার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন

‘আগামী বছরেও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যাবে কি না বলা যাচ্ছে না’

সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি যে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এর ফলে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না যে আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারব কি না— এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার (৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, বার্মিজ জান্তাকে খুশি করতে গিয়ে তথাকথিত ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’র চাটুকার ও কূটনীতিকরা একটি নতুন শব্দ FDMN (Forcibly Displaced Myanmar National) এর উদ্ভাবন ঘটান। এই শব্দটি শুধু একটি কৌশল নয়, এটি বার্মিজ গণহত্যার বর্ণনাকে বৈধতা দেয়ার এক ভয়ংকর প্রচেষ্টা। এতে বোঝানো হয় যে রোহিঙ্গা বলে কেউ নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো, রোহিঙ্গারা কোনো ‘FDMN’ নয়, তারা শতাব্দীপ্রাচীন ইতিহাস, শিল্প ও সংস্কৃতির ধারক একটি জাতি। ‘FDMN’ শব্দটি ব্যবহার করে তাদের প্রকৃত পরিচয়, সম্মান ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, চীনের কুনমিং শহরে এবং ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে আলোচনা করে, তখন তারা দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার জনগোষ্ঠীকে তাদের প্রকৃত পরিচয়ে পরিচিত করে ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে। জান্তার কর্মকর্তারাও শেষমেশ এই পরিচয় স্বীকার করতে বাধ্য হন। আমাদের সঙ্গে বৈঠকে তারাও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করতে শুরু করেন।

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে প্রেস সচিব আরও বলেন, আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না যে আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারব কি না। বিশেষ করে রাখাইনে আরাকান আর্মির দখল প্রক্রিয়ার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। তবে গত কয়েকদিনে যেটা দেখেছি, তা আমাদের নেতৃত্ব এবং শীর্ষ পর্যায়ের কূটনীতিকদের এক সাহসী ও দৃঢ় অবস্থান। মিয়ানমার জান্তা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছে। এখন দরকার টানা কূটনৈতিক চাপ বজায় রাখা, যাতে তারা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তার সঙ্গে ফিরিয়ে নেয়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

হল সংসদে বিজয়ী হলেন বন কাগজে প্রচারণা চালানো টেকনাফের তামিম

This will close in 6 seconds

‘আগামী বছরেও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যাবে কি না বলা যাচ্ছে না’

আপডেট সময় : ০৩:৫৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি যে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এর ফলে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না যে আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারব কি না— এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার (৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, বার্মিজ জান্তাকে খুশি করতে গিয়ে তথাকথিত ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’র চাটুকার ও কূটনীতিকরা একটি নতুন শব্দ FDMN (Forcibly Displaced Myanmar National) এর উদ্ভাবন ঘটান। এই শব্দটি শুধু একটি কৌশল নয়, এটি বার্মিজ গণহত্যার বর্ণনাকে বৈধতা দেয়ার এক ভয়ংকর প্রচেষ্টা। এতে বোঝানো হয় যে রোহিঙ্গা বলে কেউ নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো, রোহিঙ্গারা কোনো ‘FDMN’ নয়, তারা শতাব্দীপ্রাচীন ইতিহাস, শিল্প ও সংস্কৃতির ধারক একটি জাতি। ‘FDMN’ শব্দটি ব্যবহার করে তাদের প্রকৃত পরিচয়, সম্মান ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, চীনের কুনমিং শহরে এবং ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে আলোচনা করে, তখন তারা দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার জনগোষ্ঠীকে তাদের প্রকৃত পরিচয়ে পরিচিত করে ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে। জান্তার কর্মকর্তারাও শেষমেশ এই পরিচয় স্বীকার করতে বাধ্য হন। আমাদের সঙ্গে বৈঠকে তারাও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করতে শুরু করেন।

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে প্রেস সচিব আরও বলেন, আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না যে আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারব কি না। বিশেষ করে রাখাইনে আরাকান আর্মির দখল প্রক্রিয়ার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। তবে গত কয়েকদিনে যেটা দেখেছি, তা আমাদের নেতৃত্ব এবং শীর্ষ পর্যায়ের কূটনীতিকদের এক সাহসী ও দৃঢ় অবস্থান। মিয়ানমার জান্তা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছে। এখন দরকার টানা কূটনৈতিক চাপ বজায় রাখা, যাতে তারা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তার সঙ্গে ফিরিয়ে নেয়।