ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দশদিন পর আবারো ঘুমধুম সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ, কি হচ্ছে ওপারে? টেকনাফে এসে অপহরণের শিকার সেন্টমার্টিনের যুবক: ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি স্বাধীনতাবিরোধী ও সরকারসৃষ্ট দল দুটি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়: হাফিজ উদ্দিন বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমানায় মাসব্যাপী জরিপ করবে নরওয়ে জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপর প্রাধান্য দিলে ‘খারাপ নজির’ সৃষ্টি হবে: সালাহউদ্দিন আহমেদ দেশের মানুষ এখন সেনাসদস্যদের দিকে তাকিয়ে আছে: সেনাপ্রধান যুবকের জরিমানাসহ ৭ বছরের কারাদণ্ড বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি অংশে জরিপে নামছে নরওয়ের গবেষণা জাহাজ আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন করতে ৪ মিলিয়ন ইউরো দেবে ইইউ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হলেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, এরপর আমরা বিদায় নেব : আসিফ নজরুল তিস্তা প্রকল্পে চীনা ঋণ নিতে চায় সরকার, চেয়েছে ৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ছাত্ররাজনীতিতে পরিবর্তন চান শিক্ষার্থীরা ১৮ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন ইনানীতে আত্মপ্রকাশ করলো শফির বিল জেলে কল্যাণ সমিতি

সোনাদিয়া দ্বীপে বেজার ইকো-ট্যুরিজম পার্কের কার্যক্রম স্থগিত

হাইকোর্ট

কক্সবাজারের মহেশখালীতে সোনাদিয়া দ্বীপে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলার শর্তে সরকারের অনুকূলে ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমির বরাদ্দ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মাত্র ১ হাজার ১ টাকা সেলামিতে বেজাকে এ বরাদ্দ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আইনজীবী হাসানুল বান্না আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। এর আগে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এ বিষয়ে রিট দায়ের করে।

সোনাদিয়া দ্বীপের ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমি ইকো পার্ক নির্মাণের জন্য দেওয়া হয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে। এটি দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে মনে করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। তিনি জানান, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার এ দ্বীপেই গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের বৃহত্তম ইকো-ট্যুরিজম পার্ক।

পরিকল্পিত ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তুলতে তৈরি করা হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান। মাহিন্দ্র ইঞ্জিনিয়ারিং নামে ভারতের একটি প্রতিষ্ঠান এই মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ করছে।
একসময় সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলার চিন্তা করা হলেও তা থেকে সরে এসে ইকো-ট্যুরিজমের মাধ্যমে দ্বীপটিকে অর্থনৈতিক জোন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ অনুযায়ী এ দ্বীপের পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ। দ্বীপটিতে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে দ্বীপবাসীর সম্পৃক্ততায় কমিউনিটিভিত্তিক ইকো-ট্যুরিজমের সুযোগ রয়েছে। তবে মাস্টারপ্ল্যানে দীর্ঘমেয়াদের পর্যটন পরিকল্পনায় সোনাদিয়াকে কীভাবে সাজানো হচ্ছে তার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে বলে জানিয়েছিলেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

দশদিন পর আবারো ঘুমধুম সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ, কি হচ্ছে ওপারে?

This will close in 6 seconds

সোনাদিয়া দ্বীপে বেজার ইকো-ট্যুরিজম পার্কের কার্যক্রম স্থগিত

আপডেট সময় : ১১:৫৮:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের মহেশখালীতে সোনাদিয়া দ্বীপে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলার শর্তে সরকারের অনুকূলে ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমির বরাদ্দ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মাত্র ১ হাজার ১ টাকা সেলামিতে বেজাকে এ বরাদ্দ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আইনজীবী হাসানুল বান্না আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। এর আগে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এ বিষয়ে রিট দায়ের করে।

সোনাদিয়া দ্বীপের ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমি ইকো পার্ক নির্মাণের জন্য দেওয়া হয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে। এটি দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে মনে করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। তিনি জানান, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার এ দ্বীপেই গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের বৃহত্তম ইকো-ট্যুরিজম পার্ক।

পরিকল্পিত ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তুলতে তৈরি করা হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান। মাহিন্দ্র ইঞ্জিনিয়ারিং নামে ভারতের একটি প্রতিষ্ঠান এই মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ করছে।
একসময় সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলার চিন্তা করা হলেও তা থেকে সরে এসে ইকো-ট্যুরিজমের মাধ্যমে দ্বীপটিকে অর্থনৈতিক জোন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ অনুযায়ী এ দ্বীপের পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ। দ্বীপটিতে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে দ্বীপবাসীর সম্পৃক্ততায় কমিউনিটিভিত্তিক ইকো-ট্যুরিজমের সুযোগ রয়েছে। তবে মাস্টারপ্ল্যানে দীর্ঘমেয়াদের পর্যটন পরিকল্পনায় সোনাদিয়াকে কীভাবে সাজানো হচ্ছে তার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে বলে জানিয়েছিলেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান।