ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফে মানব পাচারে ‘জিরো টলারেন্স’ বলছে বিজিবি পালংখালী জামায়াতের কর্মী সমাবেশে জেলা আমীর আনোয়ারী-ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দাঁড়ি পাল্লার বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন টেকনাফে ১৪ মামলার পলাতক আসামী মুন্না র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার বিএফইউজে’র নির্বাহী পরিষদের সভায় সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র কমিটি অনুমোদন কক্সবাজার সৈকতে ‘লোক সমুদ্র’ ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়নে কক্সবাজারে ৫টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নৌবাহিনীর নারী নেতৃত্বকে জাতির গৌরব বললেন লুৎফুর রহমান কাজল কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সভায় বক্তারা: ‎কুতুবদিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটনের বিকল্প নেই ‎ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আস্থা গড়ার বদলে চাপ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ চৌফলদন্ডীর আমজাদ হত্যার আসামী ছৈয়দ নুর গ্রেফতার সমুদ্রবন্দর থেকে নামল সতর্ক সংকেত রোহিঙ্গা সংকটে জাতিসংঘের দ্বৈত ন্যারেটিভ: কেন এই দ্বন্দ্ব? উখিয়া হাসপাতালের ২ টন ময়লা অপসারণ করলো বিডি ক্লিন টিম মাতারবাড়িতে শ্রমিক দলের সভাপতি মামুনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন মধ্যরাতে ইডেন গার্ডেনের ‘ছাদ থেকে পড়ে’ যুবকের মৃত্যু!

চকরিয়া ও রামুর সংরক্ষিত বনভূমির ৩ বালুমহালের ইজারা বাতিল করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে চিঠি

চকরিয়া ও রামুর সংরক্ষিত বনভূমির বালুমহাল ইজারা দিতে আপত্তি জানিয়েছেন বন বিভাগ।

১৪৩২ বঙ্গাব্দের জন্য কক্সবাজার জেলার বালুমহাল ইজারা প্রসঙ্গে চকরিয়া ও রামু উপজেলার ৩টি সংরক্ষিত বনভূমির বালু মহাল ইজারা নিয়ে আপত্তি তুলে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগ। নিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম বন সংরক্ষক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠিও দিয়েছে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো: মারুফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক স্মারকে এই তিনটি বালু মহাল ইজারা বাতিল চেয়ে ব্যখ্যা প্রদান করেন।

বালু মহাল তিনটি হলো, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালি বিটের খুটাখালি ১, রমু উপজেলা বিটের ধলিরছড়া বিটের ধলিরছড়া, ও মেহেরঘোনা রেঞ্জের পানিরছড়া খাল।

স্মারকে উল্লেখ বলা হয়, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধিত) আইন-২০২৩ এর ধারা ৪ এর বিধি (খ) অনুসারে সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব‍্যারেজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হইলে অথবা আবাসিক এলাকা হইতে সর্বনিম্ন ০১ (এক) কিলোমিটার সীমানার মধ্যে বালু বা মাটি উত্তোলন করা নিষিদ্ধ। খুটাখালী-১ বালুমহালটির অবস্থান জঙ্গল খুটাখালী মৌজার সংরক্ষিত বনভূমি এবং খুটাখালী মৌজার রক্ষিত বনভূমির মধ্যবর্তী স্থানে। পূর্বে খুটাখালী-১ বালুমহাল ইজারা প্রদান করায় জঙ্গল খুটাখালী মৌজার সংরক্ষিত বন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং খালের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে খালটির অধিকাংশ এলাকা জঙ্গল খুটাখালী মৌজার সংরক্ষিত বনের মধ্যে প্রবেশ করেছে।

