ঢাকা ০৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাংবাদিক হাফিজের বাবার জানাজা সোমবার সকাল ১০ টায় সাংবাদিক হাফিজের বাবার ইন্তেকাল: টিটিএনের শোক “গোলদীঘিতে ধরা পড়া কাতলা মাছটি ১১ কেজি নয়, প্রকৃত ওজন ৬ কেজি” আসছে “মন্থা”, কক্সবাজারে বৃষ্টি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে: আঘাত হানবে মঙ্গল বা বুধবার প্রথম দিনই ধরা পড়ল আড়াই কেজির ইলিশ, ৯২০০ টাকায় বিক্রি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, কোথায়, কখন আঘাত হানতে পারে সবুজ ঘাসে ঢাকা চট্টগ্রামের উইকেট, কেমন হবে রান পাবনায় ট্রাকচাপায় বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩ কি হতে পারে: নির্বাচন, না নতুন অন্তর্বর্তী সরকার? ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়লো বাসটার্মিনাল এলাকার বাসিন্দারা টেকনাফ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক: দলীয় লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন উখিয়ায় পুলিশের পৃথক অভিযানে মিলল ১০ হাজার ইয়াবা ওপার থেকে ছোড়া গুলি পায়ে বিঁধলো নারীর খুনিয়া পালংয়ে চলন্তগাড়িতে ফিল্মি কায়দায় ডা’কা’তি, মোবাইলও টাকা ছিনতাই

আজ ‘ধন্যবাদ’ জানানোর দিন

 

এমন একটি শব্দ ভাবুন, যেটিকে প্রায় সব অনুভূতির একক প্রকাশ বলা যেতে পারে। না, ‘ভালোবাসি’ কিংবা ‘দুঃখিত’ নয়। বরং প্রেম, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা, সমর্থন, প্রশংসা এমনকি গ্রহণ, প্রত্যাখ্যান বা দ্বিমতের মতো পরস্পরবিরোধী বক্তব্যেও অবলীলায় ব্যবহার করতে পারেন সেই শব্দ। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, ধন্যবাদ।

এই যে শব্দটি খুঁজে পেয়েছেন বলে আপনাকে যে ধন্যবাদ জানানো হলো, এটা প্রশংসাসূচক ধন্যবাদ। এবার উল্লিখিত অন্যান্য অনুভূতির সঙ্গেও মিলিয়ে দেখুন। দেখবেন কী দারুণ মিলে যায়। তবে সন্দেহ নেই, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ‘ধন্যবাদ’ শব্দটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য। একটিমাত্র শব্দ, সহজ ও সরল। কিন্তু কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের সর্বাধিক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ লেখক ও দার্শনিক গিলবার্ট কিথ চেস্টারটন ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন’কে মানুষের চিন্তার সর্বোচ্চ রূপ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি মনে করি যে ধন্যবাদ তথা কৃতজ্ঞতা হলো চিন্তার সর্বোচ্চ রূপ এবং কৃতজ্ঞতা এমন এক আনন্দ, যা বিস্ময়ে দ্বিগুণ হয়’। অর্থাৎ কৃতজ্ঞতা থেকে সৃষ্ট আনন্দ কেবল মামুলি আনন্দ মাত্র নয়। এ যেন সত্য, সুন্দর ও মহানুভবতার বিস্ময়কর ও সশ্রদ্ধ অভিজ্ঞতা।

ছোট্ট একটি ধন্যবাদ, একটুখানি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাবোধের প্রভাব বিপুল ও সুদূরপ্রসারী। আমাদের শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্য, মনোজাগতিক সুখ, কর্মদক্ষতা ও সাফল্যে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। গবেষণা বলছে, কৃতজ্ঞ মানুষ অন্য যেকোনো মানুষের চেয়ে অধিক সুখী। যেকোনো সম্পর্ক সুন্দরভাবে ধরে রাখার ক্ষেত্রে তাঁরা অনেক বেশি এগিয়ে। কৃতজ্ঞতাবোধ মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমায়। ঘুমের মান বৃদ্ধি করে। দেহে হ্যাপি হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। একটি ‘ধন্যবাদ’ যেকোনো নেতিবাচক মুহূর্তকে এক লহমায় ইতিবাচক করে তুলতে পারে। ‘ধন্যবাদ’ যেন সেই মাস্টার চাবি, যে চাবিতে খুলে যায় সুন্দরের সহস্র দরজা।

