ঢাকা ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২ লক্ষ ৪৯ হাজার নকল টাকা সহ কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের হাসান মেম্বার আ’ট’ক সীমান্তের ‘ইয়াবা মাফিয়া’ মনির – বরখাস্ত হয়েও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে বহাল! রামুতে স্বর্গপূরী উৎসবে সম্প্রীতির মিলনমেলা… মহেশখালীতে ইজিবাইকসহ চালক অপহরণ: উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী নাগরিকদের পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণ না করার পরামর্শ মার্কিন দূতাবাসের “সমৃদ্ধ কক্সবাজার”-এর নতুন দায়িত্বে শাহীন চেয়ারম্যান, মামুন প্রধান নির্বাহী আগামী নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা মহাসড়কের খরুলিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেলো যুবকের তারুণ্যের অভিযাত্রিক’র “তারুণ্যের মিলনমেলা” সম্পন্ন রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন এখন সম্ভব নয়- খলিলুর হিমছড়িতে পুলিশের চেকপোস্টে ২৮টি মোটরসাইকেল আটক মাত্র ৩৫ মিনিটে পারাপার করতে পারবে ৩শ মানুষ খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘ক্যাশিয়ার’ গ্রেপ্তার সড়কে প্রাণ গেলো দুই যুবকের কক্সবাজারে ৫ সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় শাস্তি দাবি করে সাংবাদিক সংসদের নিন্দা

দুপুরে এফডিসিতে অঞ্জনাকে শেষ শ্রদ্ধা

শনিবার বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী অঞ্জনা৷ তার আগে মরদেহ নেয়া হবে এফডিসিতে, জানানো হবে শেষ শ্রদ্ধা৷

এমনটাই জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। তিনি জানান, অঞ্জনাকে শনিবার বাদ যোহর এফডিসিতে নেয়া হবে। সেখানে তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবেন চলচ্চিত্রের সহকর্মী থেকে সাধারণ ভক্ত অনুরাগীরা। পরে সেখানেই হবে প্রথম নামাজে জানাজা।

এফডিসি থেকে অঞ্জনার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বনানী কবরস্থানে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে। এ বিষয়ে মিশা জানান, পরিবারের সাথে কথা বলে জেনেছি, তাদের প্রথম চয়েস বনানী কবরস্থান, সেখানে কোনো কারণে দাফন করা না গেলে জুরাইন কবরস্থান বিকল্প হিসেবে ভেবে রাখা হয়েছে।

৩ শতাধিক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী অঞ্জনা। ১৯৮১ সালে ‘গাংচিল’ এবং ১৯৮৬ সালে ‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি৷ এছাড়া তিনি মোহনা (১৯৮৩), পরিণীতা (১৯৮৬) এবং রাম রহিম জন (১৯৮৯) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।

চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে তিনি একজন নামী নৃত্যশিল্পী ছিলেন। অঞ্জনার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্র দিয়ে। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত দস্যু বনহুর (১৯৭৬)। রহস্য ভিত্তিক এই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা।

১৯৭৮ সালে তিনি আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘অশিক্ষিত’ চলচ্চিত্রে নায়ক রাজ রাজ্জাকের বিপরীতে লাইলি চরিত্রে অভিনয় করেন। রাজ্জাকের বিপরীতে তিনি ৩০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়া আলমগীর, জসিম, বুলবুল আহমেদ, জাফর ইকবাল, ওয়াসিম, উজ্জ্বল, ফারুক, ইলিয়াস জাভেদ , মিঠুন চক্রবর্তী, (ভারত) ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল চৌধুরী, রুবেল, সুব্রত বড়ুয়া, মান্নার মতো তারকা নায়কদের সাথে অভিনয় করে তিনি ব্যাপক প্রশংসিত হন।

প্রসঙ্গত,  রাজধানীর পিজি হাসপাতালে বিগত তিন দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন অঞ্জনা। তার আগে ২৪ ডিসেম্বর নায়িকা অঞ্জনাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তার জ্বর ছিল।

পরে চিকিৎসকরা জানান, তার ব্লাড ইনফেকশন সারা শরীরে ছড়িয়ে গেছে। এর ফলে হার্ট ও কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। ফুসফুসে পানি জমেছে। এর মধ্যে স্ট্রোকও হয় একবার। শুক্রবার দিনগত রাত ১টা ১০ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

২ লক্ষ ৪৯ হাজার নকল টাকা সহ কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের হাসান মেম্বার আ’ট’ক

This will close in 6 seconds

দুপুরে এফডিসিতে অঞ্জনাকে শেষ শ্রদ্ধা

আপডেট সময় : ০৭:১৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

শনিবার বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী অঞ্জনা৷ তার আগে মরদেহ নেয়া হবে এফডিসিতে, জানানো হবে শেষ শ্রদ্ধা৷

এমনটাই জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। তিনি জানান, অঞ্জনাকে শনিবার বাদ যোহর এফডিসিতে নেয়া হবে। সেখানে তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবেন চলচ্চিত্রের সহকর্মী থেকে সাধারণ ভক্ত অনুরাগীরা। পরে সেখানেই হবে প্রথম নামাজে জানাজা।

এফডিসি থেকে অঞ্জনার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বনানী কবরস্থানে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে। এ বিষয়ে মিশা জানান, পরিবারের সাথে কথা বলে জেনেছি, তাদের প্রথম চয়েস বনানী কবরস্থান, সেখানে কোনো কারণে দাফন করা না গেলে জুরাইন কবরস্থান বিকল্প হিসেবে ভেবে রাখা হয়েছে।

৩ শতাধিক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী অঞ্জনা। ১৯৮১ সালে ‘গাংচিল’ এবং ১৯৮৬ সালে ‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি৷ এছাড়া তিনি মোহনা (১৯৮৩), পরিণীতা (১৯৮৬) এবং রাম রহিম জন (১৯৮৯) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।

চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে তিনি একজন নামী নৃত্যশিল্পী ছিলেন। অঞ্জনার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্র দিয়ে। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত দস্যু বনহুর (১৯৭৬)। রহস্য ভিত্তিক এই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা।

১৯৭৮ সালে তিনি আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘অশিক্ষিত’ চলচ্চিত্রে নায়ক রাজ রাজ্জাকের বিপরীতে লাইলি চরিত্রে অভিনয় করেন। রাজ্জাকের বিপরীতে তিনি ৩০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়া আলমগীর, জসিম, বুলবুল আহমেদ, জাফর ইকবাল, ওয়াসিম, উজ্জ্বল, ফারুক, ইলিয়াস জাভেদ , মিঠুন চক্রবর্তী, (ভারত) ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল চৌধুরী, রুবেল, সুব্রত বড়ুয়া, মান্নার মতো তারকা নায়কদের সাথে অভিনয় করে তিনি ব্যাপক প্রশংসিত হন।

প্রসঙ্গত,  রাজধানীর পিজি হাসপাতালে বিগত তিন দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন অঞ্জনা। তার আগে ২৪ ডিসেম্বর নায়িকা অঞ্জনাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তার জ্বর ছিল।

পরে চিকিৎসকরা জানান, তার ব্লাড ইনফেকশন সারা শরীরে ছড়িয়ে গেছে। এর ফলে হার্ট ও কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। ফুসফুসে পানি জমেছে। এর মধ্যে স্ট্রোকও হয় একবার। শুক্রবার দিনগত রাত ১টা ১০ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।