কক্সবাজার পৌরসভার পূর্ব পেশকার পাড়ার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল হাশেম ২০০৮ সালের ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রবাস ফেরত জসীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
অসুস্থ আবুল হাশেম অভিযোগ তুলে বলেন, জসীম ক্ষমতাসীন সংগঠনের ২০ থেকে ২৫ জন নারী-পুরুষ নিয়ে তাঁর বাড়ির ঘেরাও দেওয়া উঠান দিনদুপুরে দখল করে নেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে প্রতিত্তোরে, জমিটি জসীম উদ্দিনের ২০১২ সালের ক্রয়কৃত বলে দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, “এভাবে অতর্কিত এসে আমার ২০০৮ সালের কেনা জমি দখল করে নিলো এর প্রতিকার চাই এবং প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।”
আবুল হাশেমের ছেলে রাব্বি বলেন, আমার বাবা আবুল হাশেম তফসিলোক্ত দাগের জমি গত ৩০ জুন ২০০৫ তারিখের ২৪৩৮নং রেজিঃযুক্ত কবলামূলে আর.এস ৫১৭নং দাগের তুলনামূলক বি.এস ১০০৫৩ দাগের ০.০৯৫০ একর আবদু সোবহানের পুত্র এয়ার মোহাম্মদ হতে এবং বি.এস ৪৯৪নং খতিয়ানের মালিক ছলমান খাতুনের পুত্র ওকিল আহমদের কন্যা ছকিনা বেগম ও রহিমা বেগমের হতে গত ৩১ ডিসেম্বর ২০০৮ ইং তারিখের ৪৯১২নং রেজিঃযুক্ত কবলামূলে ০.০৭ একর জমি ক্রয় করেন। যার বি.এস ১০০৫৩ দাগের দখল পাই। সেই ২০০৫ সাল হতে উক্ত জমির উত্তর পাশের দুইতলা বিশিষ্ট দালান নির্মাণ করে কিছু জায়গায় গাছ পালা রুপন করে বাকি জায়গা উঠান হিসাবে বাউন্ডারী দিয়ে ভোগ দখল করে যাচ্ছিলাম। সম্প্রতি খালি জায়গায় সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করতে গেলে কিছু লোক বাঁধা সৃষ্টি করে । একই সাথে নানান ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে দখলকারীরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জসীম উদ্দিন বলেন, সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। এটি ২০১২ সালের ক্রয়কৃত জমি। এই জমি রেজিস্ট্রি ও খতিয়ান সম্বলিত জমি। আজ পর্যন্ত সরকারি ভাবে যা খাজনা আছে সবকিছুই পরিশোধ করা হয়েছে। আর এখানে উপস্থিত সকলেই আমার আত্মীয়স্বজন কোনো দখলবাজদের নিয়ে আসিনি বলেও মন্তব্য করেন জসীম।
কিসের ভিত্তিতে জমি দখল করেছে সেটির কোন দলিল জসিমের আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে ভুক্তভোগী আবুল হাসেম ক্রয়সুত্রে কেনার দলিল ও যাবতীয় ডকুমেন্টস দেন।
অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী হাশেম বলেন, কোর্ট এর নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করেছে জসীম। যার সত্যতা মেলে ঘটনা স্থলে।
এ বিষয়ে প্রতিবেদক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের কর্মকর্তা কাদের গণির সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিরোধপূর্ণ স্থানে বৈদ্যুতিক মিটার স্থাপনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে মিটারটি অবিলম্বে খুলে ফেলা হবে এবং জড়িত পিডিবি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে।