চলে গেছে না ফেরার দেশে। ফিরবেনা আর। এরই মাঝে এলো তার সাফল্যে ভরা অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল। বলছি উষা বড়ুয়ার কথা। চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার মহাখালী রেলক্রসিংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হারায় রামুর উষা বড়ুয়া।
তার বাড়ি উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মেরংলোয়া বড়ুয়া পাড়ায়। উষা রতন বড়ুয়ার তৃতীয় কণ্যা।
সদ্য প্রকাশিত অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফলে মেধার স্বাক্ষর রেখেছে সে। সবকটি বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে পাস করেছে। ভাইভা পরীক্ষার আগেই দূর্ঘটনায় নিহত হওয়ায় সে ভাইভাতে অংশ নিতে পারেনি। ফলে তার অনার্স পাস করা হলো না। প্রকাশিত ফলাফলের গ্যাজেটে দেখা যায় ভাইভাতে অনুপস্থিত থাকায় তার ফলাফল আসেনি, যদিও সে ৯ টি সাবজেক্টেই ভালো ফলাফল করেছে। তার ফলাফলের খবর পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছালে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তারা।
উষা বড়ুয়া ছিলো কক্সবাজার সিটি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনার্স সমাপনী বর্ষের শিক্ষার্থী।
কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আকতার চৌধুরী টিটিএনকে বলেন- উষা বড়ুয়ার ফলাফল আসার পর অনেক শিক্ষকই মর্মাহত হয়েছেন। প্রতিটি বিষয়ে ভালো ফলাফল পেয়েও সে মারা যাওয়ার কারণে অনার্স শেষ করতে পারলো না!
প্রতিবেশীরা জানান- উষা এক বছর আগে মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে (আইসিডিডিআর) যোগদান করেন। সকালে অফিসে যাওয়ার পথে মহাখালী রেলক্রসিংয়ে অসাবধানতাবশত ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হারান। এর আগেও উষা উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকুরি করেছে।
প্রতিবেশীরা জানায়, সে ছিলো অত্যন্ত ভদ্র ও নম্র। অনেক সংগ্রাম করে নিজেকে গড়ে তুলছিলো, এমন সয়ম বাঁধ সাধে নিয়তি। উষা মিলিয়ে গেলো আঁধারে।
হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী 



















