কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত চলাকালে এক ইউপি সদস্য নিজের লুঙ্গি খোলে সেবাপ্রার্থীকে গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় ওই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকলেও ইউপি সদস্যের এমন অপেশাদারি আচরণ করতে বারন করেননি, এবং চেয়ারম্যানও মেম্বারের একই সুরে শাসান এবং ধমক দেন। এবিষয়ে ভুক্তভোগী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কাজ করা সাংবাদিক তানভীরুল মিরাজ রিপন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক বরাবর অপেশাদারি, অসেবা অশালীন ও অপমানজনক আচরণের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন।
ঘটনাটি ঘঠেছে গেলো বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি)। রোববার (০৫ জানুয়ারি) এর বিচার চেয়ে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আতাহার ইসলাম দাদুল এবং ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বাঁশির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
লিখিত ওই আবেদনে তানভীরুল মিরাজ রিপন উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন গ্রামে অনুপস্থিত থাকার ফলে আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি একটি গ্রুপ দখল করার চেষ্টা করলে আমরা সামাজিকভাবে গ্রাম আদালতের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে ন্যায় বিচার প্রত্যাশায় স্থানীয় মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে অভিযোগ জানাই। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে গত ২ তারিখে বৃহস্পতিবার বেলা ৩:৪৫ টা ঘটিকায় সাক্ষাৎ করতে বলেন। আমি ও আমার তিন ভাই চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশনা মতে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে নির্দিষ্ট বিরোধীয় বিষয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে লিখিত অভিযোগ দাখিল করি।
আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, অভিযোগ দাখিলের সময় আমাদের নানা ভোগান্তির কথা মৌখিকভাবে তুলে ধরি এবং মৌখিকভাবে তোলে ধরলে ৬ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় মেম্বার নুরুল ইসলাম বাঁশি অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায়, অসেবা ও অপেশাদারি মূলক আচরণ করেন। একপর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাদের সামনেই ইউনিয়ন পরিষদের অভ্যন্তরে তার পরিধেয় লুঙ্গি খোলে অসেবা, অসৌজন্য,অপেশা ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে উপস্থিত মানুষের সামনে মান ও মর্যাদার হানি ঘটান এবং হুমকি ধমকি দেন। চেয়ারম্যান আতাহার ইসলাম দাদুল, মেম্বারকে এই ধরনের অপেশাদারি আচরণ করতে বারন করেননি, এবং চেয়ারম্যান মহোদয়ও মেম্বারের একই সুরে আমাদের শাসান এবং ধমক দেন। তাদের এমন আচরণ দেখে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে অপমানিত ও লাঞ্ছিত বোধ করে চলে আসি, বিবেকের তাড়নায় তাদের অসম্মানজনক , অসৌজন্যমূলক আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে অসেবা ও অসৌজন্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে আপনার নিকট প্রার্থনা করছি। উক্ত ঘটনা দ্রুত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিনীত নিবেদন করছি।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বাঁশি বলেন, আমাদের করে দেওয়া বিচার তারা মেনে নেয়নি। আর যেসব বিষয় বলছেন এসব সত্যি নয় বলে আর কথা বলতে রাজি হননি তিনি।