অবশেষে বাতিল হলো কক্সবাজার জেলায় দলিল নিবন্ধনে বর্ধিত উৎসকর।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানায়। এনবিআরের সদস্য এ কে এম বদিউল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২৪ জুন জারি করা পরিপত্র সংশোধন করে বর্ধিত করহার বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে, ২৪ জুনের পরিপত্রে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) এলাকায় ও জেলা সদরের পৌরসভাগুলোর ৮১টি মৌজায় নাল জমিতে শতকপ্রতি ২৫ হাজার এবং আবাসিক জমিতে শতকপ্রতি ৫০ হাজার টাকা উৎসকর আরোপ করা হয়। ফলে জেলায় জমি ক্রয়-বিক্রয় কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে।
অতিরিক্ত উৎসকরের কারণে অযৌক্তিক আর্থিক চাপ, দলিল নিবন্ধন কার্যক্রমে অচলাবস্থা, এবং জমি হস্তান্তরে জটিলতা তৈরি হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। জেলা জুড়ে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি হয় এর বিরুদ্ধে।
জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবুল হোছাইন বলেন, “বর্ধিত উৎসকর সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ছিল। দলিল নিবন্ধন কার্যত থমকে গিয়েছিল। কয়েক মাস ধরে আমরা আন্দোলন করেছি, আবেদন করেছি। অবশেষে বাতিল হওয়ায় মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।”
জেলা রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য ১৩ আগস্ট মহা-পরিদর্শক (নিবন্ধন) এর কাছে আবেদন করে জেলা রেজিস্ট্রার। পরে ২০ আগস্ট এনবিআর চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্রভুক্ত ৮১টি মৌজায় করহার ‘অন্য কোনো উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ ধারা অনুসারে আরোপ করা হয়েছিল। সচেতন মহলের মতে, সমুদ্র উপকূলীয় অনুন্নত অঞ্চল যেমন মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া ও সেন্টমার্টিনের জন্য এ হার সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ছিল।
প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে কক্সবাজারে বর্ধিত উৎসকর বাতিল হওয়ায় জমি ক্রয়-বিক্রয়ে আবার গতি আসবে বলে আশা করছেন জেলা রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক : 






















