ঢাকা ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজারের শিক্ষাবিদ নুরুল আজিজ চৌধুরী আর নেই সুপ্রভাত কক্সবাজারের আহবায়ক কমিটি গঠিত – আহবায়ক: অধ্যাপক আপন চন্দ্র দে, সদস্য সচিব: সায়ন্তন ভট্টাচার্য সাবেক সাংসদ কাজলের মা সালেহা খানম আর নেই বদি সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি “দেশের উপদেষ্টা যদি ডাব খায় সাধারণ জনগনও ডাব খাবে” -সলিমুল্লাহ খান মহেশখালীতে মামার হাতে ভাগ্নে খুনের ঘটনায় আটক-৪ ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও তাসনিম জারার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ ৯ দিন পর মুক্তি পেলেন চবির সেই ৫ শিক্ষার্থী কক্সবাজার-মহেশখালী নৌরুটে সি-ট্রাকের উদ্বোধন, জনপ্রতি ৩৫ টাকায় যাতায়াত করবেন ২৫০ মানুষ আমি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম ৫১ একরের দখল মুক্ত করতে কক্সবাজারের ডিসিকে ফোন করেছি – বন উপদেষ্টা দখলের কারণে কক্সবাজারে নদী বন্দর করা যাচ্ছেনা- নৌপরিবহন উপদেষ্টা বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু: শোক করছে বাংলাদেশ উখিয়ার ক্যাম্পে ইয়াবার দ্ব’ন্দ্বে রোহিঙ্গা যুবক খু’ন ৬/৭ মাস লেগেছে মহেশখালীর সী-ট্রাক আনতে- নৌ পরিবহন উপদেষ্টা

বাংলাদেশে পুরোদমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করল আদানি

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) বকেয়া অর্থের একাংশ পরিশোধ করার পর প্রতিবেশী এই দেশটিতে পুরোদমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে ভারতের আদানি গ্রুপ। বিপিডিবির চেয়ারম্যান রিয়াজুল করিম নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইনকে রিয়াজুল করিম বলেন, “আমরা আদানি গ্রুপকে নিয়মিত তাদের পাওনা পরিশোধ করছি এবং আদানি গ্রুপও আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।”

প্রায় সাড়ে চার মাস পর বাংলাদেশে পুরোদমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করল আদানি গ্রুপ। কী পরিমাণ অর্থ বকেয়া ছিল এবং সেই বকেয়া অর্থের মধ্যে কত পরিশোধ হয়েছে— সে সম্পর্কিত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি বিপিডিবি চেয়ারম্যান, তবে আদানি গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের কাছে প্রতিষ্ঠানটির পাওনা অর্থ জমেছিল ৮৫ কোটি রুপি। তার মধ্যে ৫ কোটি রুপি পরিশোধ করেছে বিপিডিবি এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে বাকি অর্থ আগামী ৬ মাসের মধ্যে শোধ করা হবে।

ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলার ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আদানি গ্রুপ নির্মাণ করেছে, সেটি তৈরির এক মাত্র উদ্দেশ্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলেপমেন্ট কর্পোরেশনের সঙ্গে (বিপিডিসি) একটি চুক্তি করেছিল আদানি গ্রুপ।

চুক্তির শর্ত ছিল— নতুন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরোটাই বাংলাদেশে আসবে। ২০২৩ সালের জুনে শেষ হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র নির্মাণের তারপর ওই মাস থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে আদানি গ্রুপ।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন থাকার পর তাতে ছেদ পড়ে ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের পর। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিদেশি রিজার্ভ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ ক্রয়বাবদ অর্থ প্রদান নিয়মিত পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের সরকার। ফলে জমতে থাকে বকেয়া।

এই পরিস্থিতিতে গত ৩১ অক্টোবর বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছিল আদানি গ্রুপ। তারপর গত কয়েক মাস চুক্তির শর্তের তুলনায় অর্ধেক বিদ্যুৎ পাঠিয়েছে আদানি গ্রুপ

সূত্র : এএফপি, এনডিটিভি অনলাইন

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজারের শিক্ষাবিদ নুরুল আজিজ চৌধুরী আর নেই

This will close in 6 seconds

বাংলাদেশে পুরোদমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করল আদানি

আপডেট সময় : ০৩:৫২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) বকেয়া অর্থের একাংশ পরিশোধ করার পর প্রতিবেশী এই দেশটিতে পুরোদমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে ভারতের আদানি গ্রুপ। বিপিডিবির চেয়ারম্যান রিয়াজুল করিম নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইনকে রিয়াজুল করিম বলেন, “আমরা আদানি গ্রুপকে নিয়মিত তাদের পাওনা পরিশোধ করছি এবং আদানি গ্রুপও আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।”

প্রায় সাড়ে চার মাস পর বাংলাদেশে পুরোদমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করল আদানি গ্রুপ। কী পরিমাণ অর্থ বকেয়া ছিল এবং সেই বকেয়া অর্থের মধ্যে কত পরিশোধ হয়েছে— সে সম্পর্কিত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি বিপিডিবি চেয়ারম্যান, তবে আদানি গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের কাছে প্রতিষ্ঠানটির পাওনা অর্থ জমেছিল ৮৫ কোটি রুপি। তার মধ্যে ৫ কোটি রুপি পরিশোধ করেছে বিপিডিবি এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে বাকি অর্থ আগামী ৬ মাসের মধ্যে শোধ করা হবে।

ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলার ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আদানি গ্রুপ নির্মাণ করেছে, সেটি তৈরির এক মাত্র উদ্দেশ্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলেপমেন্ট কর্পোরেশনের সঙ্গে (বিপিডিসি) একটি চুক্তি করেছিল আদানি গ্রুপ।

চুক্তির শর্ত ছিল— নতুন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরোটাই বাংলাদেশে আসবে। ২০২৩ সালের জুনে শেষ হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র নির্মাণের তারপর ওই মাস থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে আদানি গ্রুপ।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন থাকার পর তাতে ছেদ পড়ে ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের পর। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিদেশি রিজার্ভ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ ক্রয়বাবদ অর্থ প্রদান নিয়মিত পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের সরকার। ফলে জমতে থাকে বকেয়া।

এই পরিস্থিতিতে গত ৩১ অক্টোবর বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছিল আদানি গ্রুপ। তারপর গত কয়েক মাস চুক্তির শর্তের তুলনায় অর্ধেক বিদ্যুৎ পাঠিয়েছে আদানি গ্রুপ

সূত্র : এএফপি, এনডিটিভি অনলাইন