আজ ১১ জানুয়ারি, ধন্যবাদ দিবস (থ্যাংকইউ ডে)। আদ্রিয়েন সু কুপারস্মিথ নামের যুক্তরাষ্ট্রের একজন ‘উদ্‌যাপন গুরু’র উদ্যোগে দিনটির চল হয়। ১৯৯৪ সালে তাঁর ব্লগে ‘ধন্যবাদ দিবস’ পালনের ধারণা তুলে ধরেছিলেন তিনি।

ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

আজ ‘ধন্যবাদ’ জানানোর দিন

আপডেট সময় : ০৭:১৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

 

এমন একটি শব্দ ভাবুন, যেটিকে প্রায় সব অনুভূতির একক প্রকাশ বলা যেতে পারে। না, ‘ভালোবাসি’ কিংবা ‘দুঃখিত’ নয়। বরং প্রেম, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা, সমর্থন, প্রশংসা এমনকি গ্রহণ, প্রত্যাখ্যান বা দ্বিমতের মতো পরস্পরবিরোধী বক্তব্যেও অবলীলায় ব্যবহার করতে পারেন সেই শব্দ। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, ধন্যবাদ।

এই যে শব্দটি খুঁজে পেয়েছেন বলে আপনাকে যে ধন্যবাদ জানানো হলো, এটা প্রশংসাসূচক ধন্যবাদ। এবার উল্লিখিত অন্যান্য অনুভূতির সঙ্গেও মিলিয়ে দেখুন। দেখবেন কী দারুণ মিলে যায়। তবে সন্দেহ নেই, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ‘ধন্যবাদ’ শব্দটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য। একটিমাত্র শব্দ, সহজ ও সরল। কিন্তু কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের সর্বাধিক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ লেখক ও দার্শনিক গিলবার্ট কিথ চেস্টারটন ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন’কে মানুষের চিন্তার সর্বোচ্চ রূপ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি মনে করি যে ধন্যবাদ তথা কৃতজ্ঞতা হলো চিন্তার সর্বোচ্চ রূপ এবং কৃতজ্ঞতা এমন এক আনন্দ, যা বিস্ময়ে দ্বিগুণ হয়’। অর্থাৎ কৃতজ্ঞতা থেকে সৃষ্ট আনন্দ কেবল মামুলি আনন্দ মাত্র নয়। এ যেন সত্য, সুন্দর ও মহানুভবতার বিস্ময়কর ও সশ্রদ্ধ অভিজ্ঞতা।

ছোট্ট একটি ধন্যবাদ, একটুখানি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাবোধের প্রভাব বিপুল ও সুদূরপ্রসারী। আমাদের শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্য, মনোজাগতিক সুখ, কর্মদক্ষতা ও সাফল্যে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। গবেষণা বলছে, কৃতজ্ঞ মানুষ অন্য যেকোনো মানুষের চেয়ে অধিক সুখী। যেকোনো সম্পর্ক সুন্দরভাবে ধরে রাখার ক্ষেত্রে তাঁরা অনেক বেশি এগিয়ে। কৃতজ্ঞতাবোধ মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমায়। ঘুমের মান বৃদ্ধি করে। দেহে হ্যাপি হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। একটি ‘ধন্যবাদ’ যেকোনো নেতিবাচক মুহূর্তকে এক লহমায় ইতিবাচক করে তুলতে পারে। ‘ধন্যবাদ’ যেন সেই মাস্টার চাবি, যে চাবিতে খুলে যায় সুন্দরের সহস্র দরজা।

আজ ১১ জানুয়ারি, ধন্যবাদ দিবস (থ্যাংকইউ ডে)। আদ্রিয়েন সু কুপারস্মিথ নামের যুক্তরাষ্ট্রের একজন ‘উদ্‌যাপন গুরু’র উদ্যোগে দিনটির চল হয়। ১৯৯৪ সালে তাঁর ব্লগে ‘ধন্যবাদ দিবস’ পালনের ধারণা তুলে ধরেছিলেন তিনি।

ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে