ঢাকা ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অতিরঞ্জিত ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যম- উদীচী রাজধানীর ভালোবাসা নিয়ে এলো পেনোয়া টাকার নকশায় বাদ যাচ্ছে শেখ মুজিবের ছবি কচ্ছপিয়ার সাহাব উদ্দিন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম নিষেধাজ্ঞার মাঝেও সেন্টমার্টিনে প্লাস্টিক যাচ্ছে দেদারসে! রামুর বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম চৌধুরীর মৃত্যু, জানাযা কাল অপরিকল্পিত স্থাপনা-দূষণে বাস অনুপযোগী হয়ে উঠছে কক্সবাজার সিবিআইইউ জার্নালিস্ট সোসাইটি গঠিত, সভাপতি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের তাহজীবুল-সম্পাদক টিটিএনের সাজিন টেকনাফে কিশোরকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো: রাষ্ট্রপক্ষকে খোঁজ নিতে বললেন হাইকোর্ট আইএলও-আইএসইসি পর্যটন সেক্টর সাপোর্ট ইমপ্লিমেন্টেশন পার্টনারশিপ ও এমবোলডেন বাংলাদেশের মধ্যে টেকসই পর্যটন উন্নয়নে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ঈদগাহ মানবিক ফাউন্ডেশনের জার্সি উন্মোচন রামুতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসব উদযাপন পরিষদ গঠিত কক্সবাজারে পর্যটন ও আথিতেয়তা খাতে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত কক্সবাজারে ‘লিংরোড বাজার কমিটির’ নেতাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ পরিবারের কথা বলতে পারেন না-শুনেনও না, জাবেদ পড়েন অনার্সে

সোনাদিয়া দ্বীপে বেজার ইকো-ট্যুরিজম পার্কের কার্যক্রম স্থগিত

হাইকোর্ট

কক্সবাজারের মহেশখালীতে সোনাদিয়া দ্বীপে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলার শর্তে সরকারের অনুকূলে ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমির বরাদ্দ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মাত্র ১ হাজার ১ টাকা সেলামিতে বেজাকে এ বরাদ্দ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আইনজীবী হাসানুল বান্না আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। এর আগে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এ বিষয়ে রিট দায়ের করে।

সোনাদিয়া দ্বীপের ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমি ইকো পার্ক নির্মাণের জন্য দেওয়া হয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে। এটি দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে মনে করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। তিনি জানান, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার এ দ্বীপেই গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের বৃহত্তম ইকো-ট্যুরিজম পার্ক।

পরিকল্পিত ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তুলতে তৈরি করা হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান। মাহিন্দ্র ইঞ্জিনিয়ারিং নামে ভারতের একটি প্রতিষ্ঠান এই মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ করছে।
একসময় সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলার চিন্তা করা হলেও তা থেকে সরে এসে ইকো-ট্যুরিজমের মাধ্যমে দ্বীপটিকে অর্থনৈতিক জোন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ অনুযায়ী এ দ্বীপের পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ। দ্বীপটিতে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে দ্বীপবাসীর সম্পৃক্ততায় কমিউনিটিভিত্তিক ইকো-ট্যুরিজমের সুযোগ রয়েছে। তবে মাস্টারপ্ল্যানে দীর্ঘমেয়াদের পর্যটন পরিকল্পনায় সোনাদিয়াকে কীভাবে সাজানো হচ্ছে তার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে বলে জানিয়েছিলেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

অতিরঞ্জিত ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যম- উদীচী

This will close in 6 seconds

সোনাদিয়া দ্বীপে বেজার ইকো-ট্যুরিজম পার্কের কার্যক্রম স্থগিত

আপডেট সময় : ১১:৫৮:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের মহেশখালীতে সোনাদিয়া দ্বীপে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলার শর্তে সরকারের অনুকূলে ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমির বরাদ্দ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মাত্র ১ হাজার ১ টাকা সেলামিতে বেজাকে এ বরাদ্দ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আইনজীবী হাসানুল বান্না আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। এর আগে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এ বিষয়ে রিট দায়ের করে।

সোনাদিয়া দ্বীপের ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমি ইকো পার্ক নির্মাণের জন্য দেওয়া হয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে। এটি দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে মনে করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। তিনি জানান, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার এ দ্বীপেই গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের বৃহত্তম ইকো-ট্যুরিজম পার্ক।

পরিকল্পিত ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তুলতে তৈরি করা হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান। মাহিন্দ্র ইঞ্জিনিয়ারিং নামে ভারতের একটি প্রতিষ্ঠান এই মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ করছে।
একসময় সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলার চিন্তা করা হলেও তা থেকে সরে এসে ইকো-ট্যুরিজমের মাধ্যমে দ্বীপটিকে অর্থনৈতিক জোন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ অনুযায়ী এ দ্বীপের পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ। দ্বীপটিতে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে দ্বীপবাসীর সম্পৃক্ততায় কমিউনিটিভিত্তিক ইকো-ট্যুরিজমের সুযোগ রয়েছে। তবে মাস্টারপ্ল্যানে দীর্ঘমেয়াদের পর্যটন পরিকল্পনায় সোনাদিয়াকে কীভাবে সাজানো হচ্ছে তার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে বলে জানিয়েছিলেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান।