নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের পশ্চিম দরগাহ বিল কবরস্থান এলাকা থেকে ৪ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে বিজিবি।
২৮ অক্টোবর বিজিবি কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের একটি আভিযানিক দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিপুল ওই ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো জব্দ করতে সক্ষম হয়। তবে এসময় পাচারকাজে জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম বলেন- কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন সীমান্ত সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং আন্তঃ রাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ দমনে যথাযথ ও কার্যকরীভাবে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে বেসামরিক পরিমন্ডলে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ০৬ মাসে কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে বিপুল পরিমাণে চোরাচালানী মালামাল আটকসহ জনসেবামূলক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান- বিগত ৬ মাসে নানা অভিযানে পরিচালনা করে ১৩ লাখ ৪১ হাজার ১৩৫ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৪০ কোটি ২৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে ৩৪ বিজিবি।
এছাড়াও ১০ কোটি ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার ৮২১ টাকা মূল্যের অন্তমূর্খী/বহির্মূখী বিভিন্ন প্রকার সিগারেট, গরু, বাংলাদেশেী সার সিমেন্ট, প্রসাধনী, ঔষধ সামগ্রী, জ্বালানী তেল, হার্ডওয়্যার মালামাল ও রশদ সামগ্রীসহ সর্বমোট ৫০ কোটি ৭৯ লাখ ৩০ হাজার ১৩১ টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানী মালামাল এবং ৯৫ জন আসামী আটক করেছেন।
পাশাপাশি কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) কর্তৃক সীমান্তে জনসচেতনতা ও মতবিনিময় সভার মাধ্যমে অবৈধ সীমান্ত পারাপার/মাইন বিস্ফোরণ প্রতিরোধ, মাদক ও ইয়াবা পাচার প্রতিরোধসহ সীমান্ত এলাকার জনগণের যে কোন সমস্যা সমাধান কল্পে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে আসছে। স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক প্রণোদনা, খেলাধুলার সামগ্রী প্রদান এবং বৌদ্ধ বিহারে আর্থিক অনুদানসহ গরিব দুঃস্থ মহিলাদের কর্মসংস্থানের জন্য সেলাই মেশিনসহ নানাবিধ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সীমান্তে শূন্য লাইনে প্রতিপক্ষ স্থাপনকৃত মাইন বিস্ফোরণে আহতদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।
“বিজিবি শুধু সীমান্ত পাহারাতেই নয়, বরং মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধেও সমানভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।” যোগ করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম।
হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী : 
























