ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শীলখালীতে র‌্যাবের অভিযান: জিম্মিদশা থেকে ২৪ জনকে উদ্ধার চুরি হওয়া রামুর আল-আমিন স্টোরের ১২ লাখ টাকার মালামালসহ ৩ চোর আটক ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিএনপি হতাশ : সালাহউদ্দিন পিটি স্কুল থেকে অ’প’হৃ’ত ব্যবসায়ী আলমগীর সাবরাং থেকে উদ্ধার: আটক ১ বাংলাদেশের প্রথম ‘কার্বন নিরপেক্ষ’ শিশু রুহাব ভারতের অন্ধ্র উপকূলে মোনথার আঘাত, ১ জনের মৃত্যু রাজনীতি চরিত্র বদলায়, কাহিনী বদলায় না ইসলামাবাদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক গ্রেফতার একলাফে সাড়ে ১০ হাজার টাকা কমলো স্বর্ণের দাম পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল নিখোঁজের ২৫ ঘণ্টা পর বাঁকখালি নদী থেকে ইব্রাহিমের ম’র’দে’হ উদ্ধার কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক কোনো ফ্লাইট-জরুরি অবতরণও নিষেধ যে কারণে.. সাগরজলে নারী পর্যটকের গোসলের ভিডিও ধারণ, টিকটকার গ্রেফতার কালারমারছড়ায় পুলিশের অভিযান: অস্ত্রসহ আটক ৩ মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সৌজন্যে সাক্ষাৎ
কক্সবাজার গোল্ডকাপ ফাইনালে তাণ্ডব

৯৫০ আসামির মধ্যে একজনকে আটক

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে সংঘটিত ব্যাপক ভাঙচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুই মামলা হয়। যেখানে ৯৫০ জনকে আসামি করা হয়েছিলো। তবে এ পর্যন্ত পুলিশ একমাত্র রবিউল নামে একজনকে আটক করেছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফ উদ্দিন।

তিনি জানান, “ফাইনাল ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় রবিউলকে আটক করা হয়েছে। তিনি টিকিট ছাড়া লোক প্রবেশ করানোসহ দালালচক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে বাকি অভিযুক্তদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।”

১৪ সেপ্টেম্বর জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বাদী হয়ে দুই ইজারাদার মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাবু ও শাফায়েত মুন্নার নাম উল্লেখ করে প্রায় ৭০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। একই দিন পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির অভিযোগে আরও ২৫০ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ।

ফাইনাল ম্যাচটি ১২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় রামু বনাম টেকনাফে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে খেলা শুরুর আগেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জুমার দিন হলেও সকাল ১১টার মধ্যেই গ্যালারিতে দর্শকদের ভিড় শুরু হয়। দুপুর ২টার মধ্যেই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত দর্শক প্রবেশ করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রবেশ গেট ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়ে।

পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও দর্শকরা মাঠের বাইরে থেকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এরপর খেলাটি স্থগিত ঘোষণা করা হলে বিক্ষুব্ধ দর্শকরা ফের স্টেডিয়ামে ঢুকে ড্রেসিং রুম, প্রেসবক্স, চেয়ার, ভবনের কাঁচ ও গোলপোস্টও ভেঙে ফেলে। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এই ঘটনায় সদর উপজেলার ইউএনও নিলুফার ইয়াসমিন চৌধুরী, সদর থানার ওসি তদন্ত ফারুক হোসেনসহ অন্তত ৫০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য আহত হয়েছেন।

পুলিশ সুপার সাইফ উদ্দিন বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সব ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

কক্সবাজার গোল্ডকাপ ফাইনালে তাণ্ডব

৯৫০ আসামির মধ্যে একজনকে আটক

আপডেট সময় : ০৫:২৭:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে সংঘটিত ব্যাপক ভাঙচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুই মামলা হয়। যেখানে ৯৫০ জনকে আসামি করা হয়েছিলো। তবে এ পর্যন্ত পুলিশ একমাত্র রবিউল নামে একজনকে আটক করেছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফ উদ্দিন।

তিনি জানান, “ফাইনাল ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় রবিউলকে আটক করা হয়েছে। তিনি টিকিট ছাড়া লোক প্রবেশ করানোসহ দালালচক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে বাকি অভিযুক্তদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।”

১৪ সেপ্টেম্বর জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বাদী হয়ে দুই ইজারাদার মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাবু ও শাফায়েত মুন্নার নাম উল্লেখ করে প্রায় ৭০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। একই দিন পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির অভিযোগে আরও ২৫০ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ।

ফাইনাল ম্যাচটি ১২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় রামু বনাম টেকনাফে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে খেলা শুরুর আগেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জুমার দিন হলেও সকাল ১১টার মধ্যেই গ্যালারিতে দর্শকদের ভিড় শুরু হয়। দুপুর ২টার মধ্যেই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত দর্শক প্রবেশ করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রবেশ গেট ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়ে।

পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও দর্শকরা মাঠের বাইরে থেকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এরপর খেলাটি স্থগিত ঘোষণা করা হলে বিক্ষুব্ধ দর্শকরা ফের স্টেডিয়ামে ঢুকে ড্রেসিং রুম, প্রেসবক্স, চেয়ার, ভবনের কাঁচ ও গোলপোস্টও ভেঙে ফেলে। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এই ঘটনায় সদর উপজেলার ইউএনও নিলুফার ইয়াসমিন চৌধুরী, সদর থানার ওসি তদন্ত ফারুক হোসেনসহ অন্তত ৫০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য আহত হয়েছেন।

পুলিশ সুপার সাইফ উদ্দিন বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সব ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”