জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ফেভারিট চকরিয়া। বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে চকরিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল লাইন নিশ্চিত করে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ।
চকরিয়া এই আসরের ৪ বারের চ্যাম্পিয়ন। অন্যদিকে টেকনাফও দেশী-বিদেশী তারকাদের নিয়ে দল সাজায়। তাই খেলার আগে থেকে এই ম্যাচের জন্য অপেক্ষায় ছিল হাজারো ক্রীড়ামোদী। অধিকাংশ দর্শক চকরিয়াকে এগিয়ে রাখে। কিন্তু খেলার শুরুর পর বদলে যায় পুরো চিত্র। চকরিয়া তারকা খেলোয়াড় ছাড়াই মাঠে নামে। আর ৩ জন বিদেশী নিয়ে দারুণ দল সাজায় টেকনাফ। প্রথমার্ধে টেকনাফ একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। দলকে এগিয়ে নিতে চকরিয়ার চেষ্টাও কমতি ছিল না।
দ্বিতীয়ার্ধে সফলতা আসে টেকনাফের খেলার ৪৯ মিনিটে টেকনাফের ইফতি দলের পক্ষে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন। এরপর আরও অন্তত ৫টি গোলের সুযোগ পান টেকনাফের অধিনায়ক জাহাঙ্গীর। কিন্তু বার বার তিনি আলোর মুখ দেখেননি।
৬৫ মিনিটে খেলা বন্ধ থাকে ১০ মিনিট। এসময় টেকনাফের বিদেশী খেলোয়াড় নানা ও চকরিয়ার ইতু বল দখল নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে খানিকটা উত্তেজনা থেকে উভয়পক্ষের খেলোয়াড়দের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। পরে রেফারি ছৈয়দ করিম দুজনকেই লাল কার্ড দিয়ে খেলা শুরু করেন।
খেলা ফের শুরু হলেও অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ডের অভাবে চকরিয়া গোল শোধ করে ব্যর্থ হয়। তাছাড়া টেকনাফের হয়ে মাঠে নামা বিদেশী ৩ খেলোয়াড় রক্ষণ ভাগের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বলয় তৈরি করে। তাদের জন্য চকরিয়ার ফরোয়ার্ডরা তেমন একটা সুবিধে করতে পারেনি। রেফারির শেষ বাঁশিতে ১-০ গোলের জয়োৎসবে মেতে উঠে টেকনাফ শিবির।
ম্যাচ সেরার মুকুট পড়েন টেকনাফের মিড ফিল্ডার কায়সার। তাঁকে ম্যান অব দ্যা ম্যাচের ট্রফি তুলে দেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য সচিব মো. আলাউদ্দিন, টেকনিক্যাল কমিটির ইকবাল মোহাম্মদ শামসুল হুদা টাইডেল, আফসার উদ্দিন, খোরশেদ আলম, সরওয়ার রোমন, মাসুদ আলম ও মুহাম্মদ হোসাইন।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টায় মুখোমুখি হবে টুর্নামেন্টের আরেক শক্তিশালী মহেশখালী বনাম নবাগত ঈদগাঁও উপজেলা ফুটবল দল।