২০১৭ সালের ১;নভেম্বর কক্সবাজারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও র‍্যাবের সহযোগিতায় যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত কয়েক জনকে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক তাৎক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি সহকারী বন সংরক্ষক ফুলছড়ির নেতৃত্বে বিজিবি ৩০ ব্যাটালিয়ান রামুর সহযোগিতায় একই খালে অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ১১ টি শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়। ৪ ডিসেম্বর ফুলছড়ি রেঞ্জ ও ফাঁসিয়খালী রেঞ্জের ‘স্টাফসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) চকরিয়ার নেতৃত্বে উক্ত খুটাখালী খালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ০৪টি ও ২৯/০৩/২০২১ খ্রিঃ তারিখ ফুলছড়ি, ফাঁসিয়াখালী, মেহেরঘোনা, পিএমখালী, ঈদগাঁও এবং ঈদগড় রেঞ্জের স্টাফসহ সহকারী বন সংরক্ষক, ফুলছড়ি এর উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি), চকরিয়া এর নেতৃত্বে খুটাখালী খালে অভিযান পরিচালনা করে বালি উত্তোলনে ব্যবহৃত ০৫টি শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা আগেই অভিযানের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। কাউকেই না পাওয়ায় আসামী আটক করা সম্ভব হয় নাই। ইতোঃপূর্বে ঐ সমস্ত এলাকা হতে মাটি ও বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে মানব পাচারে ‘জিরো টলারেন্স’ বলছে বিজিবি

This will close in 6 seconds

চকরিয়া ও রামুর সংরক্ষিত বনভূমির ৩ বালুমহালের ইজারা বাতিল করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে চিঠি

আপডেট সময় : ০৫:৫৬:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

চকরিয়া ও রামুর সংরক্ষিত বনভূমির বালুমহাল ইজারা দিতে আপত্তি জানিয়েছেন বন বিভাগ।

১৪৩২ বঙ্গাব্দের জন্য কক্সবাজার জেলার বালুমহাল ইজারা প্রসঙ্গে চকরিয়া ও রামু উপজেলার ৩টি সংরক্ষিত বনভূমির বালু মহাল ইজারা নিয়ে আপত্তি তুলে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগ। নিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম বন সংরক্ষক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠিও দিয়েছে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো: মারুফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক স্মারকে এই তিনটি বালু মহাল ইজারা বাতিল চেয়ে ব্যখ্যা প্রদান করেন।

বালু মহাল তিনটি হলো, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালি বিটের খুটাখালি ১, রমু উপজেলা বিটের ধলিরছড়া বিটের ধলিরছড়া, ও মেহেরঘোনা রেঞ্জের পানিরছড়া খাল।

স্মারকে উল্লেখ বলা হয়, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধিত) আইন-২০২৩ এর ধারা ৪ এর বিধি (খ) অনুসারে সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব‍্যারেজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হইলে অথবা আবাসিক এলাকা হইতে সর্বনিম্ন ০১ (এক) কিলোমিটার সীমানার মধ্যে বালু বা মাটি উত্তোলন করা নিষিদ্ধ। খুটাখালী-১ বালুমহালটির অবস্থান জঙ্গল খুটাখালী মৌজার সংরক্ষিত বনভূমি এবং খুটাখালী মৌজার রক্ষিত বনভূমির মধ্যবর্তী স্থানে। পূর্বে খুটাখালী-১ বালুমহাল ইজারা প্রদান করায় জঙ্গল খুটাখালী মৌজার সংরক্ষিত বন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং খালের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে খালটির অধিকাংশ এলাকা জঙ্গল খুটাখালী মৌজার সংরক্ষিত বনের মধ্যে প্রবেশ করেছে।

২০১৭ সালের ১;নভেম্বর কক্সবাজারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও র‍্যাবের সহযোগিতায় যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত কয়েক জনকে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক তাৎক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি সহকারী বন সংরক্ষক ফুলছড়ির নেতৃত্বে বিজিবি ৩০ ব্যাটালিয়ান রামুর সহযোগিতায় একই খালে অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ১১ টি শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়। ৪ ডিসেম্বর ফুলছড়ি রেঞ্জ ও ফাঁসিয়খালী রেঞ্জের ‘স্টাফসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) চকরিয়ার নেতৃত্বে উক্ত খুটাখালী খালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ০৪টি ও ২৯/০৩/২০২১ খ্রিঃ তারিখ ফুলছড়ি, ফাঁসিয়াখালী, মেহেরঘোনা, পিএমখালী, ঈদগাঁও এবং ঈদগড় রেঞ্জের স্টাফসহ সহকারী বন সংরক্ষক, ফুলছড়ি এর উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি), চকরিয়া এর নেতৃত্বে খুটাখালী খালে অভিযান পরিচালনা করে বালি উত্তোলনে ব্যবহৃত ০৫টি শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা আগেই অভিযানের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। কাউকেই না পাওয়ায় আসামী আটক করা সম্ভব হয় নাই। ইতোঃপূর্বে ঐ সমস্ত এলাকা হতে মাটি ও বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে।