কক্সবাজারের রামুর খুনিয়া পালংয়ে একটি কাটা পা পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে রোববার বিকেলে। উদ্ধার পাটি পরিত্যক্ত ও গ্যাংগ্রিন রোগে আক্রান্ত রোগীর কাটা বলে ধারণা করছে সিআইডি।
সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মিতশ্রী বড়ুয়া বলেন, “আমরা ধারণা করছি দীর্ঘদিন গ্যাংগ্রিন রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগমুক্তির উদ্দেশ্যে এই পা কাটা হতে পারে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, এই পরিত্যক্ত পা’য়ের সেম্পল সংগ্রহ করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত জানা বলা যাচ্ছে না।
ওসি ইমন বলেন, তবে উদ্ধারকৃত পায়ে লাগানো ক্যানোলা দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্যাংগ্রিন রোগির পা হতে পারে।
রবিবার (৪ এপ্রিল) বিকেল আনুমানিক ৪ টায় রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মির্জা আলী স্টেশনের ব্রিজের পাশে পলিথিনের ভেতর ওই পায়ের সন্ধান পাওয়া যায় বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।
পচনশীল ক্ষত বা গ্যাংগ্রিন একটি গুরুতর ও সম্ভাব্য প্রাণঘাতী অসুস্থতা যা রক্ত সরবরাহের অভাবে দেহের কোনও অঙ্গের কলামৃত্যু হলে সংঘটিত হয়। কোন আঘাত বা সংক্রমণের ফলে অথবা রক্ত সঞ্চালনের কোনো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় ভোগার ফলে এটি হতে পারে। পচনশীল ক্ষতের প্রাথমিক কারণ দেহকলাতে রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়া, যার ফলে কোষের মৃত্যু ঘটে।