ঢাকা ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজারের শিক্ষাবিদ নুরুল আজিজ চৌধুরী আর নেই সুপ্রভাত কক্সবাজারের আহবায়ক কমিটি গঠিত – আহবায়ক: অধ্যাপক আপন চন্দ্র দে, সদস্য সচিব: সায়ন্তন ভট্টাচার্য সাবেক সাংসদ কাজলের মা সালেহা খানম আর নেই বদি সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি “দেশের উপদেষ্টা যদি ডাব খায় সাধারণ জনগনও ডাব খাবে” -সলিমুল্লাহ খান মহেশখালীতে মামার হাতে ভাগ্নে খুনের ঘটনায় আটক-৪ ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও তাসনিম জারার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ ৯ দিন পর মুক্তি পেলেন চবির সেই ৫ শিক্ষার্থী কক্সবাজার-মহেশখালী নৌরুটে সি-ট্রাকের উদ্বোধন, জনপ্রতি ৩৫ টাকায় যাতায়াত করবেন ২৫০ মানুষ আমি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম ৫১ একরের দখল মুক্ত করতে কক্সবাজারের ডিসিকে ফোন করেছি – বন উপদেষ্টা দখলের কারণে কক্সবাজারে নদী বন্দর করা যাচ্ছেনা- নৌপরিবহন উপদেষ্টা বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু: শোক করছে বাংলাদেশ উখিয়ার ক্যাম্পে ইয়াবার দ্ব’ন্দ্বে রোহিঙ্গা যুবক খু’ন ৬/৭ মাস লেগেছে মহেশখালীর সী-ট্রাক আনতে- নৌ পরিবহন উপদেষ্টা

পল্টনে হিযবুত তাহরীরের মিছিলে পুলিশের টিয়ারশেল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজের পর নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের মিছিল বের করেছে। ওই মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ‘মার্চ ফর খিলাফা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কয়েকশ’ হিযবুত তাহরীরের সমর্থক পল্টনমুখী মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

মিছিলটি প্রথমে নির্বিঘ্নে কিছুক্ষণ চলে। পরে পল্টন থেকে বিজয়নগরের দিকে যেতে থাকলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। পুলিশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে, হিযবুত তাহরীরের কর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে মিছিলকারীরা এক দফা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, তবে তারা পুনরায় একত্রিত হয়ে মিছিল চালানোর চেষ্টা করে।

পুলিশ আবারও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং সংঘর্ষের এক পর্যায়ে হিযবুত তাহরীরের কর্মীদের ইট-পাটকেল ছুঁড়তে দেখা যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ কয়েকজন কর্মীকে আটক করে।

এছাড়া, কিছু সময়ের জন্য মিছিলটি আরও বিশৃঙ্খলার দিকে চলে গেলে পুলিশকে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করতে দেখা যায়। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

হিযবুত তাহরীর দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তবে সম্প্রতি সরকারবিরোধী কার্যক্রমে প্রকাশ্যভাবে অংশ নিতে শুরু করেছে। বিশেষ করে গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে সংগঠনটি সরকারের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি শুরু করে। এর মধ্যে মিছিল, গোলটেবিল বৈঠক এবং বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন অন্তর্ভুক্ত ছিল। সংগঠনটি চট্টগ্রামে নানা কর্মসূচিও পালন করেছে।

আজ হিযবুত তাহরীর তাদের ‘মার্চ ফর খিলাফাহ’ কর্মসূচি ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজনের ডাক দেয়। এ জন্য সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগায় এবং লিফলেট বিতরণ করে। তবে যেহেতু হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ সংগঠন, তাই তাদের কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সেই সময় থেকে তাদের কোনও ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, পোস্টার বা লিফলেট বিতরণসহ অন্য কোনও প্রচারণামূলক কার্যক্রমকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজারের শিক্ষাবিদ নুরুল আজিজ চৌধুরী আর নেই

This will close in 6 seconds

পল্টনে হিযবুত তাহরীরের মিছিলে পুলিশের টিয়ারশেল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

আপডেট সময় : ০৯:১৯:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজের পর নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের মিছিল বের করেছে। ওই মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ‘মার্চ ফর খিলাফা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কয়েকশ’ হিযবুত তাহরীরের সমর্থক পল্টনমুখী মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

মিছিলটি প্রথমে নির্বিঘ্নে কিছুক্ষণ চলে। পরে পল্টন থেকে বিজয়নগরের দিকে যেতে থাকলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। পুলিশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে, হিযবুত তাহরীরের কর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে মিছিলকারীরা এক দফা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, তবে তারা পুনরায় একত্রিত হয়ে মিছিল চালানোর চেষ্টা করে।

পুলিশ আবারও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং সংঘর্ষের এক পর্যায়ে হিযবুত তাহরীরের কর্মীদের ইট-পাটকেল ছুঁড়তে দেখা যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ কয়েকজন কর্মীকে আটক করে।

এছাড়া, কিছু সময়ের জন্য মিছিলটি আরও বিশৃঙ্খলার দিকে চলে গেলে পুলিশকে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করতে দেখা যায়। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

হিযবুত তাহরীর দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তবে সম্প্রতি সরকারবিরোধী কার্যক্রমে প্রকাশ্যভাবে অংশ নিতে শুরু করেছে। বিশেষ করে গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে সংগঠনটি সরকারের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি শুরু করে। এর মধ্যে মিছিল, গোলটেবিল বৈঠক এবং বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন অন্তর্ভুক্ত ছিল। সংগঠনটি চট্টগ্রামে নানা কর্মসূচিও পালন করেছে।

আজ হিযবুত তাহরীর তাদের ‘মার্চ ফর খিলাফাহ’ কর্মসূচি ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজনের ডাক দেয়। এ জন্য সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগায় এবং লিফলেট বিতরণ করে। তবে যেহেতু হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ সংগঠন, তাই তাদের কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সেই সময় থেকে তাদের কোনও ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, পোস্টার বা লিফলেট বিতরণসহ অন্য কোনও প্রচারণামূলক কার্যক্রমকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।