ঢাকা ০২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানতে চায় সরকার প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেওয়ায় ইসিকে তারেক রহমানের ধন্যবাদ বাবলু চেয়ারম্যান, রানিম আহবায়ক: ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদ গঠিত কক্সবাজারে কোন ‘মাসুদ’ কে ভালো হতে বললেন তাহেরি! যুবদের কর্মমুখী হতে হবে -যুব কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণকালে জেলা প্রশাসক টৈটংয়ে খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে প্রাণ গেলো দুই ভাই-বোনের মহেশখালীতে অস্ত্রসহ একাধিক হত্যা মামলার আসামি আটক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন’স অ্যাওয়ার্ড পেলেন তাশরিফা ফাইরুজ মনোনয়নপত্র বিতরণ কাল; উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নির্বাচন ৮ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির ভারত না দক্ষিণ আফ্রিকা, কে হবে নতুন চ্যাম্পিয়ন? ‘নৌকা’ উপহার পেয়ে বিপাকে উপদেষ্টা, ফেসবুকে চাইলেন পরামর্শ সারাদেশে আজ যেমন থাকবে আবহাওয়া গাইবান্ধায় গরু চোর সন্দেহে ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা মিয়ানমারে পাচারকালে ১৫’শ বস্তা সিমেন্টসহ আটক ১১: দুটি বোট জব্দ

কক্সবাজারে পর্যটন উন্নয়নে প্রমোশনাল পরিকল্পনা কর্মশালা

কক্সবাজারের নির্বাচিত আটটি ট্যুরিজম ডেস্টিনেশনের প্রোমোশন পরিকল্পনার উপর এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর ব্র্যান্ডিং ও প্রচারণার মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটন খাতের উন্নয়ন সাধন করা।

 

বুধবার একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মাশালার শুভেচ্ছা বক্তব্যে এনরুট ইন্টারন্যাশনালের এমডি এবং সিইও, আবু দাউদ খান, কর্মশালার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “এই কর্মশালাটি কক্সবাজারের পর্যটন খাতকে আরও সমৃদ্ধ এবং টেকসই করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”

 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার, রুবাইয়া আফরোজ আয়োজক আইএলও এবং এনরুটকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “কক্সবাজারের সমুদ্র, পাহাড় ছাড়াও বৌদ্ধ বিহার, চা বাগান, রাবার বাগানসহ বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় স্থান রয়েছে, যেখানে সম্মিলিতভাবে কাজ করা গেলে কক্সবাজারের পর্যটনে আশানুরূপ উন্নয়ন সম্ভব।”

তিনি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটনমুখী বিভিন্ন পরিকল্পনা যেমন ভ্রমণিকা অ্যাপের কথা উল্লেখ করেন, যার মাধ্যমে পর্যটকরা তাদের বাজেট অনুযায়ী ভ্রমণ পরিকল্পনা ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য পেয়ে থাকেন। এছাড়া তিনি স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা ফেলার অনুরোধ জানান।

 

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি, মোঃ আপেল মাহমুদ বলেন, “কক্সবাজারের পর্যটন উন্নয়নে পর্যটন সম্পর্কিত সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করতে হবে।” তিনি বলেন, “বর্তমানে কক্সবাজারের রেল স্টেশন, রাস্তাঘাট এবং আন্তর্জাতিক মানের এয়ারপোর্ট বাস্তবায়িত হয়েছে, যার ফলে পর্যটকরা সহজেই কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারছেন এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের সমসাময়িক কার্যক্রমে কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি কমেছে।” তিনি কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষার মাধ্যমে বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণে জোর দেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক), মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী কক্সবাজারে বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের ডাটাবেস না থাকার ফলে সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, “আমাদের বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে যেন পর্যটকরা কক্সবাজারে নিরাপদ বোধ করেন।” এছাড়া তিনি হোটেল-মোটেল সমূহের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির গুরুত্বও উল্লেখ করেন।

আইএলও এর কক্সবাজার সাব অফিস হেড, রুচিকা বাহাল কক্সবাজারের পর্যটন উন্নয়নে আইএলও এর সমসাময়িক কার্যক্রম ও পরিকল্পনাসমূহ তুলে ধরেন।

এ কর্মশালাটি কক্সবাজারের পর্যটন খাতের স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করে একটি সমন্বিত এবং টেকসই পর্যটন প্রচারণা পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে, যা স্থানীয় সম্প্রদায় এবং পর্যটকদের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে জানানো হয়।

ট্যাগ :

এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানতে চায় সরকার

This will close in 6 seconds

কক্সবাজারে পর্যটন উন্নয়নে প্রমোশনাল পরিকল্পনা কর্মশালা

আপডেট সময় : ০৯:৩২:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

কক্সবাজারের নির্বাচিত আটটি ট্যুরিজম ডেস্টিনেশনের প্রোমোশন পরিকল্পনার উপর এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর ব্র্যান্ডিং ও প্রচারণার মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটন খাতের উন্নয়ন সাধন করা।

 

বুধবার একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মাশালার শুভেচ্ছা বক্তব্যে এনরুট ইন্টারন্যাশনালের এমডি এবং সিইও, আবু দাউদ খান, কর্মশালার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “এই কর্মশালাটি কক্সবাজারের পর্যটন খাতকে আরও সমৃদ্ধ এবং টেকসই করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”

 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার, রুবাইয়া আফরোজ আয়োজক আইএলও এবং এনরুটকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “কক্সবাজারের সমুদ্র, পাহাড় ছাড়াও বৌদ্ধ বিহার, চা বাগান, রাবার বাগানসহ বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় স্থান রয়েছে, যেখানে সম্মিলিতভাবে কাজ করা গেলে কক্সবাজারের পর্যটনে আশানুরূপ উন্নয়ন সম্ভব।”

তিনি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটনমুখী বিভিন্ন পরিকল্পনা যেমন ভ্রমণিকা অ্যাপের কথা উল্লেখ করেন, যার মাধ্যমে পর্যটকরা তাদের বাজেট অনুযায়ী ভ্রমণ পরিকল্পনা ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য পেয়ে থাকেন। এছাড়া তিনি স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা ফেলার অনুরোধ জানান।

 

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি, মোঃ আপেল মাহমুদ বলেন, “কক্সবাজারের পর্যটন উন্নয়নে পর্যটন সম্পর্কিত সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করতে হবে।” তিনি বলেন, “বর্তমানে কক্সবাজারের রেল স্টেশন, রাস্তাঘাট এবং আন্তর্জাতিক মানের এয়ারপোর্ট বাস্তবায়িত হয়েছে, যার ফলে পর্যটকরা সহজেই কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারছেন এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের সমসাময়িক কার্যক্রমে কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি কমেছে।” তিনি কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষার মাধ্যমে বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণে জোর দেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক), মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী কক্সবাজারে বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের ডাটাবেস না থাকার ফলে সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, “আমাদের বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে যেন পর্যটকরা কক্সবাজারে নিরাপদ বোধ করেন।” এছাড়া তিনি হোটেল-মোটেল সমূহের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির গুরুত্বও উল্লেখ করেন।

আইএলও এর কক্সবাজার সাব অফিস হেড, রুচিকা বাহাল কক্সবাজারের পর্যটন উন্নয়নে আইএলও এর সমসাময়িক কার্যক্রম ও পরিকল্পনাসমূহ তুলে ধরেন।

এ কর্মশালাটি কক্সবাজারের পর্যটন খাতের স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করে একটি সমন্বিত এবং টেকসই পর্যটন প্রচারণা পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে, যা স্থানীয় সম্প্রদায় এবং পর্যটকদের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে জানানো হয়।