ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক খালেদার সেবাসঙ্গী ফাতেমা খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, একদিনের সাধারণ ছুটি খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সাত দিন শোক পালনের কর্মসূচি বিএনপির রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার ৪১ বছর বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু দেশের রাজনীতিতে বিশাল শূন্যতা

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক রাতে দুই অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল স্বাস্থ্যকেন্দ্র

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে এক রাতের ব্যবধানে দুটি পৃথক স্থানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকটি বসতঘর।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের মধুরছড়া এলাকার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়েছে। পুড়ে গেছে মূল্যবান চিকিৎসা সরঞ্জাম।

২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য দাতব্য সংস্থা ওবাট হেলপারস ইউএসএ ‘ওবাট হেলথ পোস্ট’ নামে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করে।

বর্তমানে হিউম্যান ইন্টারন্যাশনাল ইউএসএ–এর অর্থায়নে ক্যাম্প প্রশাসনের সহায়তায় এটি পরিচালিত হচ্ছিল।

ওবাট হেলপারস বাংলাদেশের হেলথ কো-অর্ডিনেটর চিকিৎসক মাহামুদুল হাসান সিদ্দিকী রাশেদ বলেন, আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে পুরো স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পুড়ে গেছে।

আগুনের কারণ এখনো নিশ্চিত নয়। এখান থেকে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাসিন্দারা বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেতেন।

‘মালয়েশিয়া হাসপাতাল’ নামে পরিচিত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পুড়ে যাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন আশ্রিত রোহিঙ্গারা। ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ রফিক বলেন, এই হাসপাতাল ছিল তাদের চিকিৎসার ভরসাস্থল।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ডলার ত্রিপুরা জানান, একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। আগুনের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকে আরেকটি অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি বসতঘর পুড়ে যায়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর কুতুপালং ১ ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে সহস্রাধিক ঘর পুড়ে যায় এবং একজনের মৃত্যু হয়।

শীত মৌসুমে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক রাতে দুই অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল স্বাস্থ্যকেন্দ্র

আপডেট সময় : ১০:১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে এক রাতের ব্যবধানে দুটি পৃথক স্থানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকটি বসতঘর।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের মধুরছড়া এলাকার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়েছে। পুড়ে গেছে মূল্যবান চিকিৎসা সরঞ্জাম।

২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য দাতব্য সংস্থা ওবাট হেলপারস ইউএসএ ‘ওবাট হেলথ পোস্ট’ নামে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করে।

বর্তমানে হিউম্যান ইন্টারন্যাশনাল ইউএসএ–এর অর্থায়নে ক্যাম্প প্রশাসনের সহায়তায় এটি পরিচালিত হচ্ছিল।

ওবাট হেলপারস বাংলাদেশের হেলথ কো-অর্ডিনেটর চিকিৎসক মাহামুদুল হাসান সিদ্দিকী রাশেদ বলেন, আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে পুরো স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পুড়ে গেছে।

আগুনের কারণ এখনো নিশ্চিত নয়। এখান থেকে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাসিন্দারা বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেতেন।

‘মালয়েশিয়া হাসপাতাল’ নামে পরিচিত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পুড়ে যাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন আশ্রিত রোহিঙ্গারা। ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ রফিক বলেন, এই হাসপাতাল ছিল তাদের চিকিৎসার ভরসাস্থল।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ডলার ত্রিপুরা জানান, একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। আগুনের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকে আরেকটি অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি বসতঘর পুড়ে যায়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর কুতুপালং ১ ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে সহস্রাধিক ঘর পুড়ে যায় এবং একজনের মৃত্যু হয়।

শীত মৌসুমে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।