ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ছেড়ে দেয়া হলো পুলিশ হেফাজতে থাকা ২৭ আন্দোলনকারীকে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা চ্যালেঞ্জিং হলেও সুস্থ-সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা জিনিয়াসহ আটকরা এখনো থানায় জুলাই আন্দোলনের নেতা জিনিয়াসহ আটকদের মুক্তি দাবী ও শিক্ষকদের আন্দোলনে উদীচীর সংহতি দশদিন পর আবারো ঘুমধুম সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ, কি হচ্ছে ওপারে? টেকনাফে এসে অপহরণের শিকার সেন্টমার্টিনের যুবক: ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি স্বাধীনতাবিরোধী ও সরকারসৃষ্ট দল দুটি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়: হাফিজ উদ্দিন বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমানায় মাসব্যাপী জরিপ করবে নরওয়ে জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপর প্রাধান্য দিলে ‘খারাপ নজির’ সৃষ্টি হবে: সালাহউদ্দিন আহমেদ দেশের মানুষ এখন সেনাসদস্যদের দিকে তাকিয়ে আছে: সেনাপ্রধান যুবকের জরিমানাসহ ৭ বছরের কারাদণ্ড বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি অংশে জরিপে নামছে নরওয়ের গবেষণা জাহাজ আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন করতে ৪ মিলিয়ন ইউরো দেবে ইইউ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হলেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান

রাখাইনের সাথে বাংলাদেশের ‘ভালো সম্পর্ক’ গুরুত্বপূর্ণ – উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমঘুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা এবং ঘুমধুম এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের পাশে স্থলবন্দরের সম্ভাব্যতা যাছাইয়ে পরদর্শনে এসেছেন নৌ পরিবহণ মন্ত্রণায়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) এম সাখাওয়াত হোসেন।শনিবার (৮ ফ্রেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন ঘুমধুমে পৌঁছান।

পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সরকারীভাবে কোনো যোগাযোগ এখন নেই জানিয়ে নৌ পরিবহণ উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন,
“ওপারের সাথে একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং লাগে যোগাযোগ লাগে, সেই যোগাযোগ কিন্তু বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে, এখন আমাদের সরকারীভাবে যোগাযোগ নেই, কিন্তু আমি দেখে গেলাম এখানে সম্ভব একটা স্থলবন্দর হওয়া, আজকে না হোক কালকে না হোক পরশো না হোক আমাদের রিলেশন ভালো হবে।”

উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ” সেখানে আরাকান আর্মি ভবিষ্যৎতে থাকুক বা না থাকুক যদিও একটা ফেডারেল কাঠামোতে থাকুক অথবা ভবিষ্যৎ কি হবে রাখাইনে আমরা জানিনা, যেভাবেই হোক আমি মনে করি আমাদের সাথে তাঁদের রিলেশন ভালো হওয়া উচিৎ, এবং ব্যবসা বাণিজ্যও চালু করা উচিৎ।”

পরিদর্শন শেষে তিনি আরও বলেন, রাখাইনের সাথে শুধু বাংলাদেশেরই আন্তর্জাতিক স্থলপথ রয়েছে, ফলে নানাভাবে রাখাইন রাজ্যের জন্য বাংলাদেশের এ অঞ্চল নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে টেকনাফ স্থলবন্দরকে নৌবন্দরে পরিণত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি। অথবা আন্তর্জাতিক কোনো বিষয় থাকলে তা গুরুত্বসহকারে দেখা যাবে, এটা চিপিএ’র (চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি) অধীনে হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সীমান্ত সড়ক, ঘুমঘুমের স্থলবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের স্থান ও টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মানজারুল মান্নান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল্লাহ ইয়ামিন, কক্সবাজারস্থ ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে: কর্নেল মো. ফারুক হোসেন খান সহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা এসময় উপদেষ্টার সাথে ছিলেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

ছেড়ে দেয়া হলো পুলিশ হেফাজতে থাকা ২৭ আন্দোলনকারীকে

This will close in 6 seconds

রাখাইনের সাথে বাংলাদেশের ‘ভালো সম্পর্ক’ গুরুত্বপূর্ণ – উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত

আপডেট সময় : ০১:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমঘুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা এবং ঘুমধুম এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের পাশে স্থলবন্দরের সম্ভাব্যতা যাছাইয়ে পরদর্শনে এসেছেন নৌ পরিবহণ মন্ত্রণায়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) এম সাখাওয়াত হোসেন।শনিবার (৮ ফ্রেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন ঘুমধুমে পৌঁছান।

পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সরকারীভাবে কোনো যোগাযোগ এখন নেই জানিয়ে নৌ পরিবহণ উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন,
“ওপারের সাথে একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং লাগে যোগাযোগ লাগে, সেই যোগাযোগ কিন্তু বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে, এখন আমাদের সরকারীভাবে যোগাযোগ নেই, কিন্তু আমি দেখে গেলাম এখানে সম্ভব একটা স্থলবন্দর হওয়া, আজকে না হোক কালকে না হোক পরশো না হোক আমাদের রিলেশন ভালো হবে।”

উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ” সেখানে আরাকান আর্মি ভবিষ্যৎতে থাকুক বা না থাকুক যদিও একটা ফেডারেল কাঠামোতে থাকুক অথবা ভবিষ্যৎ কি হবে রাখাইনে আমরা জানিনা, যেভাবেই হোক আমি মনে করি আমাদের সাথে তাঁদের রিলেশন ভালো হওয়া উচিৎ, এবং ব্যবসা বাণিজ্যও চালু করা উচিৎ।”

পরিদর্শন শেষে তিনি আরও বলেন, রাখাইনের সাথে শুধু বাংলাদেশেরই আন্তর্জাতিক স্থলপথ রয়েছে, ফলে নানাভাবে রাখাইন রাজ্যের জন্য বাংলাদেশের এ অঞ্চল নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে টেকনাফ স্থলবন্দরকে নৌবন্দরে পরিণত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি। অথবা আন্তর্জাতিক কোনো বিষয় থাকলে তা গুরুত্বসহকারে দেখা যাবে, এটা চিপিএ’র (চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি) অধীনে হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সীমান্ত সড়ক, ঘুমঘুমের স্থলবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের স্থান ও টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মানজারুল মান্নান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল্লাহ ইয়ামিন, কক্সবাজারস্থ ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে: কর্নেল মো. ফারুক হোসেন খান সহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা এসময় উপদেষ্টার সাথে ছিলেন।