বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে উদযাপিত হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৪’। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য “দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা। গড়বে আগামীর শুদ্ধতা”। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চট্টগ্রাম সংলগ্ন রাস্তায় (এম. এম আলী রোড) মানববন্ধন এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে “দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামস্থ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, ব্যাংক, এনজিও, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। “দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জনাব হুমায়ূন কবীর, রেঞ্জ পুলিশ চট্টগ্রাম এর অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ। আলোচনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন দুর্নীতি দমন কমিশন, চট্টগ্রাম এর বিভাগীয় পরিচালক মোহাঃ আবুল হোসেন।
আলোচনা সভার শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপপরিচালক মোঃ
নাজমুচ্ছায়াদাত। এরপর দুর্নীতিবিরোধী ধারণাপত্র পাঠ করেন সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-টিআইবির প্রতিনিধি মোঃ মিরাজুল ইসলাম। আলোচনা সভায় উপস্থিত বিশেষ অতিথিবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন। প্রধান অতিথি ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আহতদের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে দুর্নীতি রোধে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ ও প্রশাসনিক সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া মুদ্রা পাচার রোধে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার কথা বলেন। সভাপতির বক্তব্যে দুর্নীতি দমন কমিশন, চট্টগ্রাম এর বিভাগীয় পরিচালক মোহাঃ আবুল হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেমন দেশের সব মানুষ এক কাতারে রাস্তায় নেমে এসেছিল তেমনি সুখী, সমৃদ্ধ ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ বিনির্মাণে এদেশের আপামর জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শেষ হয়।