উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘মুন্না’ পলাতক হলেও তার অপরাধ জগতের সেকেন্ড ইন কমান্ড খ্যাত ফরিদ এখন সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে আতংকের নাম।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ফরিদের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জনের অ’স্ত্র’ধারী একটি গ্রুপ রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক অপহরণ,চাঁদাবাজি,মাদক ব্যবসা সহ নানা অপরাধে জড়িত।
৬ বছর আগে কুতুপালং নিবন্ধিত (রেজিস্টার্ড) ক্যাম্পের ই ব্লকের বাসিন্দা জাফরের পুত্র ফরিদের উত্থান হয় মুন্নার হাত ধরে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ফরিদের নামে অপহরণ,হত্যা সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে নিবন্ধিত ক্যাম্পে গুলি ছুঁড়ে আতংক তৈরি করলে ঘটনাস্থলে পুলিশের তাৎক্ষণিক উপস্থিতিতে পালিয়ে যায় ফরিদ ও তার সহযোগীরা।
গত ২৯ নভেম্বর, নয়াপাড়া নিবন্ধিত ক্যাম্পের আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী কামাল’কে পূর্ব বিরোধের জেরে পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেয় মুন্না গ্রুপের সদস্যরা। আলোচিত এই ঘটনায় ফরিদ জড়িত বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোহিঙ্গা ইমাম বলেন, ‘ ফরিদের আতংকে রাতে আমরা ঘুমাতে পারিনা। এমন কোনো অপরাধ নেই সে করেনি এখন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।’
রোহিঙ্গা যুবক সাদেক (ছদ্মনাম) জানান, ‘ফরিদ কে চাঁদা না দিলে এখানে কেউ চাকরি করতে পারেনা। তার নির্যাতনে আমরা অতিষ্ঠ, তাকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।’
ফরিদ সহ ক্যাম্পের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ সিরাজ আমীন।
তিনি বলেন, ‘ ক্যাম্পে অপরাধ দমনে এপিবিএনের সদস্যরা তৎপর, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। কোনোভাবেই অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না। ‘