ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কি হতে পারে: নির্বাচন, না নতুন অন্তর্বর্তী সরকার? ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়লো বাসটার্মিনাল এলাকার বাসিন্দারা টেকনাফ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক: দলীয় লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন উখিয়ায় পুলিশের পৃথক অভিযানে মিলল ১০ হাজার ইয়াবা ওপার থেকে ছোড়া গুলি পায়ে বিঁধলো নারীর খুনিয়া পালংয়ে চলন্তগাড়িতে ফিল্মি কায়দায় ডা’কা’তি, মোবাইলও টাকা ছিনতাই চকরিয়ায় ফের ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃ’ত্যু সেন্ট মার্টিন দখলকারীদের বিরুদ্ধে জোরালো বার্তা দিয়েছি: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উখিয়ায় ৮ খুদে হাফেজার কোরআন সবিনা খতম উপলক্ষে নানান আয়োজন বাবার সাথে মাছ ধরতে গিয়ে রেজুখালে স্কুল শিক্ষার্থী নিখোঁজ মহেশখালীর যুবদল নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ আরফাতের অকাল মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদের শোক রামু বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান সম্পন্ন বসতি বে রিসোর্টের সাথে লুৎফর রহমান কাজলের সম্পৃক্ততা নেই – কর্তৃপক্ষ নির্বাচনি জোট নিয়ে কোনো দলের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: আখতার রেস্তোরাঁ শিল্প বাঁচাতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কক্সবাজারের রেস্তোরাঁ মালিকদের…

শাহজালালের কার্গো ভিলেজে এখনও উড়ছে ধোঁয়া

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা (ফাইল ছবি)

রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সেখান থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। এখন ফায়ার সার্ভিস দুইপাশ থেকে সেখানে পানি দিচ্ছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, কার্গো ভিলেজের ৮ নম্বর ফটকের উত্তর পাশ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। কার্গো ভিলেজে প্রবেশের ফটক এলাকা থেকেও ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ছিটিয়ে ধোঁয়া বন্ধ করতে চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের সামনে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

রবিবার সকাল থেকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের ধ্বংসস্তূপ দেখতে আসছেন ভুক্তভোগীরা। উৎসুক জনতার ভিড়ও দেখা গেছে। যদিও কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টে কর্মরত আশরাফুল ইসলাম বলেন, শুক্র-শনিবার আমদানি বন্ধ থাকে। কিন্তু রফতানি খোলা থাকে সবসময়। সেই সুবাদে শনিবার সকালে আমি এক্সপোর্ট করতে আসি। বৃহস্পতিবার আমরা টাকাও জমা দিয়েছি। কিন্তু মালামাল নিতে পারিনি। রবিবার নেওয়ার কথা ছিল। এর আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন করেছেন উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন। সঙ্গে ছিলেন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এর একটি দল।

প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার দুপুর সোয়া ২টায় বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট। একইসঙ্গে কাজ করেন নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সিভিল অ্যাভিয়েশন, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজটি সেখানকার পোস্ট অফিস ও বিমান রাখার হ্যাঙ্গারের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থিত। এটি বিমানবন্দরের আট নম্বর গেটের পাশের জায়গা। আর আগুন লেগেছে আমদানির কার্গো কমপ্লেক্স ভবনে। এখানে আমদানি করা পণ্য রাখা হয়। আগুনে এখানকার প্রায় সব মালামাল পুড়ে গেছে।

আগুনের কারণে বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ঢাকার বদলে সব বিমান চট্টগ্রাম ও সিলেটে অবতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে আটটি ফ্লাইট চট্টগ্রামে, তিনটি ফ্লাইট সিলেটে, চেন্নাই ও দিল্লি থেকে দুটি ফ্লাইট কলকাতায় অবতরণ করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় রাত ৯টার পর উড়োজাহাজ ওঠানামা শুরু হয়। তবে ছয় ঘণ্টায় ২৩টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শত শত যাত্রী।

আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার ফাইটার, সিভিল অ্যাভিয়েশন, আনসারসহ ৩৫ জন আহত হন। এর মধ্যে আনসার সদস্যই রয়েছেন ২৫ জন। তাদের সিএমএইচ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, তৈরি পোশাক কারখানার জন্য আমদানি করা বিপুল পরিমাণ কাপড় ও বিভিন্ন ধরনের দাহ্য পদার্থ ছিল আগুন লাগা ভবনে। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশি সময় লেগেছে। কবে নাগাদ ফের কার্গো ভিলেজ চালু করা যাবে তা পরে বলা যাবে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা।

সূত্র:বাংলা ট্রিবিউন
ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কি হতে পারে: নির্বাচন, না নতুন অন্তর্বর্তী সরকার?

This will close in 6 seconds

শাহজালালের কার্গো ভিলেজে এখনও উড়ছে ধোঁয়া

আপডেট সময় : ০৩:২৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সেখান থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। এখন ফায়ার সার্ভিস দুইপাশ থেকে সেখানে পানি দিচ্ছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, কার্গো ভিলেজের ৮ নম্বর ফটকের উত্তর পাশ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। কার্গো ভিলেজে প্রবেশের ফটক এলাকা থেকেও ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ছিটিয়ে ধোঁয়া বন্ধ করতে চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের সামনে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

রবিবার সকাল থেকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের ধ্বংসস্তূপ দেখতে আসছেন ভুক্তভোগীরা। উৎসুক জনতার ভিড়ও দেখা গেছে। যদিও কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টে কর্মরত আশরাফুল ইসলাম বলেন, শুক্র-শনিবার আমদানি বন্ধ থাকে। কিন্তু রফতানি খোলা থাকে সবসময়। সেই সুবাদে শনিবার সকালে আমি এক্সপোর্ট করতে আসি। বৃহস্পতিবার আমরা টাকাও জমা দিয়েছি। কিন্তু মালামাল নিতে পারিনি। রবিবার নেওয়ার কথা ছিল। এর আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন করেছেন উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন। সঙ্গে ছিলেন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এর একটি দল।

প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার দুপুর সোয়া ২টায় বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট। একইসঙ্গে কাজ করেন নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সিভিল অ্যাভিয়েশন, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজটি সেখানকার পোস্ট অফিস ও বিমান রাখার হ্যাঙ্গারের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থিত। এটি বিমানবন্দরের আট নম্বর গেটের পাশের জায়গা। আর আগুন লেগেছে আমদানির কার্গো কমপ্লেক্স ভবনে। এখানে আমদানি করা পণ্য রাখা হয়। আগুনে এখানকার প্রায় সব মালামাল পুড়ে গেছে।

আগুনের কারণে বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ঢাকার বদলে সব বিমান চট্টগ্রাম ও সিলেটে অবতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে আটটি ফ্লাইট চট্টগ্রামে, তিনটি ফ্লাইট সিলেটে, চেন্নাই ও দিল্লি থেকে দুটি ফ্লাইট কলকাতায় অবতরণ করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় রাত ৯টার পর উড়োজাহাজ ওঠানামা শুরু হয়। তবে ছয় ঘণ্টায় ২৩টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শত শত যাত্রী।

আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার ফাইটার, সিভিল অ্যাভিয়েশন, আনসারসহ ৩৫ জন আহত হন। এর মধ্যে আনসার সদস্যই রয়েছেন ২৫ জন। তাদের সিএমএইচ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, তৈরি পোশাক কারখানার জন্য আমদানি করা বিপুল পরিমাণ কাপড় ও বিভিন্ন ধরনের দাহ্য পদার্থ ছিল আগুন লাগা ভবনে। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশি সময় লেগেছে। কবে নাগাদ ফের কার্গো ভিলেজ চালু করা যাবে তা পরে বলা যাবে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা।

সূত্র:বাংলা ট্রিবিউন