ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চট্টগ্রামের বাঙ্কার সাপ্লাইয়ার্স এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে আব্দুল মান্নান ও জাকির দুই প্রতিবন্ধীর বিয়ে দিলেন সেচ্ছাসেবকদল নেতা ফাত্রাঝিড়ি ঝর্ণা দেখতে গিয়ে স্রোতে ভেসে কিশোর নিখোঁজ কোভিড নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় ৪ নির্দেশনা টেকনাফে ১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করলো বিজিবি: পালালো পাচারকারী জামায়াত কেন আসেনি, মন্তব্য করবে কমিশন: সালাহউদ্দিন ৫ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করা বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন কক্সবাজারের ১২৬ টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কক্সবাজারসহ চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত কুতুব‌দিয়া স্বাস্থ্য কম‌প্লে‌ক্সে সেবা নি‌শ্চি‌তের দা‌বি‌ নি‌য়ে মত‌বি‌নিময় “ভালো থেকো প্রিয়তমা” নিহত রিমঝিমকে নিয়ে হবু স্বামীর স্ট্যাটাস শেখ হাসিনা সাত দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির না হলে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু নিষেধাজ্ঞা শেষ : বৈরী আবহাওয়ায় হতাশ জেলেরা ছেলেকে আলেম বানানোর স্বপ্ন ছিলো বাবার

দুই প্রতিবন্ধীর বিয়ে দিলেন সেচ্ছাসেবকদল নেতা

পেকুয়া উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আহসান উল্লাহর অর্থায়নে দুই বাক প্রতিবন্ধীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। উভয় পরিবারের সম্মতিতে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

মঙ্গলবার বিকাল তিন টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা বরের বাড়িতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের বর বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ জাহেদ উল্লাহ(৩৬) এবং কনে সোমাইয়া জন্নাত(২১)। বর ওই এলাকার মো.ছৈয়দ উল্লাহর ছেলে এবং কনে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছমি উদ্দিন পাড়া এলাকার সিরাজুল করিমের মেয়ে।

জানা গেছে, গ্রাম-বাংলার অন্য দশ জনের বিয়ের মতো তারা দুই জনের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। দুপুর দেড়টার দিকে বরযাত্রীদের সঙ্গে মাথায় টুপি পড়ে নোহা গাড়ীর সামনে সিটে বসে কনের বাড়িতে যান বর। পরে কনের বাড়ি লোকজনে বরযাত্রীদের বরণ করেন। সেখানে কনে পক্ষের লোকজন তাদের আতিথেয়তা ও আপ্যায়ন শেষ করেন। সব শেষ করে বর যাত্রীরা কনে সুমাইয়াকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। পরে বরের বাড়িতে ১ লক্ষ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বরের পিতা ছৈয়দ উল্লাহ বলেন, আমরা উভয় পরিবার আহসান উল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কারণ তার উদ্যোগে আমি ছেলের বিয়ে সম্পন্ন করতে পেরেছি। তাদের সংসার যেন সুখের হয় তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ বলেন, কনে এবং বর দুইজনই পেকুয়া উপজেলার বাসিন্দা তবে ইউনিয়ন ভিন্ন। তারা দুইজনেই বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী এবং তাদের পরিবার নিতান্ত অসহায়। সে দৃষ্টিকোন থেকে নিজে উদ্যোগ নিয়েছি এবং তাদের বিয়ে সম্পন্ন করতে সবকিছু মিলিয়ে ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি আরও বলেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদের একটি ঘর করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি এবং দ্রুত সময়ে তা করে দেব।

উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট বলেন, প্রতিবন্ধীদের সমাজের বোঝা হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু আসলে তারা বোঝা নয়। তাদেরকে ঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারলে তারাও আমাদের সম্পদ। দুই বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীর বিয়ে দিয়ে সেচ্চাসেবক দলের আহ্বায়ক ও আমার সহযোদ্ধা আহসান উল্লাহ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। তার এমন কাজে সমাজের বিত্তবানদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।

ট্যাগ :

চট্টগ্রামের বাঙ্কার সাপ্লাইয়ার্স এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে আব্দুল মান্নান ও জাকির

This will close in 6 seconds

দুই প্রতিবন্ধীর বিয়ে দিলেন সেচ্ছাসেবকদল নেতা

আপডেট সময় : ১২:১৮:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

পেকুয়া উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আহসান উল্লাহর অর্থায়নে দুই বাক প্রতিবন্ধীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। উভয় পরিবারের সম্মতিতে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

মঙ্গলবার বিকাল তিন টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা বরের বাড়িতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের বর বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ জাহেদ উল্লাহ(৩৬) এবং কনে সোমাইয়া জন্নাত(২১)। বর ওই এলাকার মো.ছৈয়দ উল্লাহর ছেলে এবং কনে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছমি উদ্দিন পাড়া এলাকার সিরাজুল করিমের মেয়ে।

জানা গেছে, গ্রাম-বাংলার অন্য দশ জনের বিয়ের মতো তারা দুই জনের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। দুপুর দেড়টার দিকে বরযাত্রীদের সঙ্গে মাথায় টুপি পড়ে নোহা গাড়ীর সামনে সিটে বসে কনের বাড়িতে যান বর। পরে কনের বাড়ি লোকজনে বরযাত্রীদের বরণ করেন। সেখানে কনে পক্ষের লোকজন তাদের আতিথেয়তা ও আপ্যায়ন শেষ করেন। সব শেষ করে বর যাত্রীরা কনে সুমাইয়াকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। পরে বরের বাড়িতে ১ লক্ষ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বরের পিতা ছৈয়দ উল্লাহ বলেন, আমরা উভয় পরিবার আহসান উল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কারণ তার উদ্যোগে আমি ছেলের বিয়ে সম্পন্ন করতে পেরেছি। তাদের সংসার যেন সুখের হয় তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ বলেন, কনে এবং বর দুইজনই পেকুয়া উপজেলার বাসিন্দা তবে ইউনিয়ন ভিন্ন। তারা দুইজনেই বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী এবং তাদের পরিবার নিতান্ত অসহায়। সে দৃষ্টিকোন থেকে নিজে উদ্যোগ নিয়েছি এবং তাদের বিয়ে সম্পন্ন করতে সবকিছু মিলিয়ে ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি আরও বলেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদের একটি ঘর করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি এবং দ্রুত সময়ে তা করে দেব।

উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট বলেন, প্রতিবন্ধীদের সমাজের বোঝা হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু আসলে তারা বোঝা নয়। তাদেরকে ঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারলে তারাও আমাদের সম্পদ। দুই বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীর বিয়ে দিয়ে সেচ্চাসেবক দলের আহ্বায়ক ও আমার সহযোদ্ধা আহসান উল্লাহ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। তার এমন কাজে সমাজের বিত্তবানদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।