মাদকাসক্তি কেবল একজন ব্যক্তির জীবন নয়, বরং তার পরিবার, সমাজ ও আশেপাশের মানুষকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করে। এই আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে একজন রোগীর জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্র বা রিহ্যাব একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ কারণে কক্সবাজারে মাদকাসক্ত এক ব্যাক্তির পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিলো র্যাব-১৫।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৫ মাদকবিরোধী কার্যক্রমকে কেবল আইন প্রয়োগের সীমায় নয়, বরং সামাজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতার পর্যায়ে উন্নীত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে (নোঙর) এক মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ভর্তি করানো হয়। যার আর্থিক দায়ভার গ্রহণ করেছে র্যাব-১৫।
সূত্র জানায়- গত ৫ নভেম্বর উখিয়ার পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে র্যাব-১৫ এর আয়োজনে “মাদকবিরোধী জনসচেতনতা সভা” অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান বলেন— “যারাই মাদকের বিরুদ্ধে লড়বে, তারাই হবে মাদকযোদ্ধা।” তিনি আরও ঘোষণা দেন- কেউ যদি আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মাদকাসক্ত কাউকে পুনর্বাসন করতে না পারেন, তাহলে র্যাব-১৫ তাদের পাশে দাঁড়াবে এবং প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।
র্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসানের সেই মানবিক প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নও ঘটল। “নোঙর” নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হওয়া মাদকাসক্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও পুনর্বাসন ব্যয়ের এককালীন সহায়তা তুলে দেন তিনি। সহায়তা গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। এ সময় তিনি বলেন, “ র্যাব শুধু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নয়, এটি একটি মানবিক সংগঠন। আমরা চাই মাদকাসক্তরা সমাজে ফিরুক, পরিবারে ফিরুক, এবং নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখুক।”
তিনি আরও জানান, র্যাব-১৫ মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি, পুনর্বাসন সহায়তা, এবং তরুণ প্রজন্মকে মাদকের ধ্বংসাত্মক প্রভাব থেকে রক্ষায় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতেও এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী: 